গৃহহীনদের গৃহ যখন যুক্তরাজ্য by নুজহাত নূর সাদিয়া
রাতের লন্ডন শহর তার ব্যস্ততায় নৈসর্গিক
সৌন্দর্যের এক মনোহর চাদরে ঢেকে আছে। পর্যটকদের আকর্ষণ লন্ডন ব্রিজের এক
পাশে উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটছিলাম। টেমস নদীর বুকের ওপর ভেসে থাকা জাহাজগুলোর
রংবেরঙের বাতির জমকালো উপস্থাপনা পথশ্রমে ক্লান্ত চোখের পাতাকে চুম্বকের
মতো টানছিল।
হঠাৎ লন্ডন ব্রিজ স্টেশনের প্রবেশমুখে ২০ বছর
বয়সী এক তরুণীর কুণ্ডলী পাকানো ঘুমন্ত শরীর দৃষ্টিকে পরিবর্তন করতে বাধ্য
করল, আর সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের নিউরনে বেজে উঠল হাছন রাজার কালজয়ী গান-
'লোকে বলে বলে রে ঘরবাড়ি ভালা না আমার'।
আহা, যুক্তরাজ্যের মতো একটি উন্নত দেশে কি না অসহায় মানুষের একমাত্র অবলম্বন পথের ঠিকানা। দুঃখজনক হলেও সত্য, হোমলেস বা উদ্বাস্তু শব্দটি ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর দৈনন্দিন জীবনে বহুল উচ্চারণে উচ্চারিত ও ক্ষয়িত অন্যতম সামাজিক ব্যাধি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কাঁপা কাঁপা পায়ে কুণ্ডলী পাকানো ঘুমন্ত তরুণীর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তপ্ত নিঃশ্বাসের হালকা ছোঁয়া পেল শরীরে, ধড়মড় করে উঠে বসতেই কৌতূহলী মনের হাজারো প্রশ্ন নিয়ে মমতাভরা হাতটি তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই আশ্বস্ত হলো। বাঁধভাঙা প্রবল উচ্ছ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করল অল্প বয়সে জীবনযুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া এক লড়াকু যোদ্ধার অবিরত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার গল্প।
বর্নি নামের ২০ বছর বয়সী এ জার্মানবাসী আর দশজন উচ্চাভিলাষী তরুণের মতো উচ্চ শিক্ষার্থে অভিবাসীদের মিলনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গ্রেট ব্রিটেনকে বেছে নিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতার নিষ্ঠুর করাঘাত তাকে বুঝিয়ে দেয় স্বপ্ন ও বাস্তবের সন্ধি ঘটানো খুব একটা সোজা নয়। বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসনের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল সে। বিপুল অঙ্কের টিউশনির পুরো টাকার সংস্থান করা তার একার পক্ষে ছিল অসাধ্য। তাই স্টুডেন্ট ভিসার পার্টটাইম কাজের যে বাড়তি সুযোগ, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু নিয়তি এখানেও বৈরী। মেলেনি স্বপ্ন পূরণের পথ পাড়ি দেওয়ার যথাযোগ্য উপরি, স্বজনহীন এ গতিময় শহরে দেখা মেলেনি কোনো হৃদয়বানের নিঃস্বার্থ সাহায্যের হাত। ফিরে যাওয়ার উপায় ছিল না বন্ধনহীন আপন ঠিকানায়। আর তাই হোমলেস নামক অসহায়ত্বের মোড়কে ঢাকা পড়েছে সে। বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছে দুঃসহ মানবেতর জীবন।
