সমকামী ছিলেন মেরিলিন মনরো
হলিউডের কিংবদন্তি নায়িকা মেরিলিন মনরো
ছিলেন সমকামী। তিনি তার ড্রামা শিক্ষিকা নাতাশা লিটিস-এর সঙ্গে ওই সম্পর্ক
গড়ে তুলেছিলেন। দীর্ঘ সময় তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে বসবাস করেছেন।
নাতাশা বলেছেন, বাসার ভিতর সব সময় মেরিলিন মনরো থাকতেন নগ্ন। তবে যৌনতার
প্রতি তার খুব বেশি আসক্তি ছিল না। নতুন উদ্ধার হওয়া এক ডকুমেন্টে এসব তথ্য
মিলেছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৫ সাল
পর্যন্ত নাতাশার সঙ্গে একসঙ্গে সাত বছর পার করেন মনরো। এর মধ্যে দু’বছরেরও
বেশি কলাম্বিয়া পিকচারস-এর ড্রামা কোচ নাতাশার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো
কাটিয়েছেন তিনি। মনরো বিয়ে করেছিলেন তিনবার। ওই ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, সহ
অভিনয় শিল্পী জন ক্রফোর্ড, মারলেন ডাইট্রিস ও বারবারা স্ট্যানউইকের কাছে
স্বীকার করেছেন সমকামী সম্পর্কের কথা। এখন মনরোর একটি জিনস বিক্রি করা হবে।
এটি নাতাশাকে দিয়েছিলেন তিনি। এটি যে মনরোরই দেয়া এ বিষয়ে যথার্থতা
দিয়েছেন নাতাশা একটি চিঠি লিখে। তবে এই চিঠিতে নাতাশা তাদের মধ্যকার
সম্পর্কের কথা লেখেন নি। তিনি এ বিষয়টি খোলাসা করেছিলেন ১৯৬২ সালে এক
সাক্ষাৎকারে, মনরো মারা যাওয়ার পরে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু, অভিনেতা টেড জর্ডানকে
একবার মনরো বলেছিলেন, তিনি ও নাতাশা একসঙ্গে ঘুমান। তিনি আরও বলেছিলেন- কেন
নয়? শারীরিক সম্পর্ক আপনি তার সঙ্গেই করতে পারেন যাকে আপনি বেশি পছন্দ
করেন। প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্মে আবার ভুলের কি? নাতাশার সঙ্গে মনরোর ১৯৪৬ সালে
যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয় তখন মনরো ছিলেন ২০ বছর বয়সী তরুণী। পরে ১৯৬২ সালে যে
সাক্ষাৎকার দিলেন তাতে নাতাশা বললেন, ওই সময়ে মনরো অতোটা সুন্দরী ছিলেন
না। এমনকি তিনি কথা বলতে পারতেন না সুন্দর করে। তিনি জানতেন না কিভাবে মুখ
খুলতে হয়। সবকিছুতেই তার ছিল আতঙ্ক। নাতাশা আরও বলেন, বাড়িতে সব সময়ই মনরো
থাকতেন নগ্ন এবং তারা দু’জনে একসঙ্গে একই অবস্থায় থাকতেন। এক দু’ ঘণ্টা নয়।
৬, ৭ বা ৮ ঘণ্টা তিনি নগ্ন থাকতেন। আমি মনরোকে তার বিছানায় দেখেছি। তার
চুল আঁচড়ানো থাকতো না। তার মুখ থাকতো ফ্যাকাশে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করতাম
মনরো তোমার কি হয়েছে। সে শুধু ‘কিছুই না’ জবাব দিতো। তার মুখের ভিতর তখন
থাকতো ১৬টি পর্যন্ত ঘুমের বড়ি।
No comments