বিশ্বব্যাংকের অসন্তোষ-তদন্তের দুর্বলতা দূর করুন
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না- অতি প্রাচীন
প্রবাদ। তবু মানুষ সেই চেষ্টাই করে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের
অভিযোগ ওঠার পর থেকেই সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা ঢাকার
অনেক কসরতই আমরা দেখেছি।
প্রথমে সব কিছু অস্বীকার, এরপর
না না করতে করতে অনেক কিছু স্বীকার করার সেই খেলা যেন এখনো শেষ হয়নি।
বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রতিবেদনেও সেই একই অসন্তুষ্টি প্রকাশ
পেয়েছে। দুদকের মামলায় আবুল হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত না করায় বিশ্বব্যাংক
প্যানেলের প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। দুদকের তদন্তের নিরপেক্ষতা
ও পূর্ণাঙ্গতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি বলেও
তাদের কাছে মনে হয়েছে। ফলে সেই পুরনো প্রশ্নই আবার নতুন করে উঠে এসেছে।
কেন একজন ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রের এত কসরত? একজন ব্যক্তি কি
রাষ্ট্রের চেয়ে বড়? একজন ব্যক্তির কারণে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন
থেকে সরে যাক- এটা কেউই চায় না; অথচ বাস্তবে তাই হয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাংক সবচেয়ে বড় অংশীদার। গত চার দশকে বিশ্বব্যাংকের হাজার হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তায় দেশের অনেক বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে- এমনটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে আমলে না নিয়ে আমরা উল্টো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এক অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলাম। আর সেটি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। যা-ই হোক, বর্তমানে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা অনেকটাই কেটে গেছে। বিশ্বব্যাংক আগামী দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩২০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানে সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরো বাড়বে বলেই আমরা মনে করি। আর তার জন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সব স্তরে আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থেই সেটি করা অপরিহার্য। সে জন্য আবুল হোসেন হোক, আর অন্য কেউ হোক, দুর্নীতির সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা দুর্বলতা প্রদর্শন করা হলে তা হবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
শুধু বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন নয়, কানাডায় উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতায়ও অনেকের নাম পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দুদকের তদন্ত কার্যক্রমের দুর্বলতাগুলো অবিলম্বে কাটিয়ে ওঠা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, এমন অভিযোগ আমাদের শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, মান-মর্যাদার দিক থেকেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এখানে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাংক সবচেয়ে বড় অংশীদার। গত চার দশকে বিশ্বব্যাংকের হাজার হাজার কোটি ডলার আর্থিক সহায়তায় দেশের অনেক বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে- এমনটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে আমলে না নিয়ে আমরা উল্টো বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এক অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলাম। আর সেটি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। যা-ই হোক, বর্তমানে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা অনেকটাই কেটে গেছে। বিশ্বব্যাংক আগামী দুই বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৩২০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানে সম্মত হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরো বাড়বে বলেই আমরা মনে করি। আর তার জন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সব স্তরে আমাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থেই সেটি করা অপরিহার্য। সে জন্য আবুল হোসেন হোক, আর অন্য কেউ হোক, দুর্নীতির সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা দুর্বলতা প্রদর্শন করা হলে তা হবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
শুধু বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন নয়, কানাডায় উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতায়ও অনেকের নাম পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দুদকের তদন্ত কার্যক্রমের দুর্বলতাগুলো অবিলম্বে কাটিয়ে ওঠা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, এমন অভিযোগ আমাদের শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, মান-মর্যাদার দিক থেকেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এখানে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
No comments