এ নগরী হবে 'এক টুকরো লন্ডন' by আরিফুল হক চৌধুরী
কালের কণ্ঠ : আপনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন?
আরিফুল হক চৌধুরী : আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নগরবাসীর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ার বিরুদ্ধে।
আরিফুল হক চৌধুরী : আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নগরবাসীর কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ার বিরুদ্ধে।
আমি নগরবাসীর উন্নয়ন বঞ্চনা ঘোচাতে প্রার্থী হয়েছি। নগরবাসী যদি আমাকে
মেয়র পদে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি তাঁদের সেবক হিসেবে কাজ করব। সিলেট
মহানগরকে একটি তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন মহানগরী হিসেবে গড়ে
তুলব।
কালের কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে এ নগরীর প্রধান চারটি সমস্যা কী?
আরিফুল হক চৌধুরী : আমার দৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর চারটি সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা, যানজট, পানীয় জল ও বর্জ্য। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন সব নালা-নর্দমার প্রশস্ততা ও গভীরতা বৃদ্ধি। গত এক যুগেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আমি নগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নগরের ছড়াগুলো অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করি। কিন্তু পরবর্তীকালে সে কাজ আর এগোয়নি। মেয়র নির্বাচিত হলে বর্ধিত নগরীর চাহিদার কথা মনে রেখে গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন ও পরিকল্পিতভাবে সব নালা-নর্দমা ও ছড়া খননের মাধ্যমে সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করব। নগরের উল্লেখযোগ্য ছড়াগুলোকে লেকে রূপান্তরিত করা হবে।
আমি নির্বাচিত হলে যানজট থেকে নগরবাসীকে সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়ার জন্য থাকবে 'নগর পরিবহন কমিটি'। মূলত এই কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। পুলিশ ও করপোরেশন যৌথভাবে সে পরিকল্পনা বা সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। পথচারীদের নিরাপদ পারাপারের জন্য ওভারব্রিজ নির্মাণসহ ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে আমার প্রচেষ্টায় কুশিঘাটে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। অর্থমন্ত্রী এ প্রকল্পে অর্থও বরাদ্দ দেন। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর এখন এই প্রকল্পের কৃতিত্ব ছিনতাই করা হয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করব। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নগরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে।
কালের কণ্ঠ : এ মহানগরী নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
আরিফুল হক চৌধুরী : গত ২০ বছরে আমাদের এই প্রিয় নগরী যেভাবে থাকার কথা ছিল, ঠিক সেভাবে নেই। উন্নয়ন বঞ্চনায় নগরবাসী এখন সংক্ষুব্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সিলেট নগরী হতে পারে তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন একটি আধুনিক পরিকল্পিত নগরী। আমি মনে করি, লন্ডনে যদি সিলেটের মানুষ এক খণ্ড বাংলা টাউন গড়তে পারেন, তাহলে কেন সিলেট হতে পারবে না 'এক টুকরো লন্ডন'? সুরমার পাড় হতে পারে টেমস নদীর পাড়ের মতো অবারিত সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু। সে লক্ষ্যে জোট সরকারের সময় সুরমার দুই তীর দখলমুক্ত করে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরে সেখানে একটি বাতিও লাগানো হয়নি।
আমার স্বপ্ন সিলেটকে একটি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা। বর্তমান কারাগারটি স্থানান্তরের পর সেখানে একটি সাইবার সিটি গড়ে তোলা হবে, যা হবে সিলেটের সিলিকন ভ্যালি। সিলেট নগরের নাগরিকদের শিক্ষার প্রসারের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নগর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। নগরের অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কম বেতনে অথবা নামমাত্র বেতনে এখানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করা হবে। শিক্ষকরা একইভাবে করপোরেশনের অন্যান্য কর্মচারীর মতো বেতন পাবেন। অর্থাৎ নগরবাসীর দেওয়া ট্যাক্সের টাকার বেশির ভাগ ব্যয় করা হবে নাগরিকদের শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে। সিটি করপোরেশনের আয় দিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন 'নগর বিশ্ববিদ্যালয়' স্থাপন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া বস্তিবাসী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক কার্যক্রম চালু করা হবে। বস্তিবাসীদের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যায় বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস চালু করা হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
আরিফুল হক চৌধুরী : আপনাকেও ধন্যবাদ।
কালের কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে এ নগরীর প্রধান চারটি সমস্যা কী?
