তরুণদের ভোট বেশি প্রয়োজন বিএনপির by মেসবাহউদ্দিন আহমেদ
বাঙালি স্বাধীনচেতা। কারো অধীনতায়
বাঙালিদের আটকে রাখা যায়নি। বাঙালি রক্তস্রোত সব সময়ই বাঁধ ভাঙার পক্ষে।
কোনো অপশক্তি বাঙালিদের থামাতে পারেনি, পারবেও না। অন্তত এটাই আমার দৃঢ়
বিশ্বাস।
আমার দর্শন এটাই বলে। বাঙালির মুখে একবার যে
প্রতিবাদ উঠেছে, তা সফলতায় পরিণত হয়েছে। বিগত ইতিহাসই এর সাক্ষ্য। আজ
গণজাগরণ মঞ্চের প্রজন্ম চত্বর থেকে যে দাবি উঠেছে, সেটাও সেই বাঙালির দাবি,
এ দাবি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার কথা নয়। বাঙালির দীর্ঘ ইতিহাস পাল্টে
যাওয়ার কথা নয়, অন্তত আমি এটি বিশ্বাস করি। কোনো অপশক্তিকে ব্যারিকেড তৈরি
করে বাঁচানো যায় না। যারা করে, ব্যর্থ হয় তারা। ইতিহাস তাদের আঁস্তাকুড়ে
নিক্ষেপ করে। বিশ্ব ইতিহাসে এটাই হতে দেখেছি আমি।
স্বাধীনতাযুদ্ধে যে অপশক্তিটি পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নারী ধর্ষণ করেছিল, তারা এ দেশে রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে পরিচিত। কারো অজানা নয়, একাত্তরের রাজাকারদের প্রায় সবারই শক্ত অবস্থান জামায়াতে। একাত্তরে তারা রাজাকারি করেছে। ১৯৭৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তারা স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারি মনোভাব প্রদর্শন করেছে এবং ২০১৩ সালে এসে তারা আবার স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছে। এই অশুভ শক্তি আজ সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। একাত্তরে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলে পড়েছে এবং লোকালয়ে আগুন দিয়েছে- এখনো দিচ্ছে। সে সময় তারা পতাকা ছিঁড়েছে, শহীদ মিনার ভেঙেছে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে- এখনো করছে। মোট কথা, জামায়াতে ইসলামী দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে ধরনের জঙ্গি মনোভাব দেখিয়ে আসছে, তার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি আজও। সাম্প্রতিক সময়ের তাণ্ডবের আগেও এদেরই অনুচররা যশোরে উদীচীর সম্মেলনে, রমনায় ছায়ানটের অনুষ্ঠানে, ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে, বানিয়াচংয়ের খ্রিস্টান গির্জায় বোমা হামলা, রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ছাড়াও প্রগতিশীল শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এটা তাদের ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতাই প্রমাণ। ঠিক একই ধরনের নিষ্ঠুরতা তারা এখন প্রদর্শন করছে। নাম ধরে ধরে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে, এমনকি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে।
জামায়াত একটি মৌলবাদী দল। এ ধরনের দলের বৈশিষ্ট্য হলো এরা ফ্যাসিবাদী। এরা তাদের মতবাদ ও মতামত জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর, খেলাফত মজলিসের মতো কয়েকটি কট্টরপন্থী দল এদেরই শাখা-উপশাখা। এরা সবাই প্রগতিবিরোধী। সন্ত্রাস তাদের মন্ত্র। ধর্মীয় লেবাস তাদের হাতিয়ার ও রক্ষাকবচ। কোনো অর্থেই তারা ধর্মভীরু নয়, তারা ধর্মাশ্রয়ী। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বাঙালি সংস্কৃতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী। এ কারণে তারা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ করে। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি শাসকরাও একই ভাবাদর্শে বিশ্বাসী ছিল। সেই কারণে পাকিস্তানিরা বারবার চেষ্টা করেছিল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আঘাত করতে। আর এখন পাকিস্তানিদের দোসররা স্বাধীন বাংলাদেশে একই খেলায় মেতেছে। এই জঘন্য খেলা দেশের তরুণ সমাজ কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তারা প্রতিবাদ করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের বারবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে, যে দলটি দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধকে বলার চেষ্টা করেছে গণ্ডগোল, মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের করেছে ধর্ষণ তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
