খাদ্যে বিষ-হুমকিতে জনস্বাস্থ্য
জেনেশুনে
বিষ গলাধঃকরণ! খানিকটা করেই থাকে দেশের মানুষ- বিশেষ করে ঢাকার অধিবাসীরা।
স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য যে ফলমূল, শাকসবজি কিংবা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা
হয়, তা হিতেবিপরীত হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
একশ্রেণীর মুনাফালোভী ও অসাধু ব্যবসায়ীর
কারসাজিতে পুষ্টির পরিবর্তে বিষ গ্রহণ করতে হচ্ছে ঢাকার মানুষকে। কালের
কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে সে চিত্রটিই ফুটে উঠেছে।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্য তুলে ধরেছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের। বাজারে এখন প্রচুর ফল উঠেছে। সময়টা দেশের মৌসুমি ফলের। কিন্তু বাজারে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা খেতে যতই সুস্বাদু লাগুক না কেন, একেবারেই তা নিরাপদ নয়। এসব ফল থেকে মানবদেহে মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে। মরণব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে মানুষের দেহে। শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধিতে। গ্রীষ্মের মজাদার ফল আম, জাম, লিচু তো বটেই, সারা বছর পাওয়া যায় এমন সব ফলেও ফরমালিন নামের রাসায়নিকের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যও মেশানো হচ্ছে ফলমূল, শাকসবজি প্রভৃতির ওপর। অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার সীমাহীন লোভ রসালো ফলের খাদ্যমান নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু মৌসুমি বা সারা বছর পাওয়া যায়, এমন ফলই নয়, বাজারে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে, সেই সবজিও ফরমালিনমুক্ত নয়। ফরমালিনমুক্ত নয় মাছ ও শিশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত তরল দুধও। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই অপতৎপরতা জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের এই অপতৎপরতা। বিষাক্ত খাদ্য ও ফলমূল খেয়ে মানুষ নানা দুরারোগ্য রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার বলে একটা কথা চালু আছে। ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হয় দেশে। কিন্তু ভোক্তার অধিকার কতটুকু যে নিশ্চিত করা গেছে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের এই প্রতিবেদন থেকেই তা প্রতীয়মান হয়। নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পাওয়ার অধিকার থেকে দেশের মানুষ যে বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রতিবেদন থেকে তা স্পষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। কিন্তু খাদ্যে বিষ মেশানো বন্ধ করা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট মহলকে এখনই দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী দেশের মানুষের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আশা করব এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন রাসায়নিক দ্রব্য কোনো খাদ্যে মেশানো হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে যে তথ্য তুলে ধরেছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের। বাজারে এখন প্রচুর ফল উঠেছে। সময়টা দেশের মৌসুমি ফলের। কিন্তু বাজারে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা খেতে যতই সুস্বাদু লাগুক না কেন, একেবারেই তা নিরাপদ নয়। এসব ফল থেকে মানবদেহে মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে। মরণব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে মানুষের দেহে। শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধিতে। গ্রীষ্মের মজাদার ফল আম, জাম, লিচু তো বটেই, সারা বছর পাওয়া যায় এমন সব ফলেও ফরমালিন নামের রাসায়নিকের উপস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যও মেশানো হচ্ছে ফলমূল, শাকসবজি প্রভৃতির ওপর। অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার সীমাহীন লোভ রসালো ফলের খাদ্যমান নষ্ট করে দিচ্ছে। শুধু মৌসুমি বা সারা বছর পাওয়া যায়, এমন ফলই নয়, বাজারে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে, সেই সবজিও ফরমালিনমুক্ত নয়। ফরমালিনমুক্ত নয় মাছ ও শিশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত তরল দুধও। অসাধু ব্যবসায়ীদের এই অপতৎপরতা জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের এই অপতৎপরতা। বিষাক্ত খাদ্য ও ফলমূল খেয়ে মানুষ নানা দুরারোগ্য রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার বলে একটা কথা চালু আছে। ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হয় দেশে। কিন্তু ভোক্তার অধিকার কতটুকু যে নিশ্চিত করা গেছে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের এই প্রতিবেদন থেকেই তা প্রতীয়মান হয়। নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য পাওয়ার অধিকার থেকে দেশের মানুষ যে বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রতিবেদন থেকে তা স্পষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। কিন্তু খাদ্যে বিষ মেশানো বন্ধ করা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট মহলকে এখনই দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী দেশের মানুষের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আশা করব এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এমন রাসায়নিক দ্রব্য কোনো খাদ্যে মেশানো হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
No comments