ঘরে ফেরার বিড়ম্বনা-নির্বিঘ্ন হোক ঈদযাত্রা
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে
নিতে প্রতিবছরই ঈদের সময় কয়েক লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়ে। এ সময় যানবাহনের
টিকিট পাওয়ার কষ্ট, মহাসড়কে দুঃসহ যানজট এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি- এই তিন
স্তরের বাধা পেরিয়ে তবেই ঘরে ফেরা সম্ভব হয়।
গতকাল থেকে
শুরু হয়েছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়াটা যেন অনেকটা সোনার
হরিণ হাতে পাওয়ার মতো। বাসের টিকিট শুরুতেই হাওয়া হয়ে যায়। ফুরিয়ে যায়
ট্রেন ও লঞ্চের টিকিটও। আর সে কারণেই কার আগে কে টিকিট নেবে শুরু হয় সেই
প্রতিযোগিতা। মানুষের ভিড় যত বাড়ে তেমনি বাড়তি ভাড়ায় টিকিট সংগ্রহ করতে হয়।
ঈদে ঘরে ফেরার এও এক বিড়ম্বনা। সব মিলিয়ে প্রতিবারের মতো বিড়ম্বনার এই
চিত্র যে এবারও দেখা যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই মহাসড়কে শুরু হয়ে যায় তীব্র যানজট। রাস্তাঘাটের অবস্থাও বিশেষ সুবিধার নয়। এ ছাড়া রাস্তার ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য হাট-বাজার ও অস্থায়ী দোকানপাট। অবৈধ স্ট্যান্ড, ইজিবাইক বা নছিমন-করিমনজাতীয় অবৈধ যানবাহন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকা, অপরিকল্পিতভাবে স্পিডব্রেকার নির্মাণ- এসবও যানজটের ভোগান্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ঈদের সময় বাড়তি বাস চলে। অধিক মুনাফার লোভে টাউন সার্ভিসের অনেক বাসও মহাসড়কে চলে আসে। এ সময় রাস্তায় মাইক্রো বা প্রাইভেট কারের সংখ্যাও বেড়ে যায়। ফলে মহাসড়কগুলোয় অত্যধিক গাড়ির চাপ হয় এবং সৃষ্টি হয় যানজটের। এর সঙ্গে যুক্ত আছে খানাখন্দে ভরা চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা; যদিও এসব রাস্তা অনেক আগেই মেরামত ও সংস্কার হওয়ার কথা। যোগাযোগমন্ত্রীর কথা মতো, গত এপ্রিলের মধ্যেই এসব রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী হওয়ার কথা। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেই বলা হচ্ছে, এসব সড়কের কোথাও সংস্কারের কাজ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার। কোথাও বৃষ্টির পানি সরানো যাচ্ছে না। ঈদ সামনে রেখে বিস্তারিত জানার জন্য মন্ত্রণালয় যে ২১টি টিম মাঠে নামিয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এসব সড়কের অনেক অংশে ফাটল, গর্ত আর খোয়া ওঠার চিত্র। রেলপথে এরই মধ্যে বেশ কিছু ইঞ্জিন ও নতুন বগি যোগ হয়েছে। ফলে আশা করা যায়, এ বছর ট্রেন অপেক্ষাকৃত ভালো সেবা দিতে পারবে। তবে জলপথের চিত্রটি আমাদের মনে শঙ্কা জাগায়। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই ঈদ উপলক্ষে এ বছরও পুরনো জলযান রং করে নদীতে নামানো হয়েছে। কিন্তু এ বছর ঈদ হচ্ছে ভরা বর্ষায়। তাই ঝুঁকিও বেশি। হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
তার পরও আমরা আশা করব, ঈদে ঘরে ফেরার বিড়ম্বনা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মহল সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করবে। নির্বিঘ্ন হবে মানুষের ঈদযাত্রা।
ঈদের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই মহাসড়কে শুরু হয়ে যায় তীব্র যানজট। রাস্তাঘাটের অবস্থাও বিশেষ সুবিধার নয়। এ ছাড়া রাস্তার ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য হাট-বাজার ও অস্থায়ী দোকানপাট। অবৈধ স্ট্যান্ড, ইজিবাইক বা নছিমন-করিমনজাতীয় অবৈধ যানবাহন যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকা, অপরিকল্পিতভাবে স্পিডব্রেকার নির্মাণ- এসবও যানজটের ভোগান্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন রুটে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ঈদের সময় বাড়তি বাস চলে। অধিক মুনাফার লোভে টাউন সার্ভিসের অনেক বাসও মহাসড়কে চলে আসে। এ সময় রাস্তায় মাইক্রো বা প্রাইভেট কারের সংখ্যাও বেড়ে যায়। ফলে মহাসড়কগুলোয় অত্যধিক গাড়ির চাপ হয় এবং সৃষ্টি হয় যানজটের। এর সঙ্গে যুক্ত আছে খানাখন্দে ভরা চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা; যদিও এসব রাস্তা অনেক আগেই মেরামত ও সংস্কার হওয়ার কথা। যোগাযোগমন্ত্রীর কথা মতো, গত এপ্রিলের মধ্যেই এসব রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযোগী হওয়ার কথা। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনেই বলা হচ্ছে, এসব সড়কের কোথাও সংস্কারের কাজ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার। কোথাও বৃষ্টির পানি সরানো যাচ্ছে না। ঈদ সামনে রেখে বিস্তারিত জানার জন্য মন্ত্রণালয় যে ২১টি টিম মাঠে নামিয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে এসব সড়কের অনেক অংশে ফাটল, গর্ত আর খোয়া ওঠার চিত্র। রেলপথে এরই মধ্যে বেশ কিছু ইঞ্জিন ও নতুন বগি যোগ হয়েছে। ফলে আশা করা যায়, এ বছর ট্রেন অপেক্ষাকৃত ভালো সেবা দিতে পারবে। তবে জলপথের চিত্রটি আমাদের মনে শঙ্কা জাগায়। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বরাবরের মতোই ঈদ উপলক্ষে এ বছরও পুরনো জলযান রং করে নদীতে নামানো হয়েছে। কিন্তু এ বছর ঈদ হচ্ছে ভরা বর্ষায়। তাই ঝুঁকিও বেশি। হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে না পারে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
তার পরও আমরা আশা করব, ঈদে ঘরে ফেরার বিড়ম্বনা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মহল সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করবে। নির্বিঘ্ন হবে মানুষের ঈদযাত্রা।
No comments