সরাসরি সংলাপে ফিরছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল-আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রাথমিক আলোচনা : কেরি
প্রায় তিন বছর ধরে থেমে থাকা ফিলিস্তিন ও
ইসরায়েলের মধ্যকার শান্তি আলোচনা আবার শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গত শুক্রবার জানান, সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসতে
দুই পক্ষ মতৈক্যে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত
প্রারম্ভিক কাজ শুরু করেছেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারীরা। আগামী
সপ্তাহে ওয়াশিংটনে প্রাথমিক আলোচনায় বসবেন তাঁরা।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন একে স্বাগত জানিয়েছে। তবে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী হামাস মুভমেন্ট আলোচনায় ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনও দুই পক্ষের মতৈক্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনা যাতে টেকসই হয়, তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষকে 'দায়িত্বশীল আচরণ' করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
টানা চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জর্দানের রাজধানী আম্মান ছাড়ার আগ মুহূর্তে কেরি সাংবাদিকদের বলেন, 'ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি। এ ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি।'
শান্তি আলোচনার পথে এ অগ্রগতিকে কেরির ধারাবাহিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ নিয়ে ছয় দফা মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন কেরি। এবারও দফায় দফায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শুক্রবার শেষ মুহূর্তেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে আম্মান থেকে হেলিকপ্টারে রামাল্লায় ছুটে যান তিনি। সেখান থেকে আম্মানে ফিরে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে সমঝোতার কথা জানান। তবে তিনি এও বলেন, 'বিষয়টি সহজ নয়। সহজ হলে অনেক আগেই আলোচনা শুরু হতে পারত। দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ রাতারাতি দূর হবে না। সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন আসছে। তবে আমি আশাবাদী।' তাঁর মতে, আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে উভয় পক্ষের সমঝোতার ব্যাপারটি 'শান্তির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি'। তবে সমঝোতা বা ঐকমত্যের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, তারা (ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল) মূল বিষয়গুলোতে একমত হয়েছে। ফলে তারা সরাসরি আলোচনায় বসতে পারবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে (পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম) ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার জেরে ২০১০ সালে দুই পক্ষের সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনো বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানা, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দেশে ফেরার অধিকার ও জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ অন্যতম। দুই পক্ষই তাদের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে দেখতে চায়।
কেরির ঘোষণা অনুযায়ী, 'আগামী সপ্তাহে প্রারম্ভিক আলোচনা শুরু করতে' ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পক্ষে যথাক্রমে সায়েব এরাকাত ও জিপি লিভনি ওয়াশিংটনে যাবেন।
এদিকে 'সীমিত সংখ্যক' ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের সঙ্গে তাদের শান্তি আলোচনা ফের শুরু হতে যাচ্ছে_যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণার পরদিন গতকাল শনিবার এ কথা জানানো হলো। দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউভাল স্তেইনিৎজ গতকাল বলেন, 'আমরা কিছুসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেব।' তবে নির্দিষ্ট করে সংখ্যা যেমন বলেননি, তেমনি কবে নাগাদ এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে, তাও জানাননি। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বি'সেলামের হিসেবে, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে চার হাজার ৭১৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন একে স্বাগত জানিয়েছে। তবে গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী হামাস মুভমেন্ট আলোচনায় ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনও দুই পক্ষের মতৈক্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনা যাতে টেকসই হয়, তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষকে 'দায়িত্বশীল আচরণ' করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
টানা চার দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জর্দানের রাজধানী আম্মান ছাড়ার আগ মুহূর্তে কেরি সাংবাদিকদের বলেন, 'ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি। এ ঘোষণা দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত বোধ করছি।'
শান্তি আলোচনার পথে এ অগ্রগতিকে কেরির ধারাবাহিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ নিয়ে ছয় দফা মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন কেরি। এবারও দফায় দফায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। শুক্রবার শেষ মুহূর্তেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করতে আম্মান থেকে হেলিকপ্টারে রামাল্লায় ছুটে যান তিনি। সেখান থেকে আম্মানে ফিরে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে সমঝোতার কথা জানান। তবে তিনি এও বলেন, 'বিষয়টি সহজ নয়। সহজ হলে অনেক আগেই আলোচনা শুরু হতে পারত। দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ রাতারাতি দূর হবে না। সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন আসছে। তবে আমি আশাবাদী।' তাঁর মতে, আলোচনার টেবিলে ফিরে যেতে উভয় পক্ষের সমঝোতার ব্যাপারটি 'শান্তির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি'। তবে সমঝোতা বা ঐকমত্যের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, তারা (ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল) মূল বিষয়গুলোতে একমত হয়েছে। ফলে তারা সরাসরি আলোচনায় বসতে পারবে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে (পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম) ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার জেরে ২০১০ সালে দুই পক্ষের সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেস্তে যায়। দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনো বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানা, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের দেশে ফেরার অধিকার ও জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ অন্যতম। দুই পক্ষই তাদের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে দেখতে চায়।
কেরির ঘোষণা অনুযায়ী, 'আগামী সপ্তাহে প্রারম্ভিক আলোচনা শুরু করতে' ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের পক্ষে যথাক্রমে সায়েব এরাকাত ও জিপি লিভনি ওয়াশিংটনে যাবেন।
এদিকে 'সীমিত সংখ্যক' ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের সঙ্গে তাদের শান্তি আলোচনা ফের শুরু হতে যাচ্ছে_যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণার পরদিন গতকাল শনিবার এ কথা জানানো হলো। দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউভাল স্তেইনিৎজ গতকাল বলেন, 'আমরা কিছুসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেব।' তবে নির্দিষ্ট করে সংখ্যা যেমন বলেননি, তেমনি কবে নাগাদ এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে, তাও জানাননি। ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বি'সেলামের হিসেবে, ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে চার হাজার ৭১৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান।
No comments