পিয়াস করিমকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে অনুমতি মেলেনি
শুক্রবার ড. পিয়াস করিমকে শ্রদ্ধা জানাতে
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার অনুমতি মেলেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার
তার স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক
আমেনা মহসিন লিখিত আবেদন করলেও ‘নিরাপত্তা’র অজুহাতে অনুমতি দেয়নি
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বলা হয়েছে ওই দিন আগে থেকেই দু’টি
সংগঠন অনুষ্ঠান করার অনুমতি নিয়ে রেখেছে। তবে এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়
ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মানবজমিনকে জানিয়েছিলেন পরিবার আবেদন করলে
কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করবে। এদিকে অনুমতি না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ড.
পিয়াস করিমের পরিবার এবং নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ জানান, শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের
মরদেহ রাখার অনুমতি দেয়া হবে না। তারা আমাদের অনুমতি না নিয়েই মিডিয়ার কাছে
লাশ নেয়ার ঘোষণা করেন। আগেই আবেদন করা দু’টি সংগঠনকে একই দিনে শহীদ মিনারে
অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাই পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে নেয়ার
অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। তবে কোন দু’টি সংগঠনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে তার জানাতে
পারেননি তিনি। ড. আমজাদ আরও বলেন, কিছু সংগঠন ওই কর্মসূচি প্রতিহতের ঘোষণা
দেয়ায় নিরাপত্তার কারণে সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর মতো কোন কর্মসূচির অনুমতি
দেয়া যাচ্ছে না। এদিকে পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়াকে কেন্দ্র করে
সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে গতকাল সকাল থেকে শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে রেখেছে
পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষোভ জানিয়েছেন
পিয়াস করিমের পরিবার, নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ ও দেশের খ্যাতনামা
বুদ্ধিজীবীরা। অনুমতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও তাদের কিছু
জানায়নি উল্লেখ করে ড. পিয়াস করিমের স্ত্রী অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, এই
শহীদ মিনারে বিভিন্ন সময় সে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছে। অথচ আজ তাকে সেখানে
নিতে দেয়া হচ্ছে না। এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে অনেক
ভাল ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস করে দেশের জন্য কাজ করতে ফিরে এসেছিল। তার মতো
একজন লিবারেল গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার মানুষ নিয়ে এ ধরনের নোংরা রাজনীতি
হবে কেউ কখনও চিন্তাও করেনি। পিয়াস করিমের বোন এডভোকেট তৌফিকা করিম বলেন,
তাকে নিয়ে এ ধরনের পরিস্থিতি কাম্য নয়। কিছু কুৎসিত মানসিকতার লোক তাকে
নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক
সাক্ষাৎকারে কলামনিস্ট ফরহাদ মাজহার বলেন, তাকে যারা ভালবাসেন, শ্রদ্ধা
করেন তারা তাকে শহীদ মিনারে নিতে চান। সে প্রেক্ষিতে আমরা চেয়েছি তাকে
সেখানে নিতে। এ ব্যাপারে পিয়াস করিমের এক সময়ের সহযোদ্ধা তেল-গ্যাস-খনিজ
সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, শ্রদ্ধা জানানোর ব্যাপারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতির দায়িত্ব নিতে পারে না। এটা সকলের সম্পত্তি। তাই
এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব তাদের না। আর যে ধরনের তথ্য-উপাত্তের
ভিত্তিতে সেখানে নিতে বাধা দেয়া হচ্ছে সেটা ভুলে ভরা। নাগরিক সমাজের পক্ষে
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বলেন, সেখানে লাশ নিয়ে গিয়ে কোন ধরনের অপ্রীতিকর
ঘটনা ঘটুক আমরা সেটা হতে দেবো না। সমস্ত ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আজ দুপুরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে গত
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা শুক্রবার সকালে শহীদ মিনারে মরদেহ নেয়ার ঘোষণা
দিয়েছিলেন। এদিকে এডভোকেট তৌফিকা করিম জানিয়েছেন, যদি মনে হয় গণ্ডগোল হতে
পারে তাহলে বিকল্প চিন্তা করা হবে। সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা মিলে
সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিয়াস করিমের বড় দু’বোন ফিরলেই
সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নাগরিক সমাজের ঘোষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা যদি
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে নিয়ে যাবেন। অপরদিকে গতকাল বিকালে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিয়াস করিমের
