অনলাইন থেকে-শয়তানদের সঙ্গে আপস নয়
কোনো ছাড় নয়, কোনো আপস নয়। হাতে লেখা
প্লাকার্ড নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন একদল নারী। রক্ষণশীল
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাঈদ জালিলির পক্ষে এভাবেই তাঁরা সমর্থন ঘোষণা করছেন।
তাঁদের কথা- শয়তানদের সঙ্গে কোনো আপস করলে তা হবে সরাসরি কোরআনের বিরুদ্ধে
যাওয়ার শামিল। গত সপ্তাহে জালিলির পক্ষে এই শেষ প্রচারাভিযানে ভোটারদের
উপস্থিতি ও সমর্থন ঘোষণার কারণ হচ্ছে, তিনি পশ্চিমের সঙ্গে পারমাণবিক
শক্তির প্রশ্নে কোনো আপসে রাজি নন। তিনি নারী স্বাধীনতা কিংবা অর্থনৈতিক
প্রশ্নে কট্টর বলে সব মহলে পরিচিত। কিন্তু যখনই ইরানের পারমাণবিক শক্তির
প্রসঙ্গ আসে, তখন সবাই এক কাতারে চলে আসে, যা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী
প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। মত ও পথ যেমনই হোক না কেন, পারমাণবিক
শক্তির প্রশ্নে সবাই এক।
হাসান রাওহানির পরিচিতি সংস্কারপন্থী হিসেবে। তিনিও প্রচারে পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে কোনো সমঝোতা কিংবা আপসের প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। অন্যদিকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই এগিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এটাই তাঁদের অর্থনীতিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আশা ছিল, ইরানকে অর্থনৈতিক চাপে ফেললে হয়তো তারা আলোচনার পথে আসবে। আজকের পরিস্থিতি কিন্তু ইরানের সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলন হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
নাদের করিমি জনি নামের বিখ্যাত সাংবাদিক ইরানের এই মানসিকতা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, বছরের পর বছর ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জাঁতাকলে পড়ে আছে। আর আজ সব প্রার্থীর মুখে একই আওয়াজ কিন্তু তারই পরিণতি। জালিলির মতো মধ্যস্থতাকারী কিংবা রাওহানির মতো সাবেক মধ্যস্থতাকারীর বর্তমান রক্ষণশীল মানসিকতা থেকেও প্রমাণিত হয়, ইরানের অবস্থান কতটা শক্ত আকার ধারণ করেছে।
ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে তাদের মুদ্রামানে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না তারা। ভারত ও চীনের সঙ্গে তারা বিনিময় বাণিজ্য চালিয়ে তা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। ইরানের সর্বত্র এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ করা যায়।
আরেক প্রার্থী গোলাম আলী হাদ্দাদ বলেছেন, ইরানকে যত চাপাচাপি করা হবে, ততই সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আলোচনার পথ ক্ষীণ হতে থাকবে। এখন প্রমাণ হচ্ছে, সামরিক ও অর্থনৈতিক সমরেও কাজ হবে না। এটা পশ্চিমারা অন্তত উপলব্ধি করতে পারছে। ওখানকার জনমত স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা চাইছে, পারমাণবিক শক্তির প্রশ্নে যদি কোনো প্রার্থী আপস করতে চান তাহলে তারা সেই প্রার্থীকে সমর্থন করবে না। আবার আয়াতুল্লাহ খামেনির সাম্প্রতিক ভাষণেও ইরানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার স্বীকারোক্তি বেরিয়ে এসেছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি তিনি অকপটে বলেছেন।
লেখক : টমাস এডরিঙ্ক।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর : মোস্তফা হোসেইন
হাসান রাওহানির পরিচিতি সংস্কারপন্থী হিসেবে। তিনিও প্রচারে পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে কোনো সমঝোতা কিংবা আপসের প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। অন্যদিকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই এগিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এটাই তাঁদের অর্থনীতিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আশা ছিল, ইরানকে অর্থনৈতিক চাপে ফেললে হয়তো তারা আলোচনার পথে আসবে। আজকের পরিস্থিতি কিন্তু ইরানের সাধারণ মানুষের চিন্তার প্রতিফলন হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
নাদের করিমি জনি নামের বিখ্যাত সাংবাদিক ইরানের এই মানসিকতা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, বছরের পর বছর ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার জাঁতাকলে পড়ে আছে। আর আজ সব প্রার্থীর মুখে একই আওয়াজ কিন্তু তারই পরিণতি। জালিলির মতো মধ্যস্থতাকারী কিংবা রাওহানির মতো সাবেক মধ্যস্থতাকারীর বর্তমান রক্ষণশীল মানসিকতা থেকেও প্রমাণিত হয়, ইরানের অবস্থান কতটা শক্ত আকার ধারণ করেছে।
ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে তাদের মুদ্রামানে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না তারা। ভারত ও চীনের সঙ্গে তারা বিনিময় বাণিজ্য চালিয়ে তা পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। ইরানের সর্বত্র এর বিরূপ প্রভাব লক্ষ করা যায়।
আরেক প্রার্থী গোলাম আলী হাদ্দাদ বলেছেন, ইরানকে যত চাপাচাপি করা হবে, ততই সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আলোচনার পথ ক্ষীণ হতে থাকবে। এখন প্রমাণ হচ্ছে, সামরিক ও অর্থনৈতিক সমরেও কাজ হবে না। এটা পশ্চিমারা অন্তত উপলব্ধি করতে পারছে। ওখানকার জনমত স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা চাইছে, পারমাণবিক শক্তির প্রশ্নে যদি কোনো প্রার্থী আপস করতে চান তাহলে তারা সেই প্রার্থীকে সমর্থন করবে না। আবার আয়াতুল্লাহ খামেনির সাম্প্রতিক ভাষণেও ইরানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার স্বীকারোক্তি বেরিয়ে এসেছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি তিনি অকপটে বলেছেন।
লেখক : টমাস এডরিঙ্ক।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর : মোস্তফা হোসেইন
No comments