কেউ কেউ এমনও বলছেন যে দেশের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশই মনে করে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসার পেছনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারো ভূমিকাই কম নয়। আশার কথা হলো, দেশের তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা অবস্থানে যেতে পেরেছে। পাশাপাশি বিএনপিও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।
বিএনপি তরুণ প্রজন্মের এই আকাঙ্ক্ষাকে পায়ে দলল এই কারণে যে তাদের কাছে ভোটের রাজনীতিতে দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে বড় এখন জামায়াত। বিএনপি ভেবে বসে আছে, জামায়াত তাদের সঙ্গে থাকলে আগামীতে তারা মৌলবাদী ভোট কুড়িয়ে আবারও সরকার গঠন করতে পারবে। বিএনপি নেতাদের, বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে যে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে তা খুবই সরল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল। তাহলে সে সময় বিএনপির এমন ফল বিপর্যয় হলো কেন? তাহলে কী এ প্রশ্ন ওঠে না, সে সময় জামায়াত আসলে বিএনপির প্রার্থীদের ভোট দেয়নি। জামায়াতের প্রার্থী যে আসনে ছিল, সে আসনে জামায়াতের লোকজন ভোট দিতে কেন্দ্রে গেছে, আর যে আসনে জামায়াতের প্রার্থী নেই, সে আসনে জামায়াত ভোটদানে বিরত থেকেছে।
বিএনপির জন্য জামায়াতের চেয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভোট অনেক বেশি প্রয়োজন। তরুণরা যা খুশি তা-ই করতে পারে, তরুণরাই বদলে দিতে পারে দেশ ও সমাজ। তরুণ সমাজ বুঝেছিল, আওয়ামী লীগের পক্ষেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব। সে জন্য তারা গত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকারে নিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের চিন্তাভাবনা করছে। এ কাজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি বিন্দুমাত্র অসচেতনতার পরিচয় দেয়, তাহলে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেবে। পক্ষান্তরে বিএনপি যদি এখনো তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সচেতন না হয়ে জামায়াতকেই আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকে, তাহলে গত নির্বাচন থেকেও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বিএনপির জন্য।
লেখক : অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
স্বাধীনতাযুদ্ধে যে অপশক্তিটি পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নারী ধর্ষণ করেছিল, তারা এ দেশে রাজাকার, আলবদর, আলশামস নামে পরিচিত। কারো অজানা নয়, একাত্তরের রাজাকারদের প্রায় সবারই শক্ত অবস্থান জামায়াতে। একাত্তরে তারা রাজাকারি করেছে। ১৯৭৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তারা স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারি মনোভাব প্রদর্শন করেছে এবং ২০১৩ সালে এসে তারা আবার স্বমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছে। এই অশুভ শক্তি আজ সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। একাত্তরে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলে পড়েছে এবং লোকালয়ে আগুন দিয়েছে- এখনো দিচ্ছে। সে সময় তারা পতাকা ছিঁড়েছে, শহীদ মিনার ভেঙেছে, কুপিয়ে মানুষ হত্যা করেছে- এখনো করছে। মোট কথা, জামায়াতে ইসলামী দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে ধরনের জঙ্গি মনোভাব দেখিয়ে আসছে, তার এতটুকু পরিবর্তন হয়নি আজও। সাম্প্রতিক সময়ের তাণ্ডবের আগেও এদেরই অনুচররা যশোরে উদীচীর সম্মেলনে, রমনায় ছায়ানটের অনুষ্ঠানে, ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে, বানিয়াচংয়ের খ্রিস্টান গির্জায় বোমা হামলা, রামুর বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ছাড়াও প্রগতিশীল শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। এটা তাদের ধারাবাহিক নিষ্ঠুরতাই প্রমাণ। ঠিক একই ধরনের নিষ্ঠুরতা তারা এখন প্রদর্শন করছে। নাম ধরে ধরে তারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোকদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে, এমনকি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে।
