অর্থ বাঁচাতে গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ ঘোষণা
কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে গ্রিস সরকার সে দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র ইআরটি বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে দর্শকেরা যখন দেশটির প্রধান ওই টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান দেখছিল, তখন হঠাৎই তাদের টিভি সেটের পর্দা কালো হয়ে যায়।
ইআরটি চ্যানেলের সব কর্মীকেও কর্মচ্যুত করা হয়েছে। গ্রিসকে চরম আর্থিক মন্দা থেকে উদ্ধারে সরকারি ব্যয় হ্রাস ও কর বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে এটি সাম্প্রতিকতম। টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করার আগে সরকারের মুখপাত্র সিমোস কেদিকোগলু বলেন, ‘স্বচ্ছতার অভাব ও অবিশ্বাস্য রকম অপচয়ের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ ইআরটি। এখন এর পরিসমাপ্তি ঘটবে।’ মুখপাত্র আরও বলেন, চ্যানেলটির আড়াই হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করার পর তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া করপোরেশনটি যখন ক্ষুদ্র পরিসরে আবার চালু হবে, তখন তাঁরা সেখানে চাকরির আবেদন করতে পারবেন। ইআরটির বৈদেশিক ডেস্কের প্রধান অদিন লিনারদাতু বলেন, চ্যানেলটি বন্ধের ঘোষণায় সাংবাদিকেরা হতবাক হয়ে গেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমরা এতে খুবই মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। গ্রিসে কোনো সরকারি সম্প্রচার কেন্দ্র থাকবে না; একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটি আমি মানতে পারি না।’ চ্যানেলটি বন্ধের প্রতিবাদে এথেন্সের সাংবাদিক ইউনিয়ন ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ইআরটির সদর দপ্তরের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হওয়ার প্রেক্ষাপটে রাজধানী এথেন্সে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গত এপ্রিলে গ্রিসের পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি বিলের আওতায় আগামী বছরের মধ্যে ১৫ হাজার সরকারি কর্মী চাকরি হারাবেন। আর্থিক মন্দা কাটাতে এক হাজার ১৪০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক ঋণ সহায়তার পরবর্তী ধাপের অর্থ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বিলটি পাস করা হয়। গ্রিস সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশন সুবিধা কাটছাঁট করাসহ কঠোর কৃচ্ছ্র নীতি গ্রহণ করেছে। প্রতিবাদে দেশটিতে অনেকবার সাধারণ ধর্মঘটের ঘটনা ঘটেছে। বিবিসি।
No comments