বাংলার মাটিতে এদের কবর যেন না হয় by নুরুল ইসলাম বিএসসি
শুরু
করার আগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। গণহত্যা,
গোষ্ঠী নিধনের মাধ্যমে পরিকল্পিত হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ- আন্তর্জাতিকভাবে
এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এসব অপরাধ জামায়াতে
ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রসংঘ এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটিয়েছিল। এ অপরাধগুলোর
বিচার যে ট্রাইব্যুনালে হয় সেটাকেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বলে আমরা
জানি ও মানি। এখানে আন্তর্জাতিক উকিল নিয়োগের কোনো প্রশ্নই আসে না।জননেত্রী
শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান, আপনি সবকিছু হারিয়েছেন। হারানোর আর কিছু বাকি
নেই। যে কোনো মূল্যে আপনার সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দেয়া রায় কার্যকর
করে জাতিকে কলংকমুক্ত করতে হবে। আপিলে রায় যদি মৃত্যুদণ্ড থেকে যায়, তা
কার্যকর করে এ নরপশুদের বঙ্গোপসাগরে মাছের খাদ্য হিসেবে নিক্ষেপ করতে হবে।
যে দেশের প্রতি এদের মমতা নেই, যে দেশের প্রতি এদের বিশ্বাস নেই, এ দেশের
মাটিতে এদের দাফনেরও সুযোগ নেই।
১৬ ডিসেম্বরে বিকালে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পরও মিরপুর, মোহাম্মদপুরে বৈঠক করে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ পাকিস্তান রক্ষার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যায় নেমেছিল। আমার কথার যথার্থতা পাওয়া যাবে মামা বাহিনীর প্রধান মামার সঙ্গে কথা বললে। কী সাহস একবার চিন্তা করুন। যে সময় পাকিস্তানিরা অস্ত্র জমা দিচ্ছিল, ওই সময় মুজাহিদ অস্ত্র হাতে মানুষ খুন করছিল। বিএনপি এ মুজাহিদকেই মন্ত্রী বানিয়ে দেশের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, খোদা না করুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এদের ছেড়ে দেবে। তাই তো ৯০ বছর শাস্তি হওয়ার পরও মানুষ প্রতিবাদ করে। কাদের মোল্লা তো ভি-চিহ্ন দেখিয়ে জাতিকে অপমান করেছে। তার বিশ্বাস, ক্ষমতার পালাবদলে সে বের হয়ে আসবে। এ থেকেই ভিন্নতর মত ও অবিশ্বাসের জন্ম।জামায়াত-শিবির জঙ্গি সংগঠন। এরা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলতে চায়। এ রমজান মাসে পরপর চারদিন হরতাল দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তারা আবার প্রমাণ করেছে, এরা কোনো ইসলামী দল নয়। এ সিয়াম সাধনার মাসে কোনো সত্যিকারের ইসলামী দল হরতাল করতে পারে না। এ শান্তির মাসে ওরা হরতাল করে, গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে অশান্তি সৃষ্টি করে আল্লাহ ও আল্লাহর নবীর আদর্শের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এদেশ তারা চায় না, এদেশের মাটি তাদের জন্য নয়। পাকিস্তানই এদের আসল ঠিকানা।
আদালতের পর্যবেক্ষণে জামায়াত একটি উগ্রবাদী ও জঙ্গিবাদী দল। বিএনপি এখন এ জঙ্গিদের নিয়ে জোটগত নির্বাচন করবে, না জামায়াতকে বহিষ্কার করে নির্বাচন করবে তা দেখার বিষয় হবে। তবে আমার বিশ্বাস, বিএনপির একা চলার শক্তি নেই, লাঠিতে ভর দিয়ে এদের চলতে হয়। লাঠি হল এ জামায়াতিরা। আল্লাহই জানেন, লন্ডনে এ মুহূর্তে মির্জা ফখরুল কোন ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তাদের আন্দোলন। প্রশ্ন হল, একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হরতাল দিয়ে, ঘেরাও দিয়ে, শত মানুষের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে জাতির কী লাভ হবে? যতই চেষ্টা করুন তারেক রহমান এদেশে ফেরত আসতে পারবেন, একথা অনেকে বিশ্বাস করে না।
যে কথা বলছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার হারানোর কিছুই নেই। নিজেকে তো আপনি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় কে আসবে-যাবে বড় কথা নয়। যেটা আপনি শুরু করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তা অবশ্যই শেষ করতে হবে। নতুবা জাতি আবার অন্ধকারে পতিত হবে। কোটি কোটি সমর্থক ও কর্মী বিএনপি-জামায়াতের হাতে নিগৃহীত হবে, শত শত বাড়িঘরে আগুন জ্বলবে। একমাত্র আপনিই পারেন এদেশের মানুষকে কলংকমুক্ত করতে, দেশকে আফগানিস্তান থেকে রক্ষা করতে, হানাদারমুক্ত করতে। জামায়াতিরা হানাদার, এদেশ তাদের নয়। এরা এখনও মনেপ্রাণে পাকিস্তানি নাগরিক। গোলাম আযমের রায়ের পর পাকিস্তানে মিছিল হয়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, জামায়াতিরা পাকিস্তানের অনুসারী। ভিন্ন দেশের নাগরিকদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
