মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা-শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি নিয়ে সংশয়
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর
ব্যাপারে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে রাজি করাতে পেরে খুশি মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তাঁর দাবি, উভয় পক্ষ আলোচনার টেবিলে ফিরে যাওয়ার
'বুনিয়াদ' রচনা করেছে।
এতে করে প্রায় তিন বছরের ব্যবধানে
ফের ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের দরকষাকষির সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের
একটা বড় অংশ সম্ভাব্য এ শান্তি আলোচনা শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি নিয়ে নিঃসংশয়
হতে পারছেন না।
কেরির ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে বা এর কাছাকাছি সময়ে ওয়াশিংটনে মিলিত হয়ে নতুন পর্যায়ের আলোচনার বিস্তারিত বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করবেন। যদি আশানুরূপ তা-ই হয়, তার পরও কথা থাকে। গত শুক্রবার কেরির নতুন করে এ আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার আগের দিনই (বৃহস্পতিবার) ওবামাকে টেলিফোন করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আলোচনার টেবিলে বসতে তিনি আগ্রহী। তবে আলোচনার জন্য আগে থেকে বেঁধে দেওয়া কোনো শর্ত তিনি মানবেন না। সর্বশেষ ২০১০ সালে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার কারণ ছিল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার ব্যাপারটি। ফিলিস্তিনিরা এ ক্ষেত্রে কোনো আপসে যেতে রাজি নয়। ১৯৬৭ সালের মাত্র ছয় দিনের যুদ্ধে দখল করে নেওয়া পশ্চিম তীরের একটা ক্ষুদ্র অংশ ফিলিস্তিনকে ফেরত দিতে চায় ইসরায়েল। বড় অংশের দখল চিরস্থায়ী করার অভিপ্রায়ের পাশাপাশি জেরুজালেমকেও ভাগ করতে নারাজ তারা। ফিলিস্তিনের অবস্থান ঠিক এর উল্টো। ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে অবশ্যই নতুন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হতে হবে। পশ্চিম তীরে যত বিস্তৃত আকারেই বসতি গেড়ে বসুক না কেন ইসরায়েল, তাদের তা পরিত্যাগ করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনাবিষয়ক সাবেক মধ্যস্থতাকারী অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, বাস্তবতা হলো আলেচনার পুরো ব্যাপারটি 'কঠিন প্রক্রিয়ার' মধ্য দিয়ে যাবে। কোন কোন বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দুই পক্ষ আলোচনায় বসছে- তা প্রকাশ করেননি কেরি। বরং এ ব্যাপারে সার্বিক অগ্রগতিকে তিনি সতর্কতার সঙ্গে 'উল্লেখযোগ্য' বলে অভিহিত করেছেন। মিলারের মতে, এই গোপনীয়তার অর্থ 'কেরি অনেকটা আঠার মতো দুই পক্ষকে ধরে রাখছেন। বলাই বাহুল্য, এটি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা হবে খুবই কঠিন কাজ।' কেরি এখন পর্যন্ত তাঁর মন্ত্রিত্বের অধিকাংশ সময় এই শান্তি আলোচনার পেছনে ব্যয় করেছেন। 'এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও নেতানিয়াহু নিজেরা কতটা পারস্পরিক লাভ দেখবেন, তার ওপর এর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করবে'- বলেন মিলার। গবেষণা সংস্থা অ্যামেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক মাইকেল রুবিনও শান্তি আলোচনার ব্যাপারে বেশি আশাবাদী হওয়ার বিপক্ষে। তিনি বরং আলোচনা শুরু হওয়ার ব্যাপারেই সন্দিহান। ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি করডেসম্যান বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভেদের কারণ সবারই জানা এবং দীর্ঘদিন তা অমীমাংসিত। তাই এ ব্যাপারে 'অগ্রগতি যা-ই ঘটুক, আলোচনার প্রক্রিয়া কঠিনই হবে।' ওয়াশিংটনের প্যালেস্টাইন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ইউসেফ মুনায়ের মতে, 'ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ধারাবাহিক ঔপনিবেশিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটা আবরণ দিতে কাজ করবে এ আলোচনা, আর কিছু নয়।' ব্রুকলিন ইনস্টিটিউটের নাতান সাকসও দুই পক্ষের মধ্যকার বিদ্যমান দূরত্বের কারণে সংলাপের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, আলোচনা ভেস্তে গেলে ২০০০ সালের মতো পরিস্থিতি 'সহিংস' হয়ে উঠতে পারে। ওই সময়ই শুরু হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা (বিপ্লব)। সূত্র : এপি।
