স্বাগত জানালেন নেতানিয়াহু কট্টর অবস্থানে দুই মন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত শনিবার তিনি বলেন, ইসরায়েলের কৌশলগত স্বার্থেই শান্তি আলোচনা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দুই মন্ত্রী শক্ত অবস্থান নিয়ে গতকাল রোববার বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার বিষয়ে অগ্রগতি হলেও অধিকৃত ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ার গতি কমানো হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ঝটিকা সফরের পর গত শুক্রবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ঘোষণা দেন, এক সপ্তাহ বা তার কাছাকাছি কোনো সময়ে ওয়াশিংটনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন আবার সরাসরি আলোচনায় বসছে। এর পরদিন এ ব্যাপারে সরাসরি কথা বললেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘শুধু ফিলিস্তিনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মেটানোই নয়, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আনতেও এ আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।’ নেতানিয়াহু বলেন, জর্ডান নদী ও ভূমধ্যসাগরের মাঝখানে একটি দ্বিজাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রতিরোধের বিষয়টি তাঁর মাথায় আছে। কারণ তা ভবিষ্যতে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হবে। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বশেষ সরাসরি আলোচনা হয় ২০১০ সালে। ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের অধিকৃত ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি গড়া শুরু করলে ওই আলোচনা ভেঙে যায়। ইসরায়েলের দুজন কট্টরপন্থী মন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হলেও ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের গতি কমবে না। পরিবহনমন্ত্রী ও নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির নেতা ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘আমরা অবশ্যই বসতি সম্প্রসারণ বন্ধ করব না। লোকজনের বাসস্থান তৈরি বন্ধ করলে তা হবে অনৈতিক ও অমানবিক কাজ।’ তিনি বলেন, ‘আমি বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের পুরো বিপক্ষে।’ ইসরায়েলের আবাসন মন্ত্রী ও কট্টরপন্থী দল জিউয়িশ হোম পার্টির নেতা ইউরি অ্যারিয়েল বলেন, তিনি বসতি সম্প্রসারণের গতি কমানোর কথা বিবেচনা করছেন না। তিনি বলেন, ‘যত বেশি সম্ভব বসতি গড়ার পক্ষেই আমার অবস্থান।’ ইসরায়েলের গোয়েন্দা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী ইউভাল তেইনিৎজ গত শনিবার জানান, সরাসরি আলোচনা শুরুর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। তবে কতজনকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে সেই সংখ্যা উল্লেখ করেননি তিনি। এএফপি, রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
No comments