তরুণ প্প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি তাদের উদ্দেশে বলছি, আজকে আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, শেখ হাসিনার সরকার না এলে এটা করা কি সম্ভব ছিল? যদি জামায়াতিরা পাকিস্তান রক্ষা করে ফেলত, আমাদের এক ঘণ্টা বেঁচে থাকার সুযোগ দিত না। অথচ এ বাংলাদেশ বিদ্বেষীরা দীর্ঘ ৪২ বছর এদেশের আলো-বাতাসে বেড়ে উঠেছে, ধনশালী হয়েছে। আর এদের এ সুযোগটি করে দিয়েছে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। এরা পুনঃক্ষমতায় এলে দেশের যে বারোটা বাজবে, তরুণ প্রজন্মের এখন একথা উপলব্ধি করার সময় হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
১৬ ডিসেম্বরে বিকালে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণের পরও মিরপুর, মোহাম্মদপুরে বৈঠক করে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ পাকিস্তান রক্ষার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যায় নেমেছিল। আমার কথার যথার্থতা পাওয়া যাবে মামা বাহিনীর প্রধান মামার সঙ্গে কথা বললে। কী সাহস একবার চিন্তা করুন। যে সময় পাকিস্তানিরা অস্ত্র জমা দিচ্ছিল, ওই সময় মুজাহিদ অস্ত্র হাতে মানুষ খুন করছিল। বিএনপি এ মুজাহিদকেই মন্ত্রী বানিয়ে দেশের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, খোদা না করুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এদের ছেড়ে দেবে। তাই তো ৯০ বছর শাস্তি হওয়ার পরও মানুষ প্রতিবাদ করে। কাদের মোল্লা তো ভি-চিহ্ন দেখিয়ে জাতিকে অপমান করেছে। তার বিশ্বাস, ক্ষমতার পালাবদলে সে বের হয়ে আসবে। এ থেকেই ভিন্নতর মত ও অবিশ্বাসের জন্ম।জামায়াত-শিবির জঙ্গি সংগঠন। এরা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলতে চায়। এ রমজান মাসে পরপর চারদিন হরতাল দিয়ে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে তারা আবার প্রমাণ করেছে, এরা কোনো ইসলামী দল নয়। এ সিয়াম সাধনার মাসে কোনো সত্যিকারের ইসলামী দল হরতাল করতে পারে না। এ শান্তির মাসে ওরা হরতাল করে, গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে অশান্তি সৃষ্টি করে আল্লাহ ও আল্লাহর নবীর আদর্শের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এদেশ তারা চায় না, এদেশের মাটি তাদের জন্য নয়। পাকিস্তানই এদের আসল ঠিকানা।
আদালতের পর্যবেক্ষণে জামায়াত একটি উগ্রবাদী ও জঙ্গিবাদী দল। বিএনপি এখন এ জঙ্গিদের নিয়ে জোটগত নির্বাচন করবে, না জামায়াতকে বহিষ্কার করে নির্বাচন করবে তা দেখার বিষয় হবে। তবে আমার বিশ্বাস, বিএনপির একা চলার শক্তি নেই, লাঠিতে ভর দিয়ে এদের চলতে হয়। লাঠি হল এ জামায়াতিরা। আল্লাহই জানেন, লন্ডনে এ মুহূর্তে মির্জা ফখরুল কোন ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তাদের আন্দোলন। প্রশ্ন হল, একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হরতাল দিয়ে, ঘেরাও দিয়ে, শত মানুষের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে জাতির কী লাভ হবে? যতই চেষ্টা করুন তারেক রহমান এদেশে ফেরত আসতে পারবেন, একথা অনেকে বিশ্বাস করে না।
যে কথা বলছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার হারানোর কিছুই নেই। নিজেকে তো আপনি জাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন। পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় কে আসবে-যাবে বড় কথা নয়। যেটা আপনি শুরু করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তা অবশ্যই শেষ করতে হবে। নতুবা জাতি আবার অন্ধকারে পতিত হবে। কোটি কোটি সমর্থক ও কর্মী বিএনপি-জামায়াতের হাতে নিগৃহীত হবে, শত শত বাড়িঘরে আগুন জ্বলবে। একমাত্র আপনিই পারেন এদেশের মানুষকে কলংকমুক্ত করতে, দেশকে আফগানিস্তান থেকে রক্ষা করতে, হানাদারমুক্ত করতে। জামায়াতিরা হানাদার, এদেশ তাদের নয়। এরা এখনও মনেপ্রাণে পাকিস্তানি নাগরিক। গোলাম আযমের রায়ের পর পাকিস্তানে মিছিল হয়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়, জামায়াতিরা পাকিস্তানের অনুসারী। ভিন্ন দেশের নাগরিকদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
তরুণ প্প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি তাদের উদ্দেশে বলছি, আজকে আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, শেখ হাসিনার সরকার না এলে এটা করা কি সম্ভব ছিল? যদি জামায়াতিরা পাকিস্তান রক্ষা করে ফেলত, আমাদের এক ঘণ্টা বেঁচে থাকার সুযোগ দিত না। অথচ এ বাংলাদেশ বিদ্বেষীরা দীর্ঘ ৪২ বছর এদেশের আলো-বাতাসে বেড়ে উঠেছে, ধনশালী হয়েছে। আর এদের এ সুযোগটি করে দিয়েছে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল। এরা পুনঃক্ষমতায় এলে দেশের যে বারোটা বাজবে, তরুণ প্রজন্মের এখন একথা উপলব্ধি করার সময় হয়েছে।
নুরুল ইসলাম বিএসসি : সংসদ সদস্য ও কলাম লেখক
No comments