গ্রেট ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য স্বদেশের নামটি অত্যন্ত অহমিকায় ও সুপ্রাচীন আভিজাত্য বোধের প্রতীকরূপে বিশ্বাঙ্গনে উপস্থাপন করে। শাসকগুরুদের যুক্তিমতে একমাত্র যুক্তরাজ্যেরই রয়েছে বিশ্বের বহু দেশ শাসন করার গৌরবময় আভিজাত্য, যা আজও তারা টিকিয়ে রেখেছে কমনওয়েলথ নামক সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক পদচারণে। অ্যাসাইলাম সিকার, রিফিউজি মাইগ্রেন্টসহ পৃথিবীর বহু ভাষাভাষীর ও সাংস্কৃতিক কৃষ্টির ধারক-বাহকদের তীর্থভূমি হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। প্রবর্তন করেছে বেনিফিট সিস্টেমসহ নানা মৌলিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারিত প্রকল্প, যা একদিকে স্বল্পশিক্ষিত অধিবাসীদের করেছে কর্মবিমুখ, অন্যদিকে নিম্ন বেতনধারীদের উৎসাহিত করেছে আগ্রাসী টাকা আয়ের নিত্যনতুন পথ সৃষ্টির।
জনগণের কল্যাণে রানিমার বাড়ানো সাহায্যের হাতটি অপসুযোগ ও অব্যবস্থাপনার কল্যাণে আজ প্রায় শূন্য কোষাগার হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে হঠাৎ আলাদীনের চেরাগ খুঁজে পাওয়ার আশায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মেয়র জন বরিসসহ অন্য হর্তাকর্তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন বাণিজ্য বসতির স্থাপনায়। বর্নির মতো অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীরা এ সমস্যার মূল কারিগর হলেও পিছিয়ে নেই মধ্যবয়সী ও প্রবীণ গুরুজনরা। পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি, সন্তানদের দায়িত্বে অবহেলা অনেক অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবাকে বেছে নিতে বাধ্য করছে ভবঘুরে যাযাবর জীবন।
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে ও ইংল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব কমিটির হিসাব অনুযায়ী হোমলেস লোকের সংখ্যা আনুমানিক চার লাখ ৮৫ হাজার ১০০ জন, যা সত্যিই দুঃখজনক। ছিন্নমূল শিশুদের সংখ্যাটিও উদ্বেগজনক, প্রায় ৬৯ হাজার ৪০০ জন, যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
হাউজিং মিনিস্টার গ্রান্ট যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঠেকাতে স্থানীয় কাউন্সিলকে বাড়তি ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রে হোমলেস টিনএজারের সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন, যাদের ৭৫ শতাংশ ড্রাগ, অ্যালকোহলসহ নানা মাদকে আক্রান্ত। প্রতিবছর পাঁচ হাজার তরুণপ্রাণ আত্মহত্যার কোলে নিজেকে সঁপে দেয়। ৪৬ শতাংশ টিনএজারই ঘর ছাড়ে পরিবারের আপনজনদের অবদমিত যৌনকামনা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে। ফলে এইচআইভি (এইডস) পজিটিভ রোগীদের উপস্থিতির হারও তুলনামূলক বেশি।
ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই স্বেচ্ছাচারী তরুণদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বাতলে দিলেও পর্যাপ্ত স্নেহ-মমতার অভাব এ বিপথগামী তরুণদের পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বিকশিত হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায়। আর তাই তো সাধারণের তুলনায় এ ছিন্নমূল তরুণদের বিভিন্ন অপরাধে আক্রান্তের হার তুলনামূলকভাবে বেশি, ১৩ ভাগ প্রায়। আর কর্মী-তরুণদের সংখ্যাও নিতান্তই অল্প, মাত্র ২ শতাংশ; ৪৭ বছর বয়সেই যাদের জীবন আয়ুর প্রদীপটি নিভে যায়। প্রাচ্য দেশে নিতান্তই পেটের দায়ে রেললাইন, মহাসড়ক ও ওভার ব্রিজগুলো ভরে ওঠে অভুক্ত, আধ-খাওয়া কিশোর-তরুণদের ক্লান্ত শরীরের পদভারে মলিন হাসির প্রতিচ্ছায়ায়। উন্নত পাশ্চাত্য দেশগুলোর পারিবারিক জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করার সদিচ্ছা সরকারের যুগোপযোগী ব্যবস্থার প্রয়োগ, সর্বোপরি সবার সম্মিলিত আন্তরিকতাই পারে বর্নির মতো হাজারো হোমলেসের লুকানো বেদনার্ত হাসিটিকে ধরে রাখতে মুক্তাসম উজ্জ্বল অমলিন।
