রিমান্ড এখন ডাল-ভাত
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত
সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল তাকে
আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
এ আবেদনের
পক্ষে শুনানি করেন মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু। অপরদিকে মাহমুদুর রহমান
নিজেই শুনানি করেন। শুনানি শেষে মহানগর হাকিম হারুন-অর রশিদ তিন দিনের
রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানিতে মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, মাহমুদুর
রহমান শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আমার দেশ পত্রিকায়
বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন। সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের পর
আদালতে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট সানাউল্লা মিয়া ও এডভোকেট তৈমুর আলম
খন্দকার বলেন, এ মামলায় মাহমুদুর রহমান নিজেই শুনানি করবেন। আমরা সুপ্রিম
কোর্ট বার ও ঢাকা বারের নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক আইনজীবী তার সঙ্গে
সহমর্মিতা প্রকাশ করতে আদালতে হাজির হয়েছি। আদালত অনুমতি দিলে মাহমুদুর
রহমান বলেন, মাননীয় আদালত! আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে আমি বলতে
বাধ্য হচ্ছি যে, আমি আপনার এ আদালতে সরকারের উত্থাপিত রিমান্ডের আবেদন
বাতিল কিংবা আমার জামিনের আবেদন করছি না। এ আদালতে আমার পক্ষে কোন আইনজীবীও
নিয়োগ করিনি। কারণ হচ্ছে যে, আমি শ’ শ’ আইনজীবী নিয়োগ করলেও আপনি উভয়
পক্ষের বক্তব্য শুনে স্বাধীনভাবে আদেশ দিতে পারবেন না। আপনার কাছে উপর থেকে
যে নির্দেশনা এসেছে, আপনি তার বাইরে যেতে পারবেন না। যদিও আদালত এখন
স্বাধীন। কোন অভিযোগ ছাড়াই এমনকি ঠুনকো অভিযোগ এনে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন
করছে। আর আদালত কোন ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই রিমান্ড মঞ্জুর করছে।
রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ করছে বাণিজ্য। সরকার রিমান্ড অপ-ব্যবহার করে আদালতের
ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিরোধী মতের নাগরিকদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
এর দায়দায়িত্ব আদালতও এড়াতে পারে না। যেহেতু আপনি সরকারের নির্দেশনার
বাইরে যেতে পারবেন না, এ কারণেই আমি আপনার কাছে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি
না। মাহমুদুর রহমানের এ বক্তব্যের জের ধরে আদালত বলেন, আপনি যদি কোন আবেদন
না করেন, তাহলে শুনানি করছেন কেন? জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি
শুধুমাত্র আমার মামলার প্রসঙ্গটিই টেনে কিছু বলছি। এ সময় সরকার পক্ষের
আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করলে মাহমুদুর রহমানের পক্ষের আইনজীবীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে
ওঠেন। আদালত উভয় পক্ষকে শান্ত করে মাহমুদুর রহমানকে বক্তব্য দিতে বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই আমি নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ
জীবন কাটাই। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে গত ১১ই এপ্রিল পুলিশ আমাকে আটক করে নিয়ে
যায়। অথচ আমার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি।
তিনি আদালতের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, অফিসে অবরুদ্ধ থেকে মৎস্য ভবনে গিয়ে
লোকজনকে উস্কানি দিয়ে উত্তেজিত করে আমি কিভাবে শাহবাগের জাগরণমঞ্চ ভাঙতে
গেলাম? কাজেই এটি একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা।
তিনি বলেন, এ মামলায় আমি ২৮ নম্বর আসামি। আমাকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য
সরকারের তোড়জোড়ের সীমা নেই। অথচ অবশিষ্ট ২৭ আসামির কোন হদিস খুঁজে দেখারও
চেষ্টা করেনি সরকার। এরচেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর কি হতে পারে? মাহমুদুর
রহমান রিমান্ড প্রসঙ্গে আরও বলেন, পুলিশ রিমান্ড চায় আর আপনারা কোন ধরনের
বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই তা মঞ্জুর করেন। ফলে রিমান্ড এখন সরকারের কাছে
ডাল-ভাতে পরিণত হয়েছে। রিমান্ডের নামে পুলিশ ও সরকার এখন যা করছে, তা কোন
সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। সরকারের পাশাপাশি আদালতও এর দায় এড়াতে পারবে
না। এর আগে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশের নির্মম ও পৈশাচিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে
ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন, এর আগে আমাকে ৭ দিন রিমান্ডে রেখে অমানবিক
নির্যাতন করা হয়েছে। রিমান্ডে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশেই আমাকে
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। তারপর চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই
আমাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা’য় গুরুতর
অসুস্থ দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রিমান্ডে
নেয়ার প্রতিবাদে রাজপথে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিক্ষুব্ধ
