দৈনিক মুক্তির বার্তা৯০ বছরের সাজা শেষ মুক্তি পেলেন গোলাম আযম
৯০ বছরের সাজা শেষে গতকাল মুক্তি পেয়েছেন
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যুদ্ধাপরাধী
গোলাম আযম। ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া রায়ে এই দীর্ঘ কারা ভোগ করেন তিনি।
সকাল
থেকেই গোলাম আযমের ভক্ত, অনুসারী, পরিবার ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত হন
কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে। প্রায় প্রত্যেকের হাতে ছিল কাঁঠালপাতায় তৈরি
বিশেষ মালা।
১৯৯১ সালের মতো কেউ যেন গোলাম আযমকে জুতাপেটা করতে না পারে, সে জন্য কারাগার ও এর আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন ছিল পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য। এ সময় বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষকে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুপুর ১২টা এক মিনিটে কারাগারের প্রধান দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন গোলাম আযম। এ সময় ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে গিয়ে তাঁর গলায় কাঁঠালপাতার মালা পরিয়ে দেন। ৯০ বছর পর প্রিয় কাঁঠালপাতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন গোলাম আযম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গোলাম আযম বলেন, ‘মুক্তি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। পাকিস্তানের সময় এই কারাগারে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল। তাই এত দিন ওখানে থাকতে বেশ আপন আপন লেগেছে। মনে হয়েছে, নিজ ঘরেই আছি। বহু বছর পর আবার পুণ্যভূমি পাকিস্তানে যেতে পারব—ভাবতেই দিলখুশ লাগতেসে!’ জানা গেছে, কারাগারে কোনো মুক্তিযোদ্ধার বংশধর না থাকায় বেশ নির্ভয়ে ছিলেন গোলাম আযম। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। একটু পর পরই তিনি আশপাশে তাকিয়ে দেখছিলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধার বংশের কেউ আছে কি না।
জেলখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করে গোলাম আযমের গাড়িবহর। এ সময় রাস্তার দুই পাশ থেকে ভেসে আসে স্লোগান: ‘গ-তে গোলাম আযম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’। এ সময় গোলাম আযমকে বিমর্ষ ও হতাশ মনে হচ্ছিল।
জানা গেছে, আগামীকালই পাকিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা করবেন গোলাম আযম। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বাসায় ফিরেই গোলাম আযম বলেছেন, ‘এ দেশে আর একমুহূর্তও নয়। পাকিস্তানে চলে যাব।’
১৯৯১ সালের মতো কেউ যেন গোলাম আযমকে জুতাপেটা করতে না পারে, সে জন্য কারাগার ও এর আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন ছিল পুলিশ ও র্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য। এ সময় বিপুলসংখ্যক সাধারণ মানুষকে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুপুর ১২টা এক মিনিটে কারাগারের প্রধান দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসেন গোলাম আযম। এ সময় ভক্ত-অনুরাগীরা ছুটে গিয়ে তাঁর গলায় কাঁঠালপাতার মালা পরিয়ে দেন। ৯০ বছর পর প্রিয় কাঁঠালপাতা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন গোলাম আযম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গোলাম আযম বলেন, ‘মুক্তি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। পাকিস্তানের সময় এই কারাগারে অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছিল। তাই এত দিন ওখানে থাকতে বেশ আপন আপন লেগেছে। মনে হয়েছে, নিজ ঘরেই আছি। বহু বছর পর আবার পুণ্যভূমি পাকিস্তানে যেতে পারব—ভাবতেই দিলখুশ লাগতেসে!’ জানা গেছে, কারাগারে কোনো মুক্তিযোদ্ধার বংশধর না থাকায় বেশ নির্ভয়ে ছিলেন গোলাম আযম। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে অজানা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। একটু পর পরই তিনি আশপাশে তাকিয়ে দেখছিলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধার বংশের কেউ আছে কি না।
জেলখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করে গোলাম আযমের গাড়িবহর। এ সময় রাস্তার দুই পাশ থেকে ভেসে আসে স্লোগান: ‘গ-তে গোলাম আযম, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’। এ সময় গোলাম আযমকে বিমর্ষ ও হতাশ মনে হচ্ছিল।
জানা গেছে, আগামীকালই পাকিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা করবেন গোলাম আযম। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বাসায় ফিরেই গোলাম আযম বলেছেন, ‘এ দেশে আর একমুহূর্তও নয়। পাকিস্তানে চলে যাব।’
No comments