নামের অবদান by একরামুল হক শামীম
ব্রিটিশ রাজপরিবারের তৃতীয় উত্তরাধিকারীর
নাম কী হবে তা নিয়ে বেশ আলোচনা তৈরি হয়েছিল। এই আলোচনার সুযোগে বাজিকররা
জেঁকে বসেছিল। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের পুত্রের নাম কী হবে তা নিয়ে
বাজি ধরেছেন অনেক মানুষ।
একটি বেটিং সাইটের তথ্য থেকে
জানা গেছে, শুরুর দিনে অর্ধলক্ষাধিক লোক নাম নিয়ে বাজি ধরে। বাজিকরদের
অবশ্য হতাশ হতে হয়নি। বাজির দৌড়ে এগিয়ে ছিল 'জর্জ' নামটি। এই নামটিই রাখা
হয়েছে। পুরো নাম_ জর্জ আলেকজান্ডার লুইস। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ
রাজার নামকরণ নিয়ে যখন চারদিকে নানা ধরনের আলোচনা, তখন শিশুদের নামকরণ নিয়ে
বেশ কিছু নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সাময়িকীতে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
অনলাইন সংস্করণে শিশুদের নামকরণ নিয়ে চমৎকার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এতে
উঠে এসেছে শিশুদের নামকরণের বিভিন্ন দিক।
ন্যাটজিওর নিবন্ধ থেকে জানা গেছে, সন্তানদের নাম বিচিত্র রকমের রাখার ব্যাপারে ঝোঁক তৈরি হয়েছে। একজন বাবা খুবই খেলাভক্ত। খেলা দেখতে নিয়মিত ইএসপিনের দ্বারস্থ হন। সেই বাবা তার সন্তানের নাম রেখেছেন 'ইএসপিন'। যদিও এখন সংক্ষেপ করে ডাকা হচ্ছে 'ইস্পেন' নামে। কোনো কোনো অভিভাবক আবার সন্তানের বিদঘুটে নামকরণ করে থাকেন। এমনই এক ঘটনার অবতারণা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। নিউজিল্যান্ডের আদালত ঘোষণা দেন, যে নাম রাখা হয়েছে তা সন্তানের জন্য অবমাননাকর। নয় বছর বয়সের সময় আইনি প্রক্রিয়ায় সেই সন্তানের নাম পরিবর্তন করা হয়। নিউজিল্যান্ডের আদালত তখন বেশ কিছু নাম না রাখার ব্যাপারে আদেশ জারি করেন। নিউজিল্যান্ডে না হয় এ রকম একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু অন্য অনেক দেশে তো নেই। তাই সন্তানের বিচিত্র নামকরণ থেমে নেই। বেবিসেন্টার নামের একটি ওয়েবসাইট সন্তানদের নামকরণ নিয়ে পর্যালোচনা করে থাকে। এই ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, আমেরিকায় মেয়েদের নাম রাখা হচ্ছে ইয়োগা, এক্সেল; অন্যদিকে ছেলেদের নাম রাখা হচ্ছে ভাইস, জেনন, ম্যাঙ্গো, হিপ্পো। এই নামগুলোকে অস্বাভাবিক নাম হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেবিসেন্টার।
স্টিফেন জে ডাবনার ও স্টিভেন ডি লেভিট তাদের বেস্টসেলার বই 'ফ্রিকোনমিকসে' শিশুদের নামকরণের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেছেন। তারা লিখেছেন, বিভিন্ন শ্রেণী ও গোত্র অনুযায়ী নামকরণের ধারা ভিন্ন হয়। ধনী পরিবারগুলো কন্যাসন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে জোরালো নাম রেখে থাকে। যেমন_ এলিজাবেথ, র্যাচেল। অন্যদিকে ধনী পরিবারের পুত্রসন্তানের নাম হয় তুলনামূলক কম জোরালো। যেমন_ ফ্লোরিয়ান কিংবা জুলিয়ান। অন্যদিকে কম আয়ের পরিবারগুলো এই রীতির উল্টোটা অনুসরণ করে থাকে। এটি অবশ্য স্টিফেন ও স্টিভেনের গবেষণার ফল। এর সঙ্গে অনেকের দ্বিমত থাকতেই পারে।
তবে সন্তানের নামকরণ নিয়ে মজার গবেষণা করেছেন কয়েকজন মনোবিজ্ঞানী। এদের দাবি সন্তানের নাম পরবর্তীদের তাদের ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী 'জার্নাল অব স্যোশাল সাইকোলজি'তে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, নারীসুলভ নামের নারীরা সাধারণত নার্স, হেয়ার স্টাইলিস্ট কিংবা ইন্টেরিয়র ডেকোরেটর হয়ে থাকেন। অন্যদিকে মনোবিজ্ঞানী ব্রেট পেলহামের একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, মানুষের কর্মক্ষেত্রে তার নামের প্রভাব পড়ে। তিনি দেখিয়েছেন, লরা নামের অনেক মেয়েই পরে ল' ইয়ার (আইনজীবী) হয়েছে। অন্যদিকে ডেনিস নামের অনেক ছেলে পরে ডেন্টিস্ট হয়েছে। অবশ্য কেউ কেউ এগুলোকে নেহাতই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। তাদের মতে, ক্যারিয়ার নির্ধারিত হয় কর্মগুণে, সেখানে নামের কোনো ভূমিকা নেই।
ন্যাটজিওর নিবন্ধ থেকে জানা গেছে, সন্তানদের নাম বিচিত্র রকমের রাখার ব্যাপারে ঝোঁক তৈরি হয়েছে। একজন বাবা খুবই খেলাভক্ত। খেলা দেখতে নিয়মিত ইএসপিনের দ্বারস্থ হন। সেই বাবা তার সন্তানের নাম রেখেছেন 'ইএসপিন'। যদিও এখন সংক্ষেপ করে ডাকা হচ্ছে 'ইস্পেন' নামে। কোনো কোনো অভিভাবক আবার সন্তানের বিদঘুটে নামকরণ করে থাকেন। এমনই এক ঘটনার অবতারণা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। ব্যাপারটি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। নিউজিল্যান্ডের আদালত ঘোষণা দেন, যে নাম রাখা হয়েছে তা সন্তানের জন্য অবমাননাকর। নয় বছর বয়সের সময় আইনি প্রক্রিয়ায় সেই সন্তানের নাম পরিবর্তন করা হয়। নিউজিল্যান্ডের আদালত তখন বেশ কিছু নাম না রাখার ব্যাপারে আদেশ জারি করেন। নিউজিল্যান্ডে না হয় এ রকম একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু অন্য অনেক দেশে তো নেই। তাই সন্তানের বিচিত্র নামকরণ থেমে নেই। বেবিসেন্টার নামের একটি ওয়েবসাইট সন্তানদের নামকরণ নিয়ে পর্যালোচনা করে থাকে। এই ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, আমেরিকায় মেয়েদের নাম রাখা হচ্ছে ইয়োগা, এক্সেল; অন্যদিকে ছেলেদের নাম রাখা হচ্ছে ভাইস, জেনন, ম্যাঙ্গো, হিপ্পো। এই নামগুলোকে অস্বাভাবিক নাম হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেবিসেন্টার।
স্টিফেন জে ডাবনার ও স্টিভেন ডি লেভিট তাদের বেস্টসেলার বই 'ফ্রিকোনমিকসে' শিশুদের নামকরণের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করেছেন। তারা লিখেছেন, বিভিন্ন শ্রেণী ও গোত্র অনুযায়ী নামকরণের ধারা ভিন্ন হয়। ধনী পরিবারগুলো কন্যাসন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে জোরালো নাম রেখে থাকে। যেমন_ এলিজাবেথ, র্যাচেল। অন্যদিকে ধনী পরিবারের পুত্রসন্তানের নাম হয় তুলনামূলক কম জোরালো। যেমন_ ফ্লোরিয়ান কিংবা জুলিয়ান। অন্যদিকে কম আয়ের পরিবারগুলো এই রীতির উল্টোটা অনুসরণ করে থাকে। এটি অবশ্য স্টিফেন ও স্টিভেনের গবেষণার ফল। এর সঙ্গে অনেকের দ্বিমত থাকতেই পারে।
তবে সন্তানের নামকরণ নিয়ে মজার গবেষণা করেছেন কয়েকজন মনোবিজ্ঞানী। এদের দাবি সন্তানের নাম পরবর্তীদের তাদের ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী 'জার্নাল অব স্যোশাল সাইকোলজি'তে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, নারীসুলভ নামের নারীরা সাধারণত নার্স, হেয়ার স্টাইলিস্ট কিংবা ইন্টেরিয়র ডেকোরেটর হয়ে থাকেন। অন্যদিকে মনোবিজ্ঞানী ব্রেট পেলহামের একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, মানুষের কর্মক্ষেত্রে তার নামের প্রভাব পড়ে। তিনি দেখিয়েছেন, লরা নামের অনেক মেয়েই পরে ল' ইয়ার (আইনজীবী) হয়েছে। অন্যদিকে ডেনিস নামের অনেক ছেলে পরে ডেন্টিস্ট হয়েছে। অবশ্য কেউ কেউ এগুলোকে নেহাতই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। তাদের মতে, ক্যারিয়ার নির্ধারিত হয় কর্মগুণে, সেখানে নামের কোনো ভূমিকা নেই।
No comments