বিষাক্ত পানি বের হওয়া নিয়ে টেপকোর তীব্র সমালোচনা
সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্রকল্পের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদেশি পরমাণু বিশেষজ্ঞরা। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, বিষাক্ত পানি বের হওয়ার ব্যাপারে টেপকোর যে অস্বচ্ছতা, তাতে মনে হয়, এ কাজ সম্পর্কে তাদের ধারণাও অস্পষ্ট। দুর্ঘটনাকবলিত পরমাণুকেন্দ্রটিতে একের পর এক সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে এ কড়া সমালোচনার ঘটনা ঘটল। চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে প্রকল্প পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) প্রথমবারের মতো স্বীকার করে, পরমাণুকেন্দ্রটি থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থমিশ্রিত পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সাবেক প্রধান ডেল ক্লেইন বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় ঘাটতির কারণে পানি নিঃসরণের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘এতে বোঝা যায়, পরমাণু স্থাপনা কর্তৃপক্ষ জাপানের জনগণকে পর্যাপ্ত তথ্য দেয়নি। তারা কী করছে, তা জানে না। তাদের কোনো পরিকল্পনাও নেই। সর্বোপরি তারা পরিবেশ ও মানুষকে রক্ষায় প্রতিকারমূলক যেসব ব্যবস্থা নিতে পারত, সেগুলো নেয়নি।’ ফুকুশিমা পারমাণবিক প্রকল্প সংস্কারের জন্য টেপকোর প্রধান নির্বাহীসহ জাপানের চারজন ও বিদেশি দুজন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। এই প্যানেলের সঙ্গে দেখা করে গতকাল শুক্রবার এসব কথা বলেন ক্লেইন। প্যানেল সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পানিদূষণের ঘটনায় আমরা গভীর হতাশা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এতে ফুকুশিমা প্রকল্পে চলমান পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার অভিযান বাধাগ্রস্ত হবে।’ যুক্তরাজ্যের পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বারবারা জাজ বলেন, কোম্পানির যেসব ঘাটতির কথা জানা গেছে, তাতে তিনি হতাশ। ২০১১ সালের মার্চ মাসে সংঘটিত ভয়াবহ সুনামিতে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক প্রকল্পের ছয়টি চুল্লির মধ্যে চারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন চুল্লিগুলোর শীতলীকরণ প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনটি থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। এএফপি।
No comments