সেদিন আমিও ট্রেভন হতে পারতাম : ওবামা
ফ্লোরিডার কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর ট্রেভন মার্টিন
হত্যা মামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের শান্ত
করতে একেবারে ব্যক্তিগত এক অনুভূতির কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামা।
বলেছেন, ৩৫ বছর আগে তিনিও ট্রেভনের মতো ঘটনার
শিকার হতে পারতেন। শুধু গায়ের রঙের কারণে সিনেটর হওয়ার আগে তাঁকেও সন্দেহের
দৃষ্টিতে পড়তে হয়েছে। ট্রেভন হত্যা মামলা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত
শুক্রবার সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ওবামা। মার্কিন নাগরিকদের
আত্মরক্ষার্থে হামলার অধিকার আইন (স্ট্যান্ড ইয়োর গ্রাউন্ড) পর্যালোচনা
করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্যানফোর্ড শহরে ১৭ বছরের নিরস্ত্র কিশোর ট্রেভনকে গুলি করে হত্যা করে এলাকার স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী জর্জ জিমারম্যান (২৯)। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার জন্যই ট্রেভনকে গুলি করেছিলেন তিনি। গত ১৩ জুলাই ফ্লোরিডার এক আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন। এ রায়কে বর্ণবাদী আচরণ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত এক সপ্তাহ ধরেই ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে বর্ণবাদী দাঙ্গারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, 'ট্রেভন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, আমার ছেলের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারত। ৩৫ বছর আগে আমিও এমন ঘটনার শিকার হতে পারতাম।' যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বেশির ভাগ নাগরিকেরই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবামা, "এ দেশে খুব কম আফ্রিকান-আমেরিকান লোকই আছে যাদের মুদি দোকানে ঢোকার পর দোকানির সন্দেহজনক দৃষ্টিতে পড়ার অভিজ্ঞতা নেই। খুব কম লোকই আছে যারা রাস্তায় হাঁটার সময় আশপাশে অপেক্ষমাণ গাড়ি থেকে হুট করে দরজা 'লক' করে দেওয়ার শব্দ শুনতে পায়নি। সিনেটর হওয়ার আগে আমার নিজেরও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি বিষয়গুলো অতিরঞ্জিত করতে চাই না। কিন্তু ফ্লোরিডায় ট্রেভনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল তা বুঝতে এ অভিজ্ঞতাগুলো কাজে দেবে। যাদের এ ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের এগুলো থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই। বর্ণবাদী বৈষম্যের ইতিহাস, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং হোতা ও শিকার হিসেবে অপরাধের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনামূলক বেশি মাত্রায় জড়িত থাকার প্রবণতা এ ধরনের আচরণে জন্য দায়ী।' ট্রেভন হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করলে ট্রেভনের মৃত্যুর প্রতি অসম্মান দেখানো হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আত্মরক্ষার্থে হামলার অধিকার-সংক্রান্ত আইন নিয়ে পর্যালোচনারও আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। এ আইনে যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে আগ বাড়িয়ে হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার স্যানফোর্ড শহরে ১৭ বছরের নিরস্ত্র কিশোর ট্রেভনকে গুলি করে হত্যা করে এলাকার স্বেচ্ছাসেবী প্রহরী জর্জ জিমারম্যান (২৯)। আদালতে জিমারম্যান দাবি করেন, আত্মরক্ষার জন্যই ট্রেভনকে গুলি করেছিলেন তিনি। গত ১৩ জুলাই ফ্লোরিডার এক আদালত জিমারম্যানকে বেকসুর খালাস দেন। এ রায়কে বর্ণবাদী আচরণ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত এক সপ্তাহ ধরেই ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে বর্ণবাদী দাঙ্গারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, 'ট্রেভন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমি বলেছিলাম, আমার ছেলের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটতে পারত। ৩৫ বছর আগে আমিও এমন ঘটনার শিকার হতে পারতাম।' যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বেশির ভাগ নাগরিকেরই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবামা, "এ দেশে খুব কম আফ্রিকান-আমেরিকান লোকই আছে যাদের মুদি দোকানে ঢোকার পর দোকানির সন্দেহজনক দৃষ্টিতে পড়ার অভিজ্ঞতা নেই। খুব কম লোকই আছে যারা রাস্তায় হাঁটার সময় আশপাশে অপেক্ষমাণ গাড়ি থেকে হুট করে দরজা 'লক' করে দেওয়ার শব্দ শুনতে পায়নি। সিনেটর হওয়ার আগে আমার নিজেরও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি বিষয়গুলো অতিরঞ্জিত করতে চাই না। কিন্তু ফ্লোরিডায় ট্রেভনের ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল তা বুঝতে এ অভিজ্ঞতাগুলো কাজে দেবে। যাদের এ ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের এগুলো থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই। বর্ণবাদী বৈষম্যের ইতিহাস, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্য এবং হোতা ও শিকার হিসেবে অপরাধের সঙ্গে কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনামূলক বেশি মাত্রায় জড়িত থাকার প্রবণতা এ ধরনের আচরণে জন্য দায়ী।' ট্রেভন হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করলে ট্রেভনের মৃত্যুর প্রতি অসম্মান দেখানো হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
আত্মরক্ষার্থে হামলার অধিকার-সংক্রান্ত আইন নিয়ে পর্যালোচনারও আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা। এ আইনে যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে আগ বাড়িয়ে হামলার অধিকার দেওয়া হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। সূত্র : এএফপি, জিনিউজ।
No comments