ফরেনসিক প্রতিবেদন-বিহারে স্কুলের খাবারে নিষিদ্ধ কীটনাশক ছিল
নিষিদ্ধ কীটনাশক মনোক্রোটোফস মিশ্রিত
খাবার খেয়েই ভারতের বিহারের ছাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ শিশুর মৃত্যু
হয়েছে। গত শনিবার বিহার পুলিশের ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)
প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রান্নায় ব্যবহৃত তেলে উচ্চমাত্রার বিষাক্ত কীটনাশক মনোক্রোটোফস পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার বিহারের সরণ জেলার গান্দামাল গ্রামের ছাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ২৩ শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চার শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শিশুদের সবার বয়স ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। দুপুরের খাবারে শিশুদের ভাত, ডাল ও সবজি দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাতক।
এফএসএল জানায়, রান্নায় ব্যবহৃত তেল, অন্যান্য উপকরণ, পানি ও খাবার প্লেটে থাকা অবশিষ্ট খাবার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তেলের মধ্যে মনোক্রোটোফসের অস্তিত্ব মিলেছে। এ তেল বাজারে থাকা মনোক্রোটোফসের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি বিষাক্ত। এ ছাড়া ঘটনার দিন অসুস্থ একটি শিশুর মুখ দিয়ে বের হওয়া ফেনা নমুনা হিসেবে তুলার মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়। সেটাও পরীক্ষা করা হয়েছে। এফএসএলের এক সূত্র বলেছে, 'মনোক্রোটোফস খবুই বিষাক্ত পদার্থ। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য তার শরীরে ২০ মিলিগ্রাম মনোক্রোটোফসের উপস্থিতিই যথেষ্ট। আর এ ক্ষেত্রে তো ছিল সব শিশু।'
মনোক্রোটোফসের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও ভারতের বাজারে এ কীটনাশক হিলকর্ন, নোভিকর্ন ও ডাইকর্ন নামে বিক্রি হয়। আখ ও ভুট্টা ক্ষেতে এর ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবীন্দ্র কুমার বলেন, 'রান্নার তেল, পড়ে থাকা খাবার এবং রান্নাঘরের চাল ও সবজিতে কী পরিমাণে মনোক্রোটোফস ছিল তা পরীক্ষা করতে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষায় খাবারের মধ্যে কীটনাশকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যা ছিল মানুষ ও পশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর।' তবে খাদ্যে কিভাবে বিষাক্ত পদার্থ মিশেছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি রবীন্দ্র, ' এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করা। এর পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক প্রধান শিক্ষকের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
গত মঙ্গলবার বিহারের সরণ জেলার গান্দামাল গ্রামের ছাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে ২৩ শিশু মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চার শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত শিশুদের সবার বয়স ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। দুপুরের খাবারে শিশুদের ভাত, ডাল ও সবজি দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পলাতক।
এফএসএল জানায়, রান্নায় ব্যবহৃত তেল, অন্যান্য উপকরণ, পানি ও খাবার প্লেটে থাকা অবশিষ্ট খাবার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তেলের মধ্যে মনোক্রোটোফসের অস্তিত্ব মিলেছে। এ তেল বাজারে থাকা মনোক্রোটোফসের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি বিষাক্ত। এ ছাড়া ঘটনার দিন অসুস্থ একটি শিশুর মুখ দিয়ে বের হওয়া ফেনা নমুনা হিসেবে তুলার মধ্যে সংরক্ষণ করা হয়। সেটাও পরীক্ষা করা হয়েছে। এফএসএলের এক সূত্র বলেছে, 'মনোক্রোটোফস খবুই বিষাক্ত পদার্থ। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য তার শরীরে ২০ মিলিগ্রাম মনোক্রোটোফসের উপস্থিতিই যথেষ্ট। আর এ ক্ষেত্রে তো ছিল সব শিশু।'
মনোক্রোটোফসের ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও ভারতের বাজারে এ কীটনাশক হিলকর্ন, নোভিকর্ন ও ডাইকর্ন নামে বিক্রি হয়। আখ ও ভুট্টা ক্ষেতে এর ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবীন্দ্র কুমার বলেন, 'রান্নার তেল, পড়ে থাকা খাবার এবং রান্নাঘরের চাল ও সবজিতে কী পরিমাণে মনোক্রোটোফস ছিল তা পরীক্ষা করতে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষায় খাবারের মধ্যে কীটনাশকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যা ছিল মানুষ ও পশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর।' তবে খাদ্যে কিভাবে বিষাক্ত পদার্থ মিশেছে তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি রবীন্দ্র, ' এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান লক্ষ্য তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করা। এর পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক প্রধান শিক্ষকের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments