পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা পিপিপির
পাকিস্তানে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি)
কয়েকটি দল। নির্বাচনী প্রচার চালাতে যথেষ্ট সময় না দেওয়া এবং আলোচনা ছাড়াই
নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার প্রতিবাদে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পিপিপি
তাদের সিদ্ধান্তটি গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)
জানিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া অন্য দলগুলো হচ্ছে আওয়ামী
ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) ও
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ)।
রাজধানী ইসলামাবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর রাজা রাব্বানি বলেন, 'নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের কোনো নোটিশ দেননি, এমনকি আমাদের মতামত উপস্থাপনেরও সুযোগ দেননি। সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে একপক্ষীয়ভাবে। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার আরেকটি নমুনা হিসেবে দেখছি।' এরই মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের পিপিপির সাবেক আইনমন্ত্রী আয়াজ সুমরো।
এএনপির সিনেটর হাজি আদেল জানান, নির্বাচনসংক্রান্ত পিপিপির সব সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর দলের সমর্থন আছে। আদালতের নেওয়া পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত 'অন্যায্য' বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না করে তারিখ আরো এগিয়ে আনতে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এক নেতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবেদন করেন। ইসি বিষয়টি সুরাহার ভার সুপ্রিম কোর্টের ওপর ছেড়ে দেয়। ওই নেতা কারণ হিসেবে জানান, ওই সময় অনেক আইনপ্রণেতা ইতিকাফে বসবেন। আবার অনেকে ওমরাহ হজ ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবেন। শুনানি শেষে গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালত ৩০ জুলাই নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন ৬ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল। আদালতের এ রায়ের পরই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল।
এরই মধ্যে গতকাল পিপিপির দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মামনুন হুসাইন, ইকবাল জাফর ঝাগরা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওয়াজিউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র ইসির কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। বাকিদের মনোনয়নপত্র এখনো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ শনিবার প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করা হবে এদিন। ইসি জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে সারা দেশে থেকে ২৪ জন প্রার্থী ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে মামনুন হুসাইনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র এ কথা জানিয়েছে। সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রশাসিত আদিবাসী এলাকার কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের কাছেও একই অনুরোধ করেন নওয়াজ। সূত্র : ডন, এএফপি।
রাজধানী ইসলামাবাদে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর রাজা রাব্বানি বলেন, 'নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের কোনো নোটিশ দেননি, এমনকি আমাদের মতামত উপস্থাপনেরও সুযোগ দেননি। সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে একপক্ষীয়ভাবে। বিষয়টি আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার আরেকটি নমুনা হিসেবে দেখছি।' এরই মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের পিপিপির সাবেক আইনমন্ত্রী আয়াজ সুমরো।
এএনপির সিনেটর হাজি আদেল জানান, নির্বাচনসংক্রান্ত পিপিপির সব সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর দলের সমর্থন আছে। আদালতের নেওয়া পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত 'অন্যায্য' বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না করে তারিখ আরো এগিয়ে আনতে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) এক নেতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবেদন করেন। ইসি বিষয়টি সুরাহার ভার সুপ্রিম কোর্টের ওপর ছেড়ে দেয়। ওই নেতা কারণ হিসেবে জানান, ওই সময় অনেক আইনপ্রণেতা ইতিকাফে বসবেন। আবার অনেকে ওমরাহ হজ ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করবেন। শুনানি শেষে গত বুধবার সর্বোচ্চ আদালত ৩০ জুলাই নির্বাচনের দিন ধার্য করেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন ৬ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল। আদালতের এ রায়ের পরই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল।
এরই মধ্যে গতকাল পিপিপির দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মামনুন হুসাইন, ইকবাল জাফর ঝাগরা ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ওয়াজিউদ্দিন আহমেদের মনোনয়নপত্র ইসির কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। বাকিদের মনোনয়নপত্র এখনো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হওয়ার কথা ছিল। আজ শনিবার প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করা হবে এদিন। ইসি জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে সারা দেশে থেকে ২৪ জন প্রার্থী ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এদিকে মামনুন হুসাইনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র এ কথা জানিয়েছে। সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রশাসিত আদিবাসী এলাকার কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে আসন্ন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তাদের কাছেও একই অনুরোধ করেন নওয়াজ। সূত্র : ডন, এএফপি।
No comments