'আমার ধারণা, উনি মানসিকভাবে উত্তপ্ত আছেন'
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির
হাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা আলোচনা
করতে গিয়ে সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেছেন, আমার ধারণা, 'উনি মানসিকভাবে
উত্তপ্ত অবস্থায় আছেন।' তিনি বলেন, এই গোলাম মাওলা রনিকে মিডিয়াই রনি
বানিয়েছে।
আজ তাঁর হাতেই মিডিয়ার কর্মীরা লাঞ্ছিত হচ্ছে।
এটা শুধু একটি অপ্রীতিকর ঘটনাই নয়, একটি অপরাধ কর্মকাণ্ডও বটে। এ ধরনের
ঘটনার সুবিচার না হলে অপরাধীরা আরো সুযোগ পাবে।
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সংবাদকর্মী একজন সরকারদলীয় এমপির অফিসে লাঞ্ছিত ও আহত হয়েছেন। যদিও ওই এমপি এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, তবু বলতে হয় তিনি দুটি মামলাও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ। কিভাবে দেখছেন?
জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'গণমাধ্যমকে নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। জানি না কী নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। তবে আর যা-ই হোক, কারো গায়ে হাত দেওয়া ঠিক না।' তিনি বলেন, 'আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। মনে না চাইলে হয়তো কারো সঙ্গে কথা বলব না। কিন্তু কারো গায়ে হাত দেওয়া, মারধর করা, এটা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আমি যত দূর জানি, আহত সাংবাদিকরা এমপি রনির অফিসেও ঢোকেনি। তাঁরা তাঁর অফিসের সিঁড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রনি এসে তাঁদের হঠাৎ আক্রমণ শুরু করলেন। সাংবাদিকরা বললেন, 'আপনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে সেগুলোর বিষয়ে কিছু জানতে চাই।' সঞ্চালক বলেন, তিনি দেখা না-ও দিতে পারতেন। কথা না-ও বলতে পারতেন। তাই বলে এভাবে সাংবাদিকদের মারধর করবেন?
এ সময় সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেন, 'এটা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার জন্য এমপি গোলাম মাওলা রনির যে একটা ভালো ভাবমূর্তি ছিল, তা নষ্ট হয়ে গেছে অনেকটা। কারণ একজন ভালো লোক কোনো দিন একজন মানুষকে প্রহার করতে পারে না।' তিনি বলেন, 'সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের হাতে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম না। এর আগেও ময়মনসিংহে একজন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। সেটাও মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে টেলিফোনে অংশ নিয়ে একজন দর্শক আলোচকদের কাছে জানতে চান, এমপি রনি যে কাজটি করেছেন, এটা কি শুধুই তাঁর নিজস্ব বিষয়, না তাঁর দলের ওপরও এটার বদনাম বর্তায়।
জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, 'না, এটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। এটার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। কারণ দল তো আর তাঁকে সাংবাদিক পেটানোর কথা বলেনি।'
এ সময় সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেন, 'দল তাঁকে এমন ঘটনা করার জন্য না বললেও সে যেহেতু দলের একজন সংসদ সদস্য, তাই এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তাই এ বিষয়ে দলেরও কিছু করার আছে। দল ইচ্ছে করলে তাঁর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা দলের বিষয়। কারণ দল কোনো দিন সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ করতে পারে না।'
শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সংবাদ পর্যালোচনাভিত্তিক টক শো নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক জানতে চান, গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনের দুই সংবাদকর্মী একজন সরকারদলীয় এমপির অফিসে লাঞ্ছিত ও আহত হয়েছেন। যদিও ওই এমপি এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, তবু বলতে হয় তিনি দুটি মামলাও করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষ। কিভাবে দেখছেন?
জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'গণমাধ্যমকে নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। জানি না কী নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। তবে আর যা-ই হোক, কারো গায়ে হাত দেওয়া ঠিক না।' তিনি বলেন, 'আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই। মনে না চাইলে হয়তো কারো সঙ্গে কথা বলব না। কিন্তু কারো গায়ে হাত দেওয়া, মারধর করা, এটা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না।'
আলোচনার এ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আমি যত দূর জানি, আহত সাংবাদিকরা এমপি রনির অফিসেও ঢোকেনি। তাঁরা তাঁর অফিসের সিঁড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রনি এসে তাঁদের হঠাৎ আক্রমণ শুরু করলেন। সাংবাদিকরা বললেন, 'আপনার বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে সেগুলোর বিষয়ে কিছু জানতে চাই।' সঞ্চালক বলেন, তিনি দেখা না-ও দিতে পারতেন। কথা না-ও বলতে পারতেন। তাই বলে এভাবে সাংবাদিকদের মারধর করবেন?
এ সময় সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেন, 'এটা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার জন্য এমপি গোলাম মাওলা রনির যে একটা ভালো ভাবমূর্তি ছিল, তা নষ্ট হয়ে গেছে অনেকটা। কারণ একজন ভালো লোক কোনো দিন একজন মানুষকে প্রহার করতে পারে না।' তিনি বলেন, 'সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের হাতে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম না। এর আগেও ময়মনসিংহে একজন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। সেটাও মিডিয়ায় বেশ ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।'
আলোচনার এ পর্যায়ে টেলিফোনে অংশ নিয়ে একজন দর্শক আলোচকদের কাছে জানতে চান, এমপি রনি যে কাজটি করেছেন, এটা কি শুধুই তাঁর নিজস্ব বিষয়, না তাঁর দলের ওপরও এটার বদনাম বর্তায়।
জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, 'না, এটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। এটার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। কারণ দল তো আর তাঁকে সাংবাদিক পেটানোর কথা বলেনি।'
এ সময় সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ বলেন, 'দল তাঁকে এমন ঘটনা করার জন্য না বললেও সে যেহেতু দলের একজন সংসদ সদস্য, তাই এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। তাই এ বিষয়ে দলেরও কিছু করার আছে। দল ইচ্ছে করলে তাঁর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। এটা দলের বিষয়। কারণ দল কোনো দিন সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ করতে পারে না।'
No comments