রেন্টাল খাতে লুটপাট-অতিরিক্ত জ্বালানি বরাদ্দের যুক্তি নেই
রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে
বিদ্যুৎ বিভাগের যোগসাজশ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের বিনা মূল্যে
বিতরণকৃত জ্বালানি তেল নিয়ে অনিয়মের গুঞ্জন আগে থেকেই রয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক রিপোর্টে অসংগতি ও অনিয়মের
বিস্তারিত চিত্র ফুটে উঠেছে। রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০টি রেন্টাল ও কুইক
রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার জ্বালানি দেওয়া হয়ে থাকে।
কিন্তু কেন্দ্র বন্ধ রেখে নানা রকম কৌশল ব্যবহার করে জ্বালানি তেলের
অনেকটাই লুটপাট হয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, এতে বিদ্যুৎ বিভাগেরও হাত আছে। আর
সে সুবাদে লুটপাট আরো একপ্রস্থ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। রেন্টাল ও কুইক
রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে আরো অধিক জ্বালানি প্রদানের জন্য রীতিমতো
কমিটি গঠন করে সুপারিশ করা হয়েছে। যুক্তি হিসেবে ব্যবসায়ীদের দাবি, যে
জ্বালানি দেওয়া হয় তার বিটিইউ বা দাহ্যক্ষমতা কম। গঠিত মূল কমিটি জ্বালানি
বাড়ানোর সুপারিশ করলেও পরবর্তী সময়ে গঠিত এ-সংক্রান্ত উপকমিটি জানিয়েছে,
তেলের দাহ্যক্ষমতা কম বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর এমন দাবি অসত্য। ফার্নেস অয়েল
চুক্তি অনুযায়ী দাহ্যক্ষমতা থাকার কথা ১৯ হাজার ২০০ বিটিইউ। সেখানে
সরবরাহকৃত তেলের ক্ষমতা রয়েছে ১৯ হাজার ৮০০। সুতরাং তাদের দাবি ভিত্তিহীন।
চুক্তির অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের পরিমাণ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। পত্রিকা
রিপোর্ট বলছে, তার পরও জ্বালানি বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে। কেন এ ধরনের
সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা সাদা চোখে পরখ করে অনুধাবন করা যাচ্ছে না।
যেকোনো মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার যে নীতি বা পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে, সেটাকে দুর্বলতা ভেবে বা ব্ল্যাকমেইল করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার যেকোনো কৌশল সরকার তথা জাতির সঙ্গে কৃত জঘন্য অপরাধের শামিল- এটা সরকারের সংশ্লিষ্টদেরই সর্বপ্রথম মনে রাখার কথা। অন্যদিকে আরো একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীরা অধিক জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়মিত জরিমানা দিয়ে আসছেন। এটি একটি ধারায় পরিণত হয়েছে। কিভাবে জরিমানা আদায় হচ্ছে, কতটা জ্বালানি ব্যবহারের জন্য কতটা জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে এবং আদায়ে কতটা সময় ব্যয় হচ্ছে সেসবও সুস্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ খাতে আরেকটি অনিয়ম হয়ে থাকে পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের এই ব্যয়সাপেক্ষ খাতে লুটপাট চলতে ও বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকার জ্বালানির মাধ্যমে অর্থ খরচ করে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। সুতরাং সরকারের একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতি যত্নের সঙ্গে এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অতি জরুরি বলে দেশের সচেতন মহল মনে করে।
যেকোনো মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার যে নীতি বা পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে, সেটাকে দুর্বলতা ভেবে বা ব্ল্যাকমেইল করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার যেকোনো কৌশল সরকার তথা জাতির সঙ্গে কৃত জঘন্য অপরাধের শামিল- এটা সরকারের সংশ্লিষ্টদেরই সর্বপ্রথম মনে রাখার কথা। অন্যদিকে আরো একটি শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীরা অধিক জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে নিয়মিত জরিমানা দিয়ে আসছেন। এটি একটি ধারায় পরিণত হয়েছে। কিভাবে জরিমানা আদায় হচ্ছে, কতটা জ্বালানি ব্যবহারের জন্য কতটা জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে এবং আদায়ে কতটা সময় ব্যয় হচ্ছে সেসবও সুস্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। এ খাতে আরেকটি অনিয়ম হয়ে থাকে পুরনো যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের এই ব্যয়সাপেক্ষ খাতে লুটপাট চলতে ও বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকার জ্বালানির মাধ্যমে অর্থ খরচ করে কুলিয়ে উঠতে পারবে না। সুতরাং সরকারের একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতি যত্নের সঙ্গে এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন মহলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অতি জরুরি বলে দেশের সচেতন মহল মনে করে।
No comments