সিলেটকে আধ্যাত্মিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব by বদরউদ্দিন আহমদ কামরান
বিশেষ সাক্ষাৎকার : চার মেয়র পদপ্রার্থী
সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন
১৫ জুন হতে যাচ্ছে চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।
সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন
১৫ জুন হতে যাচ্ছে চার সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।
প্রার্থীরা জনসংযোগে ব্যস্ত। নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরছেন। সিলেট ও
খুলনা সিটি করপোরেশনের চার মেয়র পদপ্রার্থী কালের কণ্ঠের মুখোমুখি
হয়েছিলেন। সিলেটের মহাজোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও
১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সাক্ষাৎকার
নিয়েছেন আবদুর রহমান। খুলনার মহাজোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার
আবদুল খালেক ও ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মনির
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গৌরাঙ্গ নন্দীকালের কণ্ঠ : তিনবার কমিশনার, একবার
চেয়ারম্যান, দুবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও কেন মেয়র হতে চান?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : দেখুন, সিলেট নগরবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গে আমি এমনভাবে মিশে গেছি যে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই। তাদের সুখ-দুঃখের সাথি হতে চাই। তাদের সেবা করতে চাই। আর তাই মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। সিলেট নগরকে একটি আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কালের কণ্ঠ : দীর্ঘ সময় নগর ভবনের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময়ের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলবেন?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : হ্যাঁ, আমার অনেক সফলতা রয়েছে। বিগত সময় আমি যখন চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলাম তখন রাজনৈতিকভাবে আমি ছিলাম বিরোধী দলে। তাই সে সময় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে সিলেটে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করিয়েছি। তবে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও রয়েছে বলে মনে করি। সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।
সিলেট নগরীটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। একসময় পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে ছিল পৌরসভা। আজ সেই ছোট পৌরসভা ২৭টি ওয়ার্ডের বিশাল নগরী। নগরীতে প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের চাহিদা। কিন্তু সেভাবে চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। তার পরও আমরা নাগরিক চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে তা পূরণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নগরীর এমন কোনো ওয়ার্ড নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
কালের কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর সমস্যা কী কী?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : নগরীর প্রধান সমস্যা চারটি। প্রথমত, জলাবদ্ধতা; দ্বিতীয়ত, যানজট; তৃতীয়ত, খাবার পানি সংকট এবং চতুর্থত, ফুটপাত। গত ১৮ বছরে এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়েছে। আবারও মেয়র নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিলেট বৃষ্টিবহুল ও টিলাবেষ্টিত শহর। এখানে যেকোনো শহরের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার জন্য নগরীর ভেতর দিয়ে ছোট-বড় ৯টি ছড়া বয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ছড়াগুলো জবরদখল হয়ে আছে। অনেক জায়গায় ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া নাগরিকরা অবাধে যত্রতত্র পলিথিন ব্যাগ ও ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় ছড়াগুলো পানি বহন করতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিগত সময়ে ছড়া উদ্ধারের লক্ষ্যে ১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যে ছড়াগুলো অবৈধ দখলে চলে গিয়েছিল সেগুলোতে রিটেইনিং ওয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে আবারও দখল হয়ে না যায়। তাই এখন আর দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা হচ্ছে না।
আমি মনে করি, জলাবদ্ধতা নিরসনে এত অল্প বাজেটের প্রকল্প দিয়ে ছড়া দখলমুক্ত ও ছড়া উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আরো বেশি টাকার প্রয়োজন। আরো বেশি কাজের প্রয়োজন। তাই নগরীর মাস্টারপ্লানে এ বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আমরা এখন নগরবাসীর চাহিদার তুলনায় পানি দিতে পারছি না। এ সমস্যা সমাধানে শহরের পাশেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে ১৪টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আর নগরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা থাকবে না।
