বিরোধী নেতা নিহতের জের-সরকার পতনের দাবিতে ফের উত্তাল তিউনিসিয়া
বিরোধী দল বামপন্থী পপুলার মুভমেন্টের
নেতা মোহাম্মদ ব্রাহমিকে হত্যার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে
তিউনিসিয়া। রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। তাদের অভিযোগের আঙুল ক্ষমতাসীন
এন্নাদাহ পার্টির দিকে।
দেশজুড়ে গতকাল শুক্রবার সাধারণ
ধর্মঘট পালিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন তিউনিসএয়ারের সব ফ্লাইট বাতিল করা
হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে
বিক্ষোভকারীরা। সরকার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সুন্নি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী
সালাফিদের দায়ী করেছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী তিউনিসের আরিয়ানা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন ব্রাহমি (৫৮)। পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাঁকে হত্যা করা হয়। আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত সিদি বৌজিদ শহর থেকে ২০১১ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন ব্রাহমি। তিনি ইসলামপন্থী সরকারের কড়া সমালোচক ছিলেন। দলে ইসলামপন্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে অভিযোগ করে ৭ জুলাই পপুলার মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক পদে ইস্তফা দেন। ব্রাহমির মৃত্যু এ বছর তিউনিসিয়ার দ্বিতীয় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক প্যাট্রিয়টস পার্টির নেতা শুখরি বিলুয়াইদ আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পরপরই তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলগুলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাসীন দল এন্নাহদা পার্টিকে দায়ী করে। সরকারের পতনের দাবিতে রাস্তায় গণবিক্ষোভ হয়। সংকট সামলাতে প্রধানমন্ত্রী হামাদি জেবালি মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর দল এন্নাহদা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
ব্রাহমির মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার ও সমর্থকরা এন্নাহদা পার্টিকে দায়ী করেছে। সরকার ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নীরবে সহ্য করছে অথবা বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের সরাসরি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার লোক তিউনিস ও সিদি বৌজিদের রাস্তায় নেমে আসে। সরকার পতনের দাবিতে তিউনিসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সিদি বৌজিদের কাছের শহর মেনজেল বৌজাইনে এন্নাহদার কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বামপন্থী দলগুলোর জোট পপুলার ফ্রন্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠন জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান লেবার গতকাল দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছে।
এন্নাহদা পার্টির প্রধান রাশিদ ঘান্নুচি ব্রাহমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর দলে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডকে 'জাতীয় বিপর্যয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের পথে উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।' প্রেসিডেন্ট মোনসেফ মারজুকি ও প্রধানমন্ত্রী আলী লারায়েদ ব্রাহমি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোফতি বেন জেদ্দৌ বলেন, 'ব্রাহমি হত্যার সঙ্গে চরমপন্থী সালাফি নেতা বৌবাকার হাকিমের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।'
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তিউনিসিয়ার সরকারের প্রতি এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা টিএপি জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানী তিউনিসের আরিয়ানা এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন ব্রাহমি (৫৮)। পরিবারের সদস্যদের সামনেই তাঁকে হত্যা করা হয়। আরব বসন্তের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত সিদি বৌজিদ শহর থেকে ২০১১ সালে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন ব্রাহমি। তিনি ইসলামপন্থী সরকারের কড়া সমালোচক ছিলেন। দলে ইসলামপন্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটছে অভিযোগ করে ৭ জুলাই পপুলার মুভমেন্টের সাধারণ সম্পাদক পদে ইস্তফা দেন। ব্রাহমির মৃত্যু এ বছর তিউনিসিয়ার দ্বিতীয় বড় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক প্যাট্রিয়টস পার্টির নেতা শুখরি বিলুয়াইদ আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ার পরপরই তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলগুলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাসীন দল এন্নাহদা পার্টিকে দায়ী করে। সরকারের পতনের দাবিতে রাস্তায় গণবিক্ষোভ হয়। সংকট সামলাতে প্রধানমন্ত্রী হামাদি জেবালি মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দেন। তবে তাঁর দল এন্নাহদা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
ব্রাহমির মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবার ও সমর্থকরা এন্নাহদা পার্টিকে দায়ী করেছে। সরকার ইসলামপন্থী চরমপন্থীদের কার্যকলাপ নীরবে সহ্য করছে অথবা বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের সরাসরি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। গত বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার লোক তিউনিস ও সিদি বৌজিদের রাস্তায় নেমে আসে। সরকার পতনের দাবিতে তিউনিসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। সিদি বৌজিদের কাছের শহর মেনজেল বৌজাইনে এন্নাহদার কয়েকটি কার্যালয়ে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বামপন্থী দলগুলোর জোট পপুলার ফ্রন্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠন জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান লেবার গতকাল দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছে।
এন্নাহদা পার্টির প্রধান রাশিদ ঘান্নুচি ব্রাহমি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর দলে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডকে 'জাতীয় বিপর্যয়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে চায় এবং গণতন্ত্রের পথে উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।' প্রেসিডেন্ট মোনসেফ মারজুকি ও প্রধানমন্ত্রী আলী লারায়েদ ব্রাহমি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোফতি বেন জেদ্দৌ বলেন, 'ব্রাহমি হত্যার সঙ্গে চরমপন্থী সালাফি নেতা বৌবাকার হাকিমের যুক্ত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।'
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তিউনিসিয়ার সরকারের প্রতি এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments