অনলাইন থেকে-ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে শান্তি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া একটি পথনির্দেশনার
সংবাদ ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেজে প্রকাশিত হয়েছে ১৬ জুলাই। ইসরায়েলকে
২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কিভাবে চলতে হবে, সে রকম একটি পথনির্দেশনার কথা
বলা হয়েছে সেখানে।
ইসরায়েলের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা এই সংবাদকে ভূমিকম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সেই নির্দেশনায় উল্লেখ আছে, ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো আর্থিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা করবে না। আর ইসরায়েল গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান উপত্যকার মতো জায়গাগুলো সেই ১৯৬৭ সাল থেকেই দখল করে রেখেছে। তারা আরো উল্লেখ করেছে, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব চুক্তি কিংবা সমঝোতা সম্পন্ন হবে, সেখানেও একটি শর্ত উল্লেখ থাকবে- সেটি হচ্ছে, অধিকৃত এসব এলাকা আর ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইসরায়েলের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই নির্দেশনায়। তারা বোঝাতে চাইছে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিমালাকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে, তাতে তাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা সুখকর হবে না। তারা ইসরায়েলকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে না। তার জন্য তাকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীনও হতে হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনে অন্য আরো কোনো কঠোর উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নির্দেশনা প্রমাণ করে, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক অধিকৃত জায়গাগুলোতে ইসরায়েল সার্বভৌমত্ব দাবি করতে পারে না। আর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও ওই যুদ্ধ-পূর্ববর্তী এলাকা নিয়ে গঠিত। জাতিসংঘের সাধারণ সভায়ও সেই সীমানাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুদ্ধ-পূর্ববর্তীকালীন সীমানাকে সামনে রেখে। শুধু তা-ই নয়, এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে- এখন থেকে ইসরায়েলের কোনো নাগরিক ইউরোপে ভ্রমণ করতে গেলে তাকে ঘোষণা দিতে হবে, সে নির্ভেজাল ইসরায়েলের নাগরিক কি না। ইসরায়েলের দখল করা কোনো এলাকার কোনো অধিবাসী যদি ইসরায়েলের পাসপোর্ট বহন করে, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এই বার্তা ইসরায়েলের জন্য কঠোর ভালোবাসা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে এও ঠিক, এটা সব ইসরায়েলি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে বলেও মনে করা যায় না। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র আবার উদ্যোগী ভূমিকায় এগিয়ে এসেছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য। অথচ প্রচলিত আছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পেয়েই ইসরায়েল আগ্রাসী নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কম নয়। উভয় পক্ষই নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট। সেখানে দখল করা জায়গা ফিলিস্তিনের হাতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হয়তো ইতিবাচক মোড় কোনো দিন নেবে। সে ক্ষেত্রে শান্তি আলোচনা কিংবা ইইউর দিকনির্দেশনার মতো কোনো উদ্যোগও সাফল্য লাভে সক্ষম হতে পারে।
লেখক : জন ভি হুইটবেক, আলজাজিরা থেকে
ভাষান্তর : মোস্তফা হোসেইন
সেই নির্দেশনায় উল্লেখ আছে, ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন কোনো আর্থিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা করবে না। আর ইসরায়েল গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান উপত্যকার মতো জায়গাগুলো সেই ১৯৬৭ সাল থেকেই দখল করে রেখেছে। তারা আরো উল্লেখ করেছে, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব চুক্তি কিংবা সমঝোতা সম্পন্ন হবে, সেখানেও একটি শর্ত উল্লেখ থাকবে- সেটি হচ্ছে, অধিকৃত এসব এলাকা আর ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ইসরায়েলের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই নির্দেশনায়। তারা বোঝাতে চাইছে, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন ও বিধিমালাকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে, তাতে তাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা সুখকর হবে না। তারা ইসরায়েলকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে কেউ পার পেয়ে যেতে পারে না। তার জন্য তাকে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীনও হতে হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনে অন্য আরো কোনো কঠোর উদ্যোগও নেওয়া হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নির্দেশনা প্রমাণ করে, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক অধিকৃত জায়গাগুলোতে ইসরায়েল সার্বভৌমত্ব দাবি করতে পারে না। আর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও ওই যুদ্ধ-পূর্ববর্তী এলাকা নিয়ে গঠিত। জাতিসংঘের সাধারণ সভায়ও সেই সীমানাকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যুদ্ধ-পূর্ববর্তীকালীন সীমানাকে সামনে রেখে। শুধু তা-ই নয়, এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে- এখন থেকে ইসরায়েলের কোনো নাগরিক ইউরোপে ভ্রমণ করতে গেলে তাকে ঘোষণা দিতে হবে, সে নির্ভেজাল ইসরায়েলের নাগরিক কি না। ইসরায়েলের দখল করা কোনো এলাকার কোনো অধিবাসী যদি ইসরায়েলের পাসপোর্ট বহন করে, তাহলে তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এই বার্তা ইসরায়েলের জন্য কঠোর ভালোবাসা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। তবে এও ঠিক, এটা সব ইসরায়েলি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে বলেও মনে করা যায় না। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধান ভরসাস্থল হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র আবার উদ্যোগী ভূমিকায় এগিয়ে এসেছে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য। অথচ প্রচলিত আছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পেয়েই ইসরায়েল আগ্রাসী নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কম নয়। উভয় পক্ষই নিজ নিজ স্বার্থ সংরক্ষণে সচেষ্ট। সেখানে দখল করা জায়গা ফিলিস্তিনের হাতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হয়তো ইতিবাচক মোড় কোনো দিন নেবে। সে ক্ষেত্রে শান্তি আলোচনা কিংবা ইইউর দিকনির্দেশনার মতো কোনো উদ্যোগও সাফল্য লাভে সক্ষম হতে পারে।
লেখক : জন ভি হুইটবেক, আলজাজিরা থেকে
ভাষান্তর : মোস্তফা হোসেইন
No comments