জামায়াত একটি মৌলবাদী দল। এ ধরনের দলের বৈশিষ্ট্য হলো এরা ফ্যাসিবাদী। এরা তাদের মতবাদ ও মতামত জোর করে অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর, খেলাফত মজলিসের মতো কয়েকটি কট্টরপন্থী দল এদেরই শাখা-উপশাখা। এরা সবাই প্রগতিবিরোধী। সন্ত্রাস তাদের মন্ত্র। ধর্মীয় লেবাস তাদের হাতিয়ার ও রক্ষাকবচ। কোনো অর্থেই তারা ধর্মভীরু নয়, তারা ধর্মাশ্রয়ী। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বাঙালি সংস্কৃতি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী। এ কারণে তারা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ করে। বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি শাসকরাও একই ভাবাদর্শে বিশ্বাসী ছিল। সেই কারণে পাকিস্তানিরা বারবার চেষ্টা করেছিল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে আঘাত করতে। আর এখন পাকিস্তানিদের দোসররা স্বাধীন বাংলাদেশে একই খেলায় মেতেছে। এই জঘন্য খেলা দেশের তরুণ সমাজ কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তারা প্রতিবাদ করেছে। রাজনৈতিক নেতাদের বারবার মনে করিয়ে দিতে চেয়েছে, যে দলটি দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, যারা একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধকে বলার চেষ্টা করেছে গণ্ডগোল, মুক্তিযুদ্ধকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, মা-বোনদের করেছে ধর্ষণ তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
কেউ কেউ এমনও বলছেন যে দেশের তরুণ সমাজের একটা বড় অংশই মনে করে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসার পেছনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি কারো ভূমিকাই কম নয়। আশার কথা হলো, দেশের তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা অবস্থানে যেতে পেরেছে। পাশাপাশি বিএনপিও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। বিএনপি বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।
বিএনপি তরুণ প্রজন্মের এই আকাঙ্ক্ষাকে পায়ে দলল এই কারণে যে তাদের কাছে ভোটের রাজনীতিতে দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে বড় এখন জামায়াত। বিএনপি ভেবে বসে আছে, জামায়াত তাদের সঙ্গে থাকলে আগামীতে তারা মৌলবাদী ভোট কুড়িয়ে আবারও সরকার গঠন করতে পারবে। বিএনপি নেতাদের, বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে যে বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে তা খুবই সরল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে ছিল। তাহলে সে সময় বিএনপির এমন ফল বিপর্যয় হলো কেন? তাহলে কী এ প্রশ্ন ওঠে না, সে সময় জামায়াত আসলে বিএনপির প্রার্থীদের ভোট দেয়নি। জামায়াতের প্রার্থী যে আসনে ছিল, সে আসনে জামায়াতের লোকজন ভোট দিতে কেন্দ্রে গেছে, আর যে আসনে জামায়াতের প্রার্থী নেই, সে আসনে জামায়াত ভোটদানে বিরত থেকেছে।
বিএনপির জন্য জামায়াতের চেয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের ভোট অনেক বেশি প্রয়োজন। তরুণরা যা খুশি তা-ই করতে পারে, তরুণরাই বদলে দিতে পারে দেশ ও সমাজ। তরুণ সমাজ বুঝেছিল, আওয়ামী লীগের পক্ষেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব। সে জন্য তারা গত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সরকারে নিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের চিন্তাভাবনা করছে। এ কাজে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি বিন্দুমাত্র অসচেতনতার পরিচয় দেয়, তাহলে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নেবে। পক্ষান্তরে বিএনপি যদি এখনো তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে সচেতন না হয়ে জামায়াতকেই আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকে, তাহলে গত নির্বাচন থেকেও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বিএনপির জন্য।
লেখক : অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
No comments