লাশ শহীদ মিনারে নেয়া প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুর রহমান মিঠু, ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শান্ত, ছাত্রলীগ বাসদের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কেন্দ্রের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা। উল্লেখ্য, গত ১৩ই অক্টোবর ভোরে পিয়াস করিম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ড. পিয়াসের লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা সরকারের ইশারায়: বিএনপি
সরকারের ইশারায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়ার হুমকি দিয়েছে মহাজোটের শরিক কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের ইশারায় এই হুমকি দেয়া হচ্ছে। রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার পিয়াস করিমের অস্তিত্ব কখনওই তার জীবদ্দশায় যেমন সহ্য করতে পারেনি, তেমনি মৃত্যুর পরও সহ্য করতে পারছে না। আর সেজন্যই পৈতৃক সম্পত্তির মতো শহীদ মিনারকে দখলে রাখতে চাইছে। ড. পিয়াস করিমকে নিয়ে অন্যায় অসদাচরণের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামী শক্তিকে নিয়ে বিএনপি দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ২০ দলের নেতাকর্মীদের হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ফ্রি-লাইসেন্স দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়া উপজেলায় যুবদল নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সময়কেই মাৎস্যন্যায় বলা হয়। এই মাৎস্যন্যায়ের একমাত্র পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনের বর্তমান অবৈধ সরকার। তিনি বলেন, দিন দিন দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য ঘনীভূত হচ্ছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার। এরা দেশীয় অর্থনীতি, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনের প্রকৃত শাসন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে হিংস্রতায় বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার সকল বর্বর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো- গোটা দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বাস্তব সাফল্য নির্ভর করে জনমত, বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এগুলো সব বস্তাবন্দি করে ফেলেছে। নিজের পরিবার এবং দলের বাদশাহি কায়েম রাখার জন্য তারা এসব অন্যায় ও অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং রক্তপাতকেই নিজেদের টিকে থাকার একমাত্র কর্মপন্থা বলে মনে করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু, ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু, সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুর রহমান মিঠু, ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল শান্ত, ছাত্রলীগ বাসদের সভাপতি মনিরুজ্জামান জুয়েল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কেন্দ্রের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুক্তা। উল্লেখ্য, গত ১৩ই অক্টোবর ভোরে পিয়াস করিম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ড. পিয়াসের লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা সরকারের ইশারায়: বিএনপি
সরকারের ইশারায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়ার হুমকি দিয়েছে মহাজোটের শরিক কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের ইশারায় এই হুমকি দেয়া হচ্ছে। রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার পিয়াস করিমের অস্তিত্ব কখনওই তার জীবদ্দশায় যেমন সহ্য করতে পারেনি, তেমনি মৃত্যুর পরও সহ্য করতে পারছে না। আর সেজন্যই পৈতৃক সম্পত্তির মতো শহীদ মিনারকে দখলে রাখতে চাইছে। ড. পিয়াস করিমকে নিয়ে অন্যায় অসদাচরণের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামী শক্তিকে নিয়ে বিএনপি দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ২০ দলের নেতাকর্মীদের হত্যার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের ফ্রি-লাইসেন্স দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়া উপজেলায় যুবদল নেতা কামাল উদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সময়কেই মাৎস্যন্যায় বলা হয়। এই মাৎস্যন্যায়ের একমাত্র পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে ভোটারবিহীন নির্বাচনের বর্তমান অবৈধ সরকার। তিনি বলেন, দিন দিন দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর নৈরাজ্য ঘনীভূত হচ্ছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার। এরা দেশীয় অর্থনীতি, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনের প্রকৃত শাসন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে হিংস্রতায় বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার সকল বর্বর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো- গোটা দেশের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বাস্তব সাফল্য নির্ভর করে জনমত, বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার এগুলো সব বস্তাবন্দি করে ফেলেছে। নিজের পরিবার এবং দলের বাদশাহি কায়েম রাখার জন্য তারা এসব অন্যায় ও অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং রক্তপাতকেই নিজেদের টিকে থাকার একমাত্র কর্মপন্থা বলে মনে করছে।
No comments