লেখক : লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক
আহা, যুক্তরাজ্যের মতো একটি উন্নত দেশে কি না অসহায় মানুষের একমাত্র অবলম্বন পথের ঠিকানা। দুঃখজনক হলেও সত্য, হোমলেস বা উদ্বাস্তু শব্দটি ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর দৈনন্দিন জীবনে বহুল উচ্চারণে উচ্চারিত ও ক্ষয়িত অন্যতম সামাজিক ব্যাধি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কাঁপা কাঁপা পায়ে কুণ্ডলী পাকানো ঘুমন্ত তরুণীর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তপ্ত নিঃশ্বাসের হালকা ছোঁয়া পেল শরীরে, ধড়মড় করে উঠে বসতেই কৌতূহলী মনের হাজারো প্রশ্ন নিয়ে মমতাভরা হাতটি তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই আশ্বস্ত হলো। বাঁধভাঙা প্রবল উচ্ছ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করল অল্প বয়সে জীবনযুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া এক লড়াকু যোদ্ধার অবিরত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার গল্প।
বর্নি নামের ২০ বছর বয়সী এ জার্মানবাসী আর দশজন উচ্চাভিলাষী তরুণের মতো উচ্চ শিক্ষার্থে অভিবাসীদের মিলনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গ্রেট ব্রিটেনকে বেছে নিয়েছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবতার নিষ্ঠুর করাঘাত তাকে বুঝিয়ে দেয় স্বপ্ন ও বাস্তবের সন্ধি ঘটানো খুব একটা সোজা নয়। বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েস্টমিনস্টার ইউনিভার্সিটির ব্যবসা প্রশাসনের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল সে। বিপুল অঙ্কের টিউশনির পুরো টাকার সংস্থান করা তার একার পক্ষে ছিল অসাধ্য। তাই স্টুডেন্ট ভিসার পার্টটাইম কাজের যে বাড়তি সুযোগ, সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিল সে। কিন্তু নিয়তি এখানেও বৈরী। মেলেনি স্বপ্ন পূরণের পথ পাড়ি দেওয়ার যথাযোগ্য উপরি, স্বজনহীন এ গতিময় শহরে দেখা মেলেনি কোনো হৃদয়বানের নিঃস্বার্থ সাহায্যের হাত। ফিরে যাওয়ার উপায় ছিল না বন্ধনহীন আপন ঠিকানায়। আর তাই হোমলেস নামক অসহায়ত্বের মোড়কে ঢাকা পড়েছে সে। বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছে দুঃসহ মানবেতর জীবন।
গ্রেট ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য স্বদেশের নামটি অত্যন্ত অহমিকায় ও সুপ্রাচীন আভিজাত্য বোধের প্রতীকরূপে বিশ্বাঙ্গনে উপস্থাপন করে। শাসকগুরুদের যুক্তিমতে একমাত্র যুক্তরাজ্যেরই রয়েছে বিশ্বের বহু দেশ শাসন করার গৌরবময় আভিজাত্য, যা আজও তারা টিকিয়ে রেখেছে কমনওয়েলথ নামক সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক পদচারণে। অ্যাসাইলাম সিকার, রিফিউজি মাইগ্রেন্টসহ পৃথিবীর বহু ভাষাভাষীর ও সাংস্কৃতিক কৃষ্টির ধারক-বাহকদের তীর্থভূমি হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। প্রবর্তন করেছে বেনিফিট সিস্টেমসহ নানা মৌলিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারিত প্রকল্প, যা একদিকে স্বল্পশিক্ষিত অধিবাসীদের করেছে কর্মবিমুখ, অন্যদিকে নিম্ন বেতনধারীদের উৎসাহিত করেছে আগ্রাসী টাকা আয়ের নিত্যনতুন পথ সৃষ্টির।
