'সরল অঙ্কটি রাজনীতিবিদরা বোঝেন না, তা নয়'
বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী
সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, 'আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, এ
নিয়ে এখনো সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি।
পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে সরকারপ্রধান দলপ্রধান থাকেন না। সরকারপ্রধান দলীয়
প্রধান হলে যে তাঁর অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে অন্য দলগুলোর আপত্তি
থাকে, এ সরল অঙ্কটি রাজনীতিবিদরা বোঝেন না, তা নয়।' তিনি বলেন, 'আসলে
পৃথিবীর অন্য দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে আস্থা রয়েছে, বাংলাদেশে তা
নেই বলে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।'
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক মতিউর রহমান চৌধুরী জানতে চান, 'ঈদের আগে চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানে। পত্রপত্রিকায় এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিবারই ঈদের সময় একটি চক্র নানাভাবে চাঁদাবাজি করে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'ঈদের সময় চাঁদাবাজি একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে গেছে। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যাবসায়ীরা অতিষ্ঠ। এ জন্য অনেক ব্যাবসায়ী ঈদের দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। বিদেশেই ঈদ করে দেশে ফিরে আসেন।' তিনি বলেন, 'আজকে দেশে কয়েক ধরনের চাঁদাবাজি চলছে। এক, কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। যারা কোনো দলের না। আবার আরেক দল আছে, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদাবাজি করে। যে ধরনের চাঁদাবাজিই হোক না কেন, এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কারণ তারাই যদি চাঁদাবাজদের দমাতে না পারে তাহলে সাধারণ মানুষের যাওয়ার জায়গা কোথায়?'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক মতিউর রহমান দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি রিপোর্টের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, 'ফের গুম-আতঙ্ক। একজন সুস্থ-সবল লোক হঠাৎ করে নেই। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সর্বত্র গুম-আতঙ্ক বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'গুম এমন একটি বিষয়, যা সারা জীবন মানুষকে কুরে কুরে খায়। কারণ ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা জানেই না, পরিবারের ওই লোকটি কোথায় আছে, কেমন আছে? সে বেঁচে আছে, না মরে গেছে! স্ত্রী জানে না, তার স্বামী বেঁচে আছে কি নেই! সন্তানরা জানে না, তাদের বাবা বেঁচে আছে না নেই। অথচ তারা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পরিবারের ওই লোকটির জন্য অপেক্ষা করছে। এই যে অবস্থা, এটার সমাধান একমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই ভালো বলতে পারবে। তাদেরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কারণ তারা যদি এসব বিষয়ে কোনো সুরাহা না করতে পারে, তবে সাধারণ মানুষের যাওয়ার জায়গা কোথায়?' তিনি বলেন, 'বিএনপির ইলিয়াস আলী এখনো নিখোঁজ আছেন। এতবড় একজন নেতা গুম হলেন, কেউ কিছু বলতে পারেনি। এভাবে প্রতিটি গুমের ঘটনাই মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সরকারেরও এ বিষয়ে কিছু একটা করা উচিত।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, 'রমজান শুরু হতে না হতেই আবার রাজধানীতে শুরু হয়েছে কঠিন যানজট। মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে বহু গুণ। কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'যানজট তো রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের ঘটনা। তবে রমজান মাসে এ রকম ভয়াবহ যানজট কাম্য হতে পারে না। কারণ রমজানে যানজট মানুষের দুর্ভোগ আরো বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।' তিনি বলেন, 'আমি যত দূর জানি, রাজধানীতে কয়েকটি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে। এ কাজগুলোর কারণে যানজট আরো বেড়ে গেছে। তবে আমার মনে হয়, এখন রমজানের এ মাসে এসব কাজ বন্ধ করে ঈদের ছুটিতে লেবারদের কিছু টাকা বেশি দিয়ে হলেও ঈদের সময় এ কাজগুলো করা উচিত। এমনকি ঈদের পরও ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ করতে পারে। এ ছাড়া অনেক স্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের উচিত, এসব খোঁড়াখুঁড়ি অন্তত এ সময়ে বন্ধ রাখা।' তিনি বলেন, 'সিটি করপোরেশনে তো দুজন আমলা বসে আছেন প্রশাসক। আসলে আমলা দিয়ে স্থানীয় সরকারের কাজ চলে না। এ জন্য দরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধিরাই ভালো জানেন কখন কোন এলাকায় কোন উন্নয়নকাজ করতে হবে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, 'ঢাকা সিটি নির্বাচন কেন হচ্ছে না?' জবাবে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এটা তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছুতোয়, আবার শুনছি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আশা করি, সঠিক সময়েই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে।'