সাংবাদিকরা। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা সাংবাদিক
ইউনিয়ন আমার দেশ ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিকরা অবিলম্বে
মাহমুদুর রহমানের অবৈধ রিমান্ড বাতিল, তার মুক্তি ও আমার দেশসহ বন্ধ
গণমাধ্যমগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, মাহমুদুর রহমানের কিছু
হলে এর জন্য সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
সমাবেশ-পূর্ব বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদম ফোয়ারা, বিএমএ ভবন হয়ে পল্টন ঘুরে প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা ‘মাহমুদুর রহমানের অবৈধ রিমান্ড, বাতিল কর করতে হবে’ ‘মাহমুদুর রহমানের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আমার দেশ ইউনিটের প্রধান বাছির জামালের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, আমার দেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, ডিইউজে’র দপ্তর সম্পাদক এমএ নোমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর মামলায় গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। যদিও তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ, তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে আবারও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি নির্মম নির্যাতন চালানোর জন্যই তাকে বার বার রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এর আগেও তাকে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ইলেক্ট্রিক শক দেয়াসহ তার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এ কারণে ৭ দিনের মাথায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দীর্ঘদিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোর করেই তাকে কারাগারে নেয়া হয় যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাহমুদুর রহমানের কিছু হলে সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। তখন সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের অবৈধ রিমান্ড বাতিল করে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র ও তার বন্দি ও রিমান্ড জীবনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এম. আবদুল্লাহ বলেন, একটি সাধারণ মামলায় তার বিরুদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি তাকে ২২ নম্বর আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, যখন তার বিরুদ্ধে ওই মিথ্যা মামলাটি করা হয় তখন তিনি আমার দেশ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। একজন অবরুদ্ধ সাংবাদিক কিভাবে হামলাকারীদের উস্কানি দিতে পারেন প্রশ্ন রেখে বলেন, এতেই বোঝা যায়, মামলাটি মিথ্যা ও হাস্যকর।
সমাবেশ-পূর্ব বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদম ফোয়ারা, বিএমএ ভবন হয়ে পল্টন ঘুরে প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা ‘মাহমুদুর রহমানের অবৈধ রিমান্ড, বাতিল কর করতে হবে’ ‘মাহমুদুর রহমানের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আমার দেশ ইউনিটের প্রধান বাছির জামালের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, আমার দেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, ডিইউজে’র দপ্তর সম্পাদক এমএ নোমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ডিইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও হাস্যকর মামলায় গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। যদিও তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছেন, তিনি গুরুতর অসুস্থ, তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ উপেক্ষা করে আবারও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি নির্মম নির্যাতন চালানোর জন্যই তাকে বার বার রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। এর আগেও তাকে ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ইলেক্ট্রিক শক দেয়াসহ তার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল। এ কারণে ৭ দিনের মাথায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দীর্ঘদিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোর করেই তাকে কারাগারে নেয়া হয় যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মাহমুদুর রহমানের কিছু হলে সরকারকে কঠিন মূল্য দিতে হবে। তখন সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানের অবৈধ রিমান্ড বাতিল করে তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্র ও তার বন্দি ও রিমান্ড জীবনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এম. আবদুল্লাহ বলেন, একটি সাধারণ মামলায় তার বিরুদ্ধে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে গত ২২শে ফেব্রুয়ারি তাকে ২২ নম্বর আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, যখন তার বিরুদ্ধে ওই মিথ্যা মামলাটি করা হয় তখন তিনি আমার দেশ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। একজন অবরুদ্ধ সাংবাদিক কিভাবে হামলাকারীদের উস্কানি দিতে পারেন প্রশ্ন রেখে বলেন, এতেই বোঝা যায়, মামলাটি মিথ্যা ও হাস্যকর।
No comments