চিনপিংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরউষ্ণতার ছোঁয়া লাগলেও বরফ গলতে অনেক দেরি
যদিও
'রাষ্ট্রীয়' সফর ছিল না, চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের প্রথম
যুক্তরাষ্ট্র সফরকে তবু 'অনন্য' এবং 'খুবই গুরুত্বপূর্ণ' বলে অভিহিত করেছেন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
তবে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে আগামী দিনগুলোতে
আরো কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মতো গৎবাঁধা কিছু মতৈক্য হওয়া ছাড়া শীর্ষ
বৈঠকের ফল কার্যত 'শূন্য' বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। দুই দেশ অবশ্য আগামী
দিনগুলোতে আরো সক্রিয়ভাবে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বড় কোনো বিপর্যয় না হলে গত মার্চে দায়িত্ব নেওয়া চিনপিং খুব সম্ভবত আগামী এক দশক চীনের নেতৃত্ব দেবেন। বিশেষজ্ঞদের পূর্বানুমান সত্য হলে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের জায়গা দখল করবে দেশটি। বিস্তৃত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের দরবারে তাদের দ্রুত উত্থান চোখে পড়ার মতো। ওবামাও এ উত্থানকে 'শান্তিপূর্ণ' বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে এ দুই পরাশক্তির সম্পর্কের রূপরেখা কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওবামা-চিনপিংয়ের বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, এর ওপর। তাই গত ৭ ও ৮ জুন ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত দুই নেতার অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। চিনপিং-ওবামার আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিল সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্যের জায়গাগুলো চিন্তা করলে সংখ্যার বিচারে মতৈক্যের পরিমাণকেও উল্লেখযোগ্য বলা যায় না। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা বিষয় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিতে কোনো সমঝোতা হয়নি। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যকার কলহ দূর করতে উভয় পক্ষের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য একমত হয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়ে ছিলেন ওবামা। কারণ মার্কিন গোয়েন্দাদের ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও টেলিফোনে আড়িপাতা-সংক্রান্ত গোপন কর্মসূচির (প্রিজম) কথা ফাঁস হওয়ায় তখন তিনি কঠোর সমালোচনার মুখে ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেওয়া মার্কিন নাগরিক এডওয়ার্ড স্নোডেনকে যদি হংকং থেকে ফিরিয়ে আনতে চায় ওয়াশিংটন, এ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হবে, ওবামা-চিনপিং কতটা একসঙ্গে কাজ করতে চান।
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস জনসন বলেন, "তাঁরা (ওবামা ও চিনপিং) কি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পেরেছেন? আমার ধারণা, উত্তরটা সম্ভবত 'না'। তবে আমার মনে হয়েছে, তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।" তাঁর মতে, কার্বন নিঃসরণ বন্ধে ওয়াশিংটন-বেইজিং একযোগে কাজ করবে- এটা পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের একটি ইঙ্গিত। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। তবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ বৈঠকের ফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। রিপাবলিকান এই রাজনীতিকের মতে, 'মানবাধিকার ইস্যুতে তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা কোনো কাজের নয়।' পূর্ব চীন সাগরের অমীমাংসিত এলাকা এবং চীনা মুদ্রার সঠিক মূল্য নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এর পরও এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করবে বলে মনে করেন উইড্রো উইলসন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারসের এ গ্রিয়ার মিসেলস। তাঁর মতে, 'দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে অন্তত আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন দুই নেতা, যা সুসম্পর্কের পয়লা কদম।' সূত্র : এএফপি।
বড় কোনো বিপর্যয় না হলে গত মার্চে দায়িত্ব নেওয়া চিনপিং খুব সম্ভবত আগামী এক দশক চীনের নেতৃত্ব দেবেন। বিশেষজ্ঞদের পূর্বানুমান সত্য হলে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশের জায়গা দখল করবে দেশটি। বিস্তৃত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের দরবারে তাদের দ্রুত উত্থান চোখে পড়ার মতো। ওবামাও এ উত্থানকে 'শান্তিপূর্ণ' বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আগামী দিনগুলোতে এ দুই পরাশক্তির সম্পর্কের রূপরেখা কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে ওবামা-চিনপিংয়ের বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, এর ওপর। তাই গত ৭ ও ৮ জুন ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত দুই নেতার অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। চিনপিং-ওবামার আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিল সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্যের জায়গাগুলো চিন্তা করলে সংখ্যার বিচারে মতৈক্যের পরিমাণকেও উল্লেখযোগ্য বলা যায় না। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা বিষয় সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিতে কোনো সমঝোতা হয়নি। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যকার কলহ দূর করতে উভয় পক্ষের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য একমত হয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়ে ছিলেন ওবামা। কারণ মার্কিন গোয়েন্দাদের ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও টেলিফোনে আড়িপাতা-সংক্রান্ত গোপন কর্মসূচির (প্রিজম) কথা ফাঁস হওয়ায় তখন তিনি কঠোর সমালোচনার মুখে ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রিজমের কথা ফাঁস করে দেওয়া মার্কিন নাগরিক এডওয়ার্ড স্নোডেনকে যদি হংকং থেকে ফিরিয়ে আনতে চায় ওয়াশিংটন, এ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হবে, ওবামা-চিনপিং কতটা একসঙ্গে কাজ করতে চান।
সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস জনসন বলেন, "তাঁরা (ওবামা ও চিনপিং) কি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পেরেছেন? আমার ধারণা, উত্তরটা সম্ভবত 'না'। তবে আমার মনে হয়েছে, তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।" তাঁর মতে, কার্বন নিঃসরণ বন্ধে ওয়াশিংটন-বেইজিং একযোগে কাজ করবে- এটা পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের একটি ইঙ্গিত। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। তবে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ক্রিস স্মিথ বৈঠকের ফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। রিপাবলিকান এই রাজনীতিকের মতে, 'মানবাধিকার ইস্যুতে তড়িঘড়ি একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা কোনো কাজের নয়।' পূর্ব চীন সাগরের অমীমাংসিত এলাকা এবং চীনা মুদ্রার সঠিক মূল্য নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কোনো সুরাহা হয়নি। তবে এর পরও এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করবে বলে মনে করেন উইড্রো উইলসন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্কলারসের এ গ্রিয়ার মিসেলস। তাঁর মতে, 'দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে অন্তত আন্তরিকভাবে কথা বলেছেন দুই নেতা, যা সুসম্পর্কের পয়লা কদম।' সূত্র : এএফপি।
No comments