প্রিজম নিয়ে ৭ প্রশ্নের উত্তর চায় ইইউ'-স্নোডেনকে হত্যা করা হতে পারে'

ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও টেলিফোনে আড়িপাতাসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন কর্মসূচি 'প্রিজম' নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার জানিয়েছে, এর মধ্য দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইনের লঙ্ঘন হয়ে থাকলে, তা মেনে নেওয়া হবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) গতকাল মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেছে, প্রিজমের মতো কর্মসূচি ইউরোপের মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে 'মারাত্মক প্রতিকূল পরিণতি' বয়ে আনতে পারে। ইইউর ন্যায়বিচারবিষয়ক কমিশনার ভিভিয়ান রেডিং মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারকে চিঠি দিয়ে প্রিজম সম্পর্কে সাতটি প্রশ্নের 'দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট' উত্তর চেয়েছেন।
প্রিজমের আওতায় এশিয়ার কিছু দেশের সরকারি স্পর্শকাতর নথি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) হাতে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, এশিয়ার এসব দেশের বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ইয়াহু বা গুগলের মতো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল সেবা ব্যবহার করে। তবে এ ব্যাপারে জোরোল কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সিআইএর (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা) সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের মাধ্যমে সম্প্রতি প্রিজমের কথা প্রকাশ পেয়েছে। এ জন্য মার্কিন নাগরিক স্নোডেনকে দেশটির অনেক জনপ্রতিনিধি 'বিশ্বাসঘাতক' বলে অভিহিত করেছেন। এ দলের অন্যতম উচ্চকক্ষ সিনেটের ইনটেলিজেন্স কমিটির প্রধান ডেমোক্র্যাট ডিয়ানে ফেইনস্টেইন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান জন বোয়েনার। তবে স্নোডেনকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন না প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য রন পল। তিনি স্নোডেনের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁকে (স্নোডেন) 'ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে' মেরে ফেলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২০ মে হংকং যান স্নোডেন। গত সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, এএনআই।


No comments

Powered by Blogger.