লন্ডন কনসার্টের ২৫তম বার্ষিকী-ম্যান্ডেলার 'সন্ত্রাসী' তকমা ছেঁটে দিয়েছিল যে কনসার্ট
বিশ্বের অনেক দেশের সরকারই তাঁকে
সন্ত্রাসী মনে করত। ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসীদের নজরদারির
তালিকায় তাঁর নাম ছিল। তিনি বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতা নেলসন
ম্যান্ডেলা।
এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার রোবেন দ্বীপে
কারাবন্দি থাকার সময়ও ব্রিটেনের লৌহমানবীখ্যাত প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট
থ্যাচার ম্যান্ডেলার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসকে (এএনসি) 'সন্ত্রাসী
সংগঠন' হিসেবে অভিহিত করেন। তবে পশ্চিমাদের কাছে ম্যান্ডেলার 'সন্ত্রাসী'
ভাবমূর্তি বদলাতে সাহায্য করেছিল একটি কনসার্ট। লন্ডনে আয়োজিত ওই কনসার্টের
মাধ্যমে সন্ত্রাসী থেকে 'হিরো' বনে যান ম্যান্ডেলা- এমনটাই দাবি করেছেন
কনসার্টের আয়োজকরা।
১৯৮৮ সালের ১১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন টনি হোলিংসওর্থ। তখনো কারাগারে বন্দি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতা। ম্যান্ডেলার নামের সঙ্গে থাকা 'সন্ত্রাসী' খেতাব সরাতে এবং দ্রুতই তাঁর মুক্তি নিশ্চিত করতে এ আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানান টনি। তাঁর মতে, ওই কনসার্টের মাধ্যমেই ম্যান্ডেলার ভাবমূর্তিতে পরিবর্তন আসে। কনসার্টে বক্তব্য রাখতে আর্চবিশপ ও ব্রিটিশ বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রেসিডেন্ট ট্রেভর হাডলস্টোনকে অনুরোধ করেন টনি, 'আমি ট্রেভরকে বলেছিলাম, এএনসি ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক জায়গায় এসে থেমে গেছে। এটা সামনে আগানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। যা-ই করা হচ্ছে তা সব আপনাদের বিপরীতে চলে যাচ্ছে। অনেক মানুষই আপনাদের সঙ্গে একমত, তবে আন্দোলনের যোগ দেওয়ার জন্য আপনারা তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন না। ম্যান্ডেলা ও তাঁর আন্দোলনকে ইতিবাচক এবং প্রত্যয়ী হিসেবে দেখা উচিত। এটা এমন একটা বিষয় যা আপনি আপনার বসার ঘরের দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখতে পারবেন।' এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও জানান টনি। টানা ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওয়েম্বলির কনসার্টটি প্রায় ৭০টি দেশে সম্প্রচার করা হয়। টেলিভিশনে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ কনসার্টটি দেখেছে। এ প্রসঙ্গে টনি বলেন, 'এভাবেই আমরা ম্যান্ডেলার ভাবমূর্তি "কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী" থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের নেতাতে পরিণত করি।' স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকের সামনে গায়ক হ্যারি বেলাফ্রন্তে বলেন, 'একজন বিশেষ ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে আমরা আজ এখানে এসেছি। তিনি হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা।' এ কনসার্টের ১৯ মাস পর ২৭ বছরের কারাজীবনের অবসান হয় ম্যান্ডেলার।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ১৯৬৪ সালে ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ১৯৯০ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সূত্র : এএফপি।
১৯৮৮ সালের ১১ জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন টনি হোলিংসওর্থ। তখনো কারাগারে বন্দি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতির পিতা। ম্যান্ডেলার নামের সঙ্গে থাকা 'সন্ত্রাসী' খেতাব সরাতে এবং দ্রুতই তাঁর মুক্তি নিশ্চিত করতে এ আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানান টনি। তাঁর মতে, ওই কনসার্টের মাধ্যমেই ম্যান্ডেলার ভাবমূর্তিতে পরিবর্তন আসে। কনসার্টে বক্তব্য রাখতে আর্চবিশপ ও ব্রিটিশ বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রেসিডেন্ট ট্রেভর হাডলস্টোনকে অনুরোধ করেন টনি, 'আমি ট্রেভরকে বলেছিলাম, এএনসি ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এক জায়গায় এসে থেমে গেছে। এটা সামনে আগানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। যা-ই করা হচ্ছে তা সব আপনাদের বিপরীতে চলে যাচ্ছে। অনেক মানুষই আপনাদের সঙ্গে একমত, তবে আন্দোলনের যোগ দেওয়ার জন্য আপনারা তাদের প্রতি আহবান জানাচ্ছেন না। ম্যান্ডেলা ও তাঁর আন্দোলনকে ইতিবাচক এবং প্রত্যয়ী হিসেবে দেখা উচিত। এটা এমন একটা বিষয় যা আপনি আপনার বসার ঘরের দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখতে পারবেন।' এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বলেও জানান টনি। টানা ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওয়েম্বলির কনসার্টটি প্রায় ৭০টি দেশে সম্প্রচার করা হয়। টেলিভিশনে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ কনসার্টটি দেখেছে। এ প্রসঙ্গে টনি বলেন, 'এভাবেই আমরা ম্যান্ডেলার ভাবমূর্তি "কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসী" থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের নেতাতে পরিণত করি।' স্টেডিয়ামভর্তি দর্শকের সামনে গায়ক হ্যারি বেলাফ্রন্তে বলেন, 'একজন বিশেষ ব্যক্তিকে সম্মান জানাতে আমরা আজ এখানে এসেছি। তিনি হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা।' এ কনসার্টের ১৯ মাস পর ২৭ বছরের কারাজীবনের অবসান হয় ম্যান্ডেলার।
বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ১৯৬৪ সালে ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ১৯৯০ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। সূত্র : এএফপি।
No comments