ঠায় বসে থাকা ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর!
দীর্ঘ সময় টানা বসে থাকার অভ্যাস ধূমপানের
মতো প্রায় সমান বিপজ্জনক বলে রায় দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তামাকের নেশা থাকলে
যেমন হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, রক্তচাপ বৃদ্ধির
প্রবণতা বাড়ে,
তেমনি দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় বসে থাকলেও
শরীরে একই রকম প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ষোলো আনা। ধূমপায়ীদের মতো তারাও একই
ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। সম্প্রতি এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা।
এ রকম একটা আশঙ্কা অনেক দিন ধরেই ছিল। এখন পরিষ্কার বলা হচ্ছে, সিগারেট-তামাকের মতো চেয়ার-সোফাও কঠিন রোগের উৎস!
গত জুনে শিকাগোয় 'আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন'-এর বার্ষিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সন্দেহ নেই, দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে থাকা ক্ষতিকর। কর্মস্থলে এর বিকল্প কী হতে পারে, তা ভেবে দেখা জরুরি।' দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কম্পিউটারে কাজ করার ব্যবস্থাসহ শারীরিক কসরতের কিছু ব্যবস্থা অফিসে মজুদ রাখার পক্ষে মত দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
এ প্রসঙ্গে কাজের ধরন-ধারণের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের 'অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতার' বিষয়টিও উঠে আসছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে শুরু করে ব্যাংক, মিডিয়ার মতো বহু ক্ষেত্রে একটানা বসে কাজ করেন কর্মীরা। হাঁটার বদলে গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। সিঁড়ির বদলে বেড়েছে লিফটের ব্যবহার। অল্প বয়সীদের মধ্যে বাড়িতে বসে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। হয় টেলিভিশনের, নয়তো কম্পিউটারের সামনে বসে সময় পার করছে তারা। খেলাধুলার প্রবণতা কমছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় বসে থাকলে চলাফেরায় যেসব পেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। নষ্ট হয় কোলাজেন তন্তুর নমনীয়তা। বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত ও অক্সিজেন পাঠায় হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস। কায়িক পরিশ্রমের সময় সংশ্লিষ্ট অঙ্গের কোষে বাড়তি অক্সিজেনের দরকার হলে হৃৎপিণ্ড সেখানে অধিক অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত পাঠাতে থাকে। কিন্তু বসে থাকলে চলাফেরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশির কাজ বন্ধ থাকে। তাই সেখানে অক্সিজেনের চাহিদা কমে যায়। হৃৎপিণ্ডও সেখানে বেশি রক্ত পাঠায় না। এ অবস্থা নিয়মিত হতে থাকলে সংশ্লিষ্ট পেশির কোষগুলোর কর্মক্ষমতা তো কমেই, হৃৎপিণ্ডের সক্রিয়তাও হ্রাস পায়। চিকিৎসকরা জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শরীরে সব সময় ডায়াবেটিস প্রতিরোধক ইনসুলিন তৈরি হয়। বসে থাকলে যেসব অঙ্গ কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকে, সেখানে ইনসুলিনের চাহিদা কমে। ফলে প্যানক্রিয়াসের (ইনসুলিন-উৎপাদক অঙ্গ) ক্ষমতা কমে। এভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপে পড়ছেন অনেকে। আবার ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নষ্ট করে যে 'লাইপোপ্রোটিন লাইপেজ' এনজাইম, তার উৎপাদনও একইভাবে ব্যাহত হয়। এতে বাড়ে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
এ রকম একটা আশঙ্কা অনেক দিন ধরেই ছিল। এখন পরিষ্কার বলা হচ্ছে, সিগারেট-তামাকের মতো চেয়ার-সোফাও কঠিন রোগের উৎস!
গত জুনে শিকাগোয় 'আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন'-এর বার্ষিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সন্দেহ নেই, দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে থাকা ক্ষতিকর। কর্মস্থলে এর বিকল্প কী হতে পারে, তা ভেবে দেখা জরুরি।' দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কম্পিউটারে কাজ করার ব্যবস্থাসহ শারীরিক কসরতের কিছু ব্যবস্থা অফিসে মজুদ রাখার পক্ষে মত দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
এ প্রসঙ্গে কাজের ধরন-ধারণের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের 'অতিরিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতার' বিষয়টিও উঠে আসছে। এখন তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে শুরু করে ব্যাংক, মিডিয়ার মতো বহু ক্ষেত্রে একটানা বসে কাজ করেন কর্মীরা। হাঁটার বদলে গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে। সিঁড়ির বদলে বেড়েছে লিফটের ব্যবহার। অল্প বয়সীদের মধ্যে বাড়িতে বসে থাকার প্রবণতা বাড়ছে। হয় টেলিভিশনের, নয়তো কম্পিউটারের সামনে বসে সময় পার করছে তারা। খেলাধুলার প্রবণতা কমছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এভাবে দিনের পর দিন দীর্ঘ সময় বসে থাকলে চলাফেরায় যেসব পেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। নষ্ট হয় কোলাজেন তন্তুর নমনীয়তা। বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত ও অক্সিজেন পাঠায় হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস। কায়িক পরিশ্রমের সময় সংশ্লিষ্ট অঙ্গের কোষে বাড়তি অক্সিজেনের দরকার হলে হৃৎপিণ্ড সেখানে অধিক অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত পাঠাতে থাকে। কিন্তু বসে থাকলে চলাফেরার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশির কাজ বন্ধ থাকে। তাই সেখানে অক্সিজেনের চাহিদা কমে যায়। হৃৎপিণ্ডও সেখানে বেশি রক্ত পাঠায় না। এ অবস্থা নিয়মিত হতে থাকলে সংশ্লিষ্ট পেশির কোষগুলোর কর্মক্ষমতা তো কমেই, হৃৎপিণ্ডের সক্রিয়তাও হ্রাস পায়। চিকিৎসকরা জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শরীরে সব সময় ডায়াবেটিস প্রতিরোধক ইনসুলিন তৈরি হয়। বসে থাকলে যেসব অঙ্গ কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকে, সেখানে ইনসুলিনের চাহিদা কমে। ফলে প্যানক্রিয়াসের (ইনসুলিন-উৎপাদক অঙ্গ) ক্ষমতা কমে। এভাবে ডায়াবেটিসের প্রকোপে পড়ছেন অনেকে। আবার ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নষ্ট করে যে 'লাইপোপ্রোটিন লাইপেজ' এনজাইম, তার উৎপাদনও একইভাবে ব্যাহত হয়। এতে বাড়ে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোকের আশঙ্কা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
No comments