হায় সোনালী ব্যাংক!যেখানে কেলেঙ্কারির শেষ নেই
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক কি লুটপাটের
আখড়ায় পরিণত হয়েছে? এখানে একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেই চলেছে, জনগণের
অর্থ লোপাট হয়ে যাচ্ছে, অথচ জালিয়াতি-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগই
নেই।
ফলে দুর্নীতি না কমে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আর তারই
প্রমাণ পাওয়া যায় বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে। ব্যাংকটির
স্থানীয় কার্যালয়ে ২০১২ সালে সংঘটিত লেনদেন নিরীক্ষা করে দেখা যায়,
ব্যাংকটি থেকে ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদানে বড়
ধরনের অনিয়ম রয়েছে। অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি ক্রেতার চাহিদাপত্র
কিংবা রপ্তানি আদেশ ছাড়াই স্থানীয় ঋণপত্র খোলা, উপযুক্ত জামানত ছাড়াই বড়
অঙ্কের ঋণ প্রদান, সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে কিংবা আগের ঋণ অনাদায়ী রেখেই নতুন ঋণ
প্রদান- এমনি অনেক কিছু। অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রদত্ত এই
ঋণের অর্থ আদায় হওয়া নিয়ে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে কার
ক্ষতি হবে? ক্ষতি হবে রাষ্ট্রের তথা জনগণের। অথচ সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত
ব্যাংকগুলোর দুর্নীতি দূর না করে বরং তার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। এবারও সোনালী
ব্যাংক সরকারের কাছে চার হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। এবারের
বাজেটেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা
হয়েছে। কেন?
ইতিপূর্বে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা হলমার্ক গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল, যা নিয়ে শুধু ব্যাংক নয়, সরকারও ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। হলমার্ক গ্রুপকে দেওয়া দুই হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৪১০ কোটি টাকা আদায় করা গেছে। বাকি অর্থ আদায় হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। জনগণের অর্থ নিয়ে এ রকম জাল-জুয়াচুরি করার জন্যই কি সোনালী ব্যাংককে আরো টাকা দেওয়া হবে? শুধু ঋণের ক্ষেত্রেই নয়, সোনালী ব্যাংকে আরো অনেক ধরনের প্রতারণার ঘটনাই অহরহ ঘটে চলেছে। অডিট প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাল চেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের চেক জালিয়াতি করে এই টাকা নেওয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রতিষ্ঠান এর দায় নেয়নি। ফলে গচ্চা দিতে হয়েছে ব্যাংককেই। বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহককে জানানোর নিয়ম থাকলেও যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহককে না জানিয়ে এই চেকের টাকা পরিশোধ করেছে, তাদেরও কোনো শাস্তি হয়নি। এত বড় অনিয়মও যেখানে শাস্তিহীন থেকে যায়, সেখানে অনিয়ম তো রন্ধ্রে রন্ধ্রে থেকে যাবেই। আর সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রাষ্ট্র অর্থ জোগাবে?
সোনালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হোক। সেখানকার কর্মকর্তাদের প্রত্যেকের সহায়-সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হোক এবং দুদক সেগুলো তদন্ত করে দেখুক। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং অনিয়ম দূর না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ রাখা হোক।
ইতিপূর্বে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা হলমার্ক গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল, যা নিয়ে শুধু ব্যাংক নয়, সরকারও ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। হলমার্ক গ্রুপকে দেওয়া দুই হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৪১০ কোটি টাকা আদায় করা গেছে। বাকি অর্থ আদায় হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। জনগণের অর্থ নিয়ে এ রকম জাল-জুয়াচুরি করার জন্যই কি সোনালী ব্যাংককে আরো টাকা দেওয়া হবে? শুধু ঋণের ক্ষেত্রেই নয়, সোনালী ব্যাংকে আরো অনেক ধরনের প্রতারণার ঘটনাই অহরহ ঘটে চলেছে। অডিট প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাল চেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানের চেক জালিয়াতি করে এই টাকা নেওয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রতিষ্ঠান এর দায় নেয়নি। ফলে গচ্চা দিতে হয়েছে ব্যাংককেই। বড় লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহককে জানানোর নিয়ম থাকলেও যে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহককে না জানিয়ে এই চেকের টাকা পরিশোধ করেছে, তাদেরও কোনো শাস্তি হয়নি। এত বড় অনিয়মও যেখানে শাস্তিহীন থেকে যায়, সেখানে অনিয়ম তো রন্ধ্রে রন্ধ্রে থেকে যাবেই। আর সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন রাষ্ট্র অর্থ জোগাবে?
সোনালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হোক। সেখানকার কর্মকর্তাদের প্রত্যেকের সহায়-সম্পত্তির হিসাব নেওয়া হোক এবং দুদক সেগুলো তদন্ত করে দেখুক। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং অনিয়ম দূর না হওয়া পর্যন্ত সেখানে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ রাখা হোক।
No comments