জনগণের কল্যাণে রানিমার বাড়ানো সাহায্যের হাতটি অপসুযোগ ও অব্যবস্থাপনার কল্যাণে আজ প্রায় শূন্য কোষাগার হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছে হঠাৎ আলাদীনের চেরাগ খুঁজে পাওয়ার আশায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মেয়র জন বরিসসহ অন্য হর্তাকর্তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন বাণিজ্য বসতির স্থাপনায়। বর্নির মতো অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীরা এ সমস্যার মূল কারিগর হলেও পিছিয়ে নেই মধ্যবয়সী ও প্রবীণ গুরুজনরা। পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি, সন্তানদের দায়িত্বে অবহেলা অনেক অসহায় বৃদ্ধ মা-বাবাকে বেছে নিতে বাধ্য করছে ভবঘুরে যাযাবর জীবন।
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে ও ইংল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব কমিটির হিসাব অনুযায়ী হোমলেস লোকের সংখ্যা আনুমানিক চার লাখ ৮৫ হাজার ১০০ জন, যা সত্যিই দুঃখজনক। ছিন্নমূল শিশুদের সংখ্যাটিও উদ্বেগজনক, প্রায় ৬৯ হাজার ৪০০ জন, যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
হাউজিং মিনিস্টার গ্রান্ট যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঠেকাতে স্থানীয় কাউন্সিলকে বাড়তি ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করতে বাধ্য হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রে হোমলেস টিনএজারের সংখ্যা ১.৭ মিলিয়ন, যাদের ৭৫ শতাংশ ড্রাগ, অ্যালকোহলসহ নানা মাদকে আক্রান্ত। প্রতিবছর পাঁচ হাজার তরুণপ্রাণ আত্মহত্যার কোলে নিজেকে সঁপে দেয়। ৪৬ শতাংশ টিনএজারই ঘর ছাড়ে পরিবারের আপনজনদের অবদমিত যৌনকামনা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে। ফলে এইচআইভি (এইডস) পজিটিভ রোগীদের উপস্থিতির হারও তুলনামূলক বেশি।
ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই স্বেচ্ছাচারী তরুণদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ বাতলে দিলেও পর্যাপ্ত স্নেহ-মমতার অভাব এ বিপথগামী তরুণদের পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বিকশিত হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায়। আর তাই তো সাধারণের তুলনায় এ ছিন্নমূল তরুণদের বিভিন্ন অপরাধে আক্রান্তের হার তুলনামূলকভাবে বেশি, ১৩ ভাগ প্রায়। আর কর্মী-তরুণদের সংখ্যাও নিতান্তই অল্প, মাত্র ২ শতাংশ; ৪৭ বছর বয়সেই যাদের জীবন আয়ুর প্রদীপটি নিভে যায়। প্রাচ্য দেশে নিতান্তই পেটের দায়ে রেললাইন, মহাসড়ক ও ওভার ব্রিজগুলো ভরে ওঠে অভুক্ত, আধ-খাওয়া কিশোর-তরুণদের ক্লান্ত শরীরের পদভারে মলিন হাসির প্রতিচ্ছায়ায়। উন্নত পাশ্চাত্য দেশগুলোর পারিবারিক জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করার সদিচ্ছা সরকারের যুগোপযোগী ব্যবস্থার প্রয়োগ, সর্বোপরি সবার সম্মিলিত আন্তরিকতাই পারে বর্নির মতো হাজারো হোমলেসের লুকানো বেদনার্ত হাসিটিকে ধরে রাখতে মুক্তাসম উজ্জ্বল অমলিন।
লেখক : লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক
No comments