সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত নগর গড়ে তুলব by তালুকদার আবদুল খালেক
কালের কণ্ঠ : দ্বিতীয়বার খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র নির্বাচিত হলে আপনি নগরবাসীর জন্য কী করবেন?
তালুকদার আবদুল খালেক : এককথায় খুলনাকে আমি একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তালুকদার আবদুল খালেক : এককথায় খুলনাকে আমি একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন দৃষ্টিনন্দন নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
গেল পাঁচ বছরে আমি সে চেষ্টা করেছি, নগরবাসী তার নমুনাও দেখেছে। উন্নয়ন
একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে, বিশেষত
খুলনার রাস্তার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগে যেসব জায়গায় চলাচলের উপযোগী কোনো
রাস্তা ছিল না সেখানে নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যে রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন
সংস্কার না করায় চলাচলের উপযোগী ছিল না, সেগুলোর সংস্কার করা হয়েছে। মানুষ
বাড়ি থেকে বেরোলেই এর নমুনা দেখতে পায়। গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৩৪৫টি রাস্তা
তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে
হবে। এ জন্য এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) অর্থায়নে আমরা বেশ কিছু প্রকল্প
হাতে নিয়েছি, যার কোনো কোনোটির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে; কোনো কোনোটির কাজ
শুরু হবে। এসব কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হলে নগরী আরো সুন্দর হবে। ময়ূর নদীর
পাশে লিনিয়ার পার্ক তৈরি হচ্ছে। এটির কাজ শেষ হলে নগরবাসী একটু
স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পারবে। শহীদ হাদিস পার্ক নতুন করে তৈরি হচ্ছে।
ওয়াসাকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নগরবাসীর পানি সমস্যা
সমাধানে ইতিমধ্যেই দুটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পানি
সমস্যার অনেকখানি সমাধান হবে।
কালের কণ্ঠ : নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবেন এবং অবৈধ খাল দখলমুক্ত করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেটি আদৌ বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন কি?
তালুকদার আবদুল খালেক : ২০০৮ সালের আগে খুলনা মহানগরীতে জলাবদ্ধতা একটি বিশাল সমস্যা ছিল। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা, নতুন ড্রেন তৈরি করা এবং কয়েকটি খাল দখলমুক্ত করার মাধ্যমে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে খাল দখল করে সেখানে অনেক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, এ কারণে দখলমুক্ত করে ড্রেন তৈরি করতে না পারলে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। এ খাতে এডিবির সহায়তায় আমরা ৪৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করাতে পেরেছি, এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে যাবে। এটি বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার অনেকখানি নিরসন হবে।
কালের কণ্ঠ : খুলনা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আপনি কী ভূমিকা রাখবেন?
তালুকদার আবদুল খালেক : আগের সরকারের আমলে খুলনায় মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ছিল না। হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ত্রাসের প্রধান শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হতো মাদক। আর প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সর্বগ্রাসী মাদক যখন আমাদের সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছিল, তখন দেশে মাদকের অবৈধ অর্থের কারণে আইনশৃঙ্খলা চরমভাবে ভেঙে পড়ে। এ দুটিকে দমন করতে সরকারের সহযোগিতায় শক্ত হাতে কাজ করেছি। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে কোনো ভয় বা আতঙ্ক নেই। মেয়র নির্বাচিত হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করে খুলনাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলব।
কালের কণ্ঠ : ভোটারদের উদ্দেশে কী বলবেন?
তালুকদার আবদুল খালেক : গত পাঁচ বছরে আমি যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছি, তা আগে কেউ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৩ সালেই ৭৫০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা, এডিবি থেকে ৫৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খালের জন্য রয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আর ভূমি উন্নয়নে ১৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৫০ কোটি টাকা পেয়েছি। এগুলোর কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী ২০১৬ সালে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমি নগরবাসীর কাছে ভোটপ্রার্থনা করছি। আমি নির্বাচিত হলে নগরীর উন্নয়নে সদা-সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
তালুকদার আবদুল খালেক : আপনাকেও ধন্যবাদ।
কালের কণ্ঠ : নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবেন এবং অবৈধ খাল দখলমুক্ত করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন, সেটি আদৌ বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন কি?
তালুকদার আবদুল খালেক : ২০০৮ সালের আগে খুলনা মহানগরীতে জলাবদ্ধতা একটি বিশাল সমস্যা ছিল। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা, নতুন ড্রেন তৈরি করা এবং কয়েকটি খাল দখলমুক্ত করার মাধ্যমে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে খাল দখল করে সেখানে অনেক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, এ কারণে দখলমুক্ত করে ড্রেন তৈরি করতে না পারলে তা সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। এ খাতে এডিবির সহায়তায় আমরা ৪৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করাতে পেরেছি, এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে যাবে। এটি বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার অনেকখানি নিরসন হবে।
কালের কণ্ঠ : খুলনা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আপনি কী ভূমিকা রাখবেন?
তালুকদার আবদুল খালেক : আগের সরকারের আমলে খুলনায় মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ছিল না। হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সন্ত্রাসের প্রধান শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হতো মাদক। আর প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা সর্বগ্রাসী মাদক যখন আমাদের সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছিল, তখন দেশে মাদকের অবৈধ অর্থের কারণে আইনশৃঙ্খলা চরমভাবে ভেঙে পড়ে। এ দুটিকে দমন করতে সরকারের সহযোগিতায় শক্ত হাতে কাজ করেছি। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে কোনো ভয় বা আতঙ্ক নেই। মেয়র নির্বাচিত হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করে খুলনাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলব।
কালের কণ্ঠ : ভোটারদের উদ্দেশে কী বলবেন?
তালুকদার আবদুল খালেক : গত পাঁচ বছরে আমি যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছি, তা আগে কেউ করতে পারেনি। ইতিমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৩ সালেই ৭৫০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা, এডিবি থেকে ৫৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খালের জন্য রয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। আর ভূমি উন্নয়নে ১৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে এক হাজার ৫০ কোটি টাকা পেয়েছি। এগুলোর কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী ২০১৬ সালে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমি নগরবাসীর কাছে ভোটপ্রার্থনা করছি। আমি নির্বাচিত হলে নগরীর উন্নয়নে সদা-সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
তালুকদার আবদুল খালেক : আপনাকেও ধন্যবাদ।
No comments