অপরাধ বাড়ছে-নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক উদ্যোগ প্রয়োজন
নির্বাচনের বছর হওয়ায় রাজনৈতিক সংঘাত ও
খুন-খারাবি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত
খুন-খারাবি এবং অন্যান্য অপরাধ কর্মকাণ্ড। কেবল গতকালের পত্রিকায়ই এ রকম বহু খবর রয়েছে, যা সুস্থ ও বিবেকবান প্রত্যেক মানুষের হৃদয়কে ভারাক্রান্ত করে তোলে।
তুচ্ছ ঘটনায় টাঙ্গাইল ও গাজীপুরে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে এবং জবাই করে
হত্যা করা হয়েছে। ফরিদপুরে এক রাতে আট বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজগঞ্জে এক যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গৌরীপুরে এক আওয়ামী লীগ
নেতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। রূপগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে এবং সোনারগাঁয় এক
পরিবেশকর্মীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। সাতক্ষীরায় এক জেলের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ
উদ্ধার করা হয়েছে। নাসিরনগরে এক বছর ও তিন বছরের দুই শিশুকে হত্যা করা
হয়েছে। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় যৌতুক না দেওয়ায় এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আছে নারী নির্যাতন, অপহরণ, জমি নিয়ে সংঘর্ষ,
চোরাচালান, জাল টাকা তৈরি- এমনি নানা অপরাধের অসংখ্য খবর। সমাজে অপরাধ
বৃদ্ধির এই প্রবণতা মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
যেকোনো দেশে বা সমাজেই অপরাধ রয়েছে এবং থাকবেও। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অন্যান্য দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও লক্ষণীয়। সেখানে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন যথাযথভাবে করা হয়। ফলে সমাজে দুষ্টের আধিপত্য তৈরি হতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মোটেও জোরদার নয়। যারা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অপরাধপ্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের গাঁটছড়ার অভিযোগ বেশ জোরদার। পুলিশি ও বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে গুরুতর অপরাধ করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। আবার সাম্প্রতিককালে অপরাধীদের রাজনৈতিক সংযোগ ও ছত্রচ্ছায়া ক্রমেই বাড়ছে। সাধারণ ক্ষমায় এখন খুনের আসামিরাও ছাড়া পেয়ে যায়। আর এসব কারণেই দেশে অপরাধ উৎসাহিত হচ্ছে। অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ দেখে তাই শঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই এই সমাজের বসবাসযোগ্যতা বিনষ্ট হবে। দেশ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। তাই বিষয়টি এখনই দেশের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও সচেতন নাগরিকদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। প্রতিকারে আশু ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা বাড়াতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে।
যেকোনো দেশে বা সমাজেই অপরাধ রয়েছে এবং থাকবেও। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অন্যান্য দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাও লক্ষণীয়। সেখানে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন যথাযথভাবে করা হয়। ফলে সমাজে দুষ্টের আধিপত্য তৈরি হতে পারে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মোটেও জোরদার নয়। যারা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবে, সেই পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অপরাধপ্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের গাঁটছড়ার অভিযোগ বেশ জোরদার। পুলিশি ও বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগে গুরুতর অপরাধ করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। আবার সাম্প্রতিককালে অপরাধীদের রাজনৈতিক সংযোগ ও ছত্রচ্ছায়া ক্রমেই বাড়ছে। সাধারণ ক্ষমায় এখন খুনের আসামিরাও ছাড়া পেয়ে যায়। আর এসব কারণেই দেশে অপরাধ উৎসাহিত হচ্ছে। অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ দেখে তাই শঙ্কিত না হয়ে পারা যায় না। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই এই সমাজের বসবাসযোগ্যতা বিনষ্ট হবে। দেশ অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। তাই বিষয়টি এখনই দেশের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও সচেতন নাগরিকদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। প্রতিকারে আশু ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা বাড়াতে হবে। অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে।
No comments