চতুর্থ সমস্যা ফুটপাত। সারা বছরই ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে থাকে। ফুটপাত দিয়ে পায়ে হাঁটার জন্য একটু জায়গাও খালি থাকে না। বারবার ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা দিলেও ফুটপাত হকারমুক্ত হয়নি। সিলেটে হকারদের বিষয়টি অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মনে করি, হকারদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : শুরুতে আধ্যাত্মিক নগরীর কথা বলেছেন আপনি। এ সম্পর্কে কী ধারণা দিতে চান?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : এ শহরে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে থাকবে। আধ্যাত্মিক নগরী গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দিরে আমরা অনুদান দিয়েছি। বিভিন্ন মাজারে গেট নির্মাণ করেছি। শাহজালাল ঘাট সংস্কারে কাজ শুরু করেছি। মদনমোহন কলেজ ও সরকারি কলেজে শহীদ মিনার বানিয়েছি। মোটকথা, সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের উন্নয়ন করে সিলেটকে আধ্যাত্মিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই আমার নির্বাচনের প্রধান প্রতিশ্রুতি।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : আপনাকেও ধন্যবাদ।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : দেখুন, সিলেট নগরবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গে আমি এমনভাবে মিশে গেছি যে নগরবাসীর পাশে থাকতে চাই। তাদের সুখ-দুঃখের সাথি হতে চাই। তাদের সেবা করতে চাই। আর তাই মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছি। সিলেট নগরকে একটি আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। কালের কণ্ঠ : দীর্ঘ সময় নগর ভবনের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময়ের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে কিছু বলবেন?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : হ্যাঁ, আমার অনেক সফলতা রয়েছে। বিগত সময় আমি যখন চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলাম তখন রাজনৈতিকভাবে আমি ছিলাম বিরোধী দলে। তাই সে সময় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে সিলেটে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করিয়েছি। তবে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাও রয়েছে বলে মনে করি। সফলতা-ব্যর্থতা নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।
সিলেট নগরীটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। একসময় পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে ছিল পৌরসভা। আজ সেই ছোট পৌরসভা ২৭টি ওয়ার্ডের বিশাল নগরী। নগরীতে প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের চাহিদা। কিন্তু সেভাবে চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। তার পরও আমরা নাগরিক চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে তা পূরণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ, সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নগরীর এমন কোনো ওয়ার্ড নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
কালের কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর সমস্যা কী কী?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : নগরীর প্রধান সমস্যা চারটি। প্রথমত, জলাবদ্ধতা; দ্বিতীয়ত, যানজট; তৃতীয়ত, খাবার পানি সংকট এবং চতুর্থত, ফুটপাত। গত ১৮ বছরে এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়েছে। আবারও মেয়র নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিলেট বৃষ্টিবহুল ও টিলাবেষ্টিত শহর। এখানে যেকোনো শহরের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার জন্য নগরীর ভেতর দিয়ে ছোট-বড় ৯টি ছড়া বয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ছড়াগুলো জবরদখল হয়ে আছে। অনেক জায়গায় ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। এ ছাড়া নাগরিকরা অবাধে যত্রতত্র পলিথিন ব্যাগ ও ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় ছড়াগুলো পানি বহন করতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিগত সময়ে ছড়া উদ্ধারের লক্ষ্যে ১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যে ছড়াগুলো অবৈধ দখলে চলে গিয়েছিল সেগুলোতে রিটেইনিং ওয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে আবারও দখল হয়ে না যায়। তাই এখন আর দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা হচ্ছে না।
আমি মনে করি, জলাবদ্ধতা নিরসনে এত অল্প বাজেটের প্রকল্প দিয়ে ছড়া দখলমুক্ত ও ছড়া উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য আরো বেশি টাকার প্রয়োজন। আরো বেশি কাজের প্রয়োজন। তাই নগরীর মাস্টারপ্লানে এ বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আমরা এখন নগরবাসীর চাহিদার তুলনায় পানি দিতে পারছি না। এ সমস্যা সমাধানে শহরের পাশেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে ১৪টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আর নগরবাসীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা থাকবে না।
চতুর্থ সমস্যা ফুটপাত। সারা বছরই ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে থাকে। ফুটপাত দিয়ে পায়ে হাঁটার জন্য একটু জায়গাও খালি থাকে না। বারবার ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার ঘোষণা দিলেও ফুটপাত হকারমুক্ত হয়নি। সিলেটে হকারদের বিষয়টি অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মনে করি, হকারদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
কালের কণ্ঠ : শুরুতে আধ্যাত্মিক নগরীর কথা বলেছেন আপনি। এ সম্পর্কে কী ধারণা দিতে চান?
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : এ শহরে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে থাকবে। আধ্যাত্মিক নগরী গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দিরে আমরা অনুদান দিয়েছি। বিভিন্ন মাজারে গেট নির্মাণ করেছি। শাহজালাল ঘাট সংস্কারে কাজ শুরু করেছি। মদনমোহন কলেজ ও সরকারি কলেজে শহীদ মিনার বানিয়েছি। মোটকথা, সব ধর্মীয় উপাসনালয়ের উন্নয়ন করে সিলেটকে আধ্যাত্মিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। এটাই আমার নির্বাচনের প্রধান প্রতিশ্রুতি।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
বদরউদ্দিন আহমদ কামরান : আপনাকেও ধন্যবাদ।
No comments