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো গ্রামীণফোন আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক মতিউর রহমান চৌধুরী জানতে চান, 'ঈদের আগে চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানে। পত্রপত্রিকায় এ ধরনের রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিবারই ঈদের সময় একটি চক্র নানাভাবে চাঁদাবাজি করে। বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'ঈদের সময় চাঁদাবাজি একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে গেছে। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে ব্যাবসায়ীরা অতিষ্ঠ। এ জন্য অনেক ব্যাবসায়ী ঈদের দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। বিদেশেই ঈদ করে দেশে ফিরে আসেন।' তিনি বলেন, 'আজকে দেশে কয়েক ধরনের চাঁদাবাজি চলছে। এক, কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। যারা কোনো দলের না। আবার আরেক দল আছে, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নামে চাঁদাবাজি করে। যে ধরনের চাঁদাবাজিই হোক না কেন, এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। কারণ তারাই যদি চাঁদাবাজদের দমাতে না পারে তাহলে সাধারণ মানুষের যাওয়ার জায়গা কোথায়?'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক মতিউর রহমান দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের একটি রিপোর্টের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন, 'ফের গুম-আতঙ্ক। একজন সুস্থ-সবল লোক হঠাৎ করে নেই। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। সর্বত্র গুম-আতঙ্ক বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'গুম এমন একটি বিষয়, যা সারা জীবন মানুষকে কুরে কুরে খায়। কারণ ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা জানেই না, পরিবারের ওই লোকটি কোথায় আছে, কেমন আছে? সে বেঁচে আছে, না মরে গেছে! স্ত্রী জানে না, তার স্বামী বেঁচে আছে কি নেই! সন্তানরা জানে না, তাদের বাবা বেঁচে আছে না নেই। অথচ তারা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পরিবারের ওই লোকটির জন্য অপেক্ষা করছে। এই যে অবস্থা, এটার সমাধান একমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই ভালো বলতে পারবে। তাদেরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। কারণ তারা যদি এসব বিষয়ে কোনো সুরাহা না করতে পারে, তবে সাধারণ মানুষের যাওয়ার জায়গা কোথায়?' তিনি বলেন, 'বিএনপির ইলিয়াস আলী এখনো নিখোঁজ আছেন। এতবড় একজন নেতা গুম হলেন, কেউ কিছু বলতে পারেনি। এভাবে প্রতিটি গুমের ঘটনাই মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সরকারেরও এ বিষয়ে কিছু একটা করা উচিত।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, 'রমজান শুরু হতে না হতেই আবার রাজধানীতে শুরু হয়েছে কঠিন যানজট। মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে বহু গুণ। কিভাবে দেখছেন?'
জবাবে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, 'যানজট তো রাজধানীবাসীর নিত্যদিনের ঘটনা। তবে রমজান মাসে এ রকম ভয়াবহ যানজট কাম্য হতে পারে না। কারণ রমজানে যানজট মানুষের দুর্ভোগ আরো বহু গুণ বাড়িয়ে দেয়।' তিনি বলেন, 'আমি যত দূর জানি, রাজধানীতে কয়েকটি ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে। এ কাজগুলোর কারণে যানজট আরো বেড়ে গেছে। তবে আমার মনে হয়, এখন রমজানের এ মাসে এসব কাজ বন্ধ করে ঈদের ছুটিতে লেবারদের কিছু টাকা বেশি দিয়ে হলেও ঈদের সময় এ কাজগুলো করা উচিত। এমনকি ঈদের পরও ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ করতে পারে। এ ছাড়া অনেক স্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের উচিত, এসব খোঁড়াখুঁড়ি অন্তত এ সময়ে বন্ধ রাখা।' তিনি বলেন, 'সিটি করপোরেশনে তো দুজন আমলা বসে আছেন প্রশাসক। আসলে আমলা দিয়ে স্থানীয় সরকারের কাজ চলে না। এ জন্য দরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনপ্রতিনিধিরাই ভালো জানেন কখন কোন এলাকায় কোন উন্নয়নকাজ করতে হবে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, 'ঢাকা সিটি নির্বাচন কেন হচ্ছে না?' জবাবে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, এটা তো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছুতোয়, আবার শুনছি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আশা করি, সঠিক সময়েই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে।'
No comments