আরিফুল হক চৌধুরী : আমার দৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর চারটি সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা, যানজট, পানীয় জল ও বর্জ্য। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন সব নালা-নর্দমার প্রশস্ততা ও গভীরতা বৃদ্ধি। গত এক যুগেও এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। আমি নগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় নগরের ছড়াগুলো অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করি। কিন্তু পরবর্তীকালে সে কাজ আর এগোয়নি। মেয়র নির্বাচিত হলে বর্ধিত নগরীর চাহিদার কথা মনে রেখে গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন ও পরিকল্পিতভাবে সব নালা-নর্দমা ও ছড়া খননের মাধ্যমে সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করব। নগরের উল্লেখযোগ্য ছড়াগুলোকে লেকে রূপান্তরিত করা হবে।
আমি নির্বাচিত হলে যানজট থেকে নগরবাসীকে সম্পূর্ণ মুক্তি দেওয়ার জন্য থাকবে 'নগর পরিবহন কমিটি'। মূলত এই কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। পুলিশ ও করপোরেশন যৌথভাবে সে পরিকল্পনা বা সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। পথচারীদের নিরাপদ পারাপারের জন্য ওভারব্রিজ নির্মাণসহ ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে আমার প্রচেষ্টায় কুশিঘাটে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। অর্থমন্ত্রী এ প্রকল্পে অর্থও বরাদ্দ দেন। প্রকল্পটি দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর এখন এই প্রকল্পের কৃতিত্ব ছিনতাই করা হয়েছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা করব। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নগরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে।
কালের কণ্ঠ : এ মহানগরী নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
আরিফুল হক চৌধুরী : গত ২০ বছরে আমাদের এই প্রিয় নগরী যেভাবে থাকার কথা ছিল, ঠিক সেভাবে নেই। উন্নয়ন বঞ্চনায় নগরবাসী এখন সংক্ষুব্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সিলেট নগরী হতে পারে তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন একটি আধুনিক পরিকল্পিত নগরী। আমি মনে করি, লন্ডনে যদি সিলেটের মানুষ এক খণ্ড বাংলা টাউন গড়তে পারেন, তাহলে কেন সিলেট হতে পারবে না 'এক টুকরো লন্ডন'? সুরমার পাড় হতে পারে টেমস নদীর পাড়ের মতো অবারিত সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু। সে লক্ষ্যে জোট সরকারের সময় সুরমার দুই তীর দখলমুক্ত করে সংরক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু এর পরে সেখানে একটি বাতিও লাগানো হয়নি।
আমার স্বপ্ন সিলেটকে একটি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা। বর্তমান কারাগারটি স্থানান্তরের পর সেখানে একটি সাইবার সিটি গড়ে তোলা হবে, যা হবে সিলেটের সিলিকন ভ্যালি। সিলেট নগরের নাগরিকদের শিক্ষার প্রসারের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নগর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। নগরের অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কম বেতনে অথবা নামমাত্র বেতনে এখানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করা হবে। শিক্ষকরা একইভাবে করপোরেশনের অন্যান্য কর্মচারীর মতো বেতন পাবেন। অর্থাৎ নগরবাসীর দেওয়া ট্যাক্সের টাকার বেশির ভাগ ব্যয় করা হবে নাগরিকদের শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে। সিটি করপোরেশনের আয় দিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন 'নগর বিশ্ববিদ্যালয়' স্থাপন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্যাটেলাইট ক্লিনিক স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া বস্তিবাসী নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক কার্যক্রম চালু করা হবে। বস্তিবাসীদের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যায় বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস চালু করা হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
আরিফুল হক চৌধুরী : আপনাকেও ধন্যবাদ।
No comments