কেরির ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে বা এর কাছাকাছি সময়ে ওয়াশিংটনে মিলিত হয়ে নতুন পর্যায়ের আলোচনার বিস্তারিত বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করবেন। যদি আশানুরূপ তা-ই হয়, তার পরও কথা থাকে। গত শুক্রবার কেরির নতুন করে এ আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়ার আগের দিনই (বৃহস্পতিবার) ওবামাকে টেলিফোন করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আলোচনার টেবিলে বসতে তিনি আগ্রহী। তবে আলোচনার জন্য আগে থেকে বেঁধে দেওয়া কোনো শর্ত তিনি মানবেন না। সর্বশেষ ২০১০ সালে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার কারণ ছিল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখার ব্যাপারটি। ফিলিস্তিনিরা এ ক্ষেত্রে কোনো আপসে যেতে রাজি নয়। ১৯৬৭ সালের মাত্র ছয় দিনের যুদ্ধে দখল করে নেওয়া পশ্চিম তীরের একটা ক্ষুদ্র অংশ ফিলিস্তিনকে ফেরত দিতে চায় ইসরায়েল। বড় অংশের দখল চিরস্থায়ী করার অভিপ্রায়ের পাশাপাশি জেরুজালেমকেও ভাগ করতে নারাজ তারা। ফিলিস্তিনের অবস্থান ঠিক এর উল্টো। ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারীরা বলছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে অবশ্যই নতুন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অংশ হতে হবে। পশ্চিম তীরে যত বিস্তৃত আকারেই বসতি গেড়ে বসুক না কেন ইসরায়েল, তাদের তা পরিত্যাগ করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনাবিষয়ক সাবেক মধ্যস্থতাকারী অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, বাস্তবতা হলো আলেচনার পুরো ব্যাপারটি 'কঠিন প্রক্রিয়ার' মধ্য দিয়ে যাবে। কোন কোন বিষয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দুই পক্ষ আলোচনায় বসছে- তা প্রকাশ করেননি কেরি। বরং এ ব্যাপারে সার্বিক অগ্রগতিকে তিনি সতর্কতার সঙ্গে 'উল্লেখযোগ্য' বলে অভিহিত করেছেন। মিলারের মতে, এই গোপনীয়তার অর্থ 'কেরি অনেকটা আঠার মতো দুই পক্ষকে ধরে রাখছেন। বলাই বাহুল্য, এটি শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা হবে খুবই কঠিন কাজ।' কেরি এখন পর্যন্ত তাঁর মন্ত্রিত্বের অধিকাংশ সময় এই শান্তি আলোচনার পেছনে ব্যয় করেছেন। 'এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও নেতানিয়াহু নিজেরা কতটা পারস্পরিক লাভ দেখবেন, তার ওপর এর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করবে'- বলেন মিলার। গবেষণা সংস্থা অ্যামেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক মাইকেল রুবিনও শান্তি আলোচনার ব্যাপারে বেশি আশাবাদী হওয়ার বিপক্ষে। তিনি বরং আলোচনা শুরু হওয়ার ব্যাপারেই সন্দিহান। ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি করডেসম্যান বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে বিভেদের কারণ সবারই জানা এবং দীর্ঘদিন তা অমীমাংসিত। তাই এ ব্যাপারে 'অগ্রগতি যা-ই ঘটুক, আলোচনার প্রক্রিয়া কঠিনই হবে।' ওয়াশিংটনের প্যালেস্টাইন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ইউসেফ মুনায়ের মতে, 'ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের ধারাবাহিক ঔপনিবেশিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটা আবরণ দিতে কাজ করবে এ আলোচনা, আর কিছু নয়।' ব্রুকলিন ইনস্টিটিউটের নাতান সাকসও দুই পক্ষের মধ্যকার বিদ্যমান দূরত্বের কারণে সংলাপের সফলতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, আলোচনা ভেস্তে গেলে ২০০০ সালের মতো পরিস্থিতি 'সহিংস' হয়ে উঠতে পারে। ওই সময়ই শুরু হয়েছিল ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদা (বিপ্লব)। সূত্র : এপি।
No comments