আশা পূরণের প্রত্যাশায় জাতিঃ স্বাগতম ২০১০
মহাকালের একটি পর্ব আড়াল হতেই আরেক নতুন পর্বের সূচনা। সেই পালাবদলের ঘোষণা দিয়েই আজকের সূর্যোদয়। দিনপঞ্জি থেকে বিদায় নিয়েছে ২০০৯ গত মধ্যরাতে। যাত্রা শুরু হয়েছে ইংরেজি নতুন বছর ২০১০ সালের। বিগত বছরের প্রাপ্তির আনন্দ ও অপূর্ণতার বেদনা সবই এখন স্মৃতির বিষয়।
যদিও বিচ্ছিন্ন নয় অতীত থেকে বর্তমান। প্রচলিত নিয়মানুসারে, নতুন বছর মানে নতুন প্রত্যাশা। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন রচনা এবং ক্রমাগত সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে থাকার বাসনা। সেই আশাবাদ পূরণের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বছরকে স্বাগতম।
জাতীয় জীবনে একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটের সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে। একটি তাত্পর্যপূর্ণ উত্তরণের সোপানে পা রেখেছিল গোটা জাতি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করে বিরাজনীতিকরণের যে প্রয়াস চালিয়েছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তার স্থানে বছরের প্রথম মাসে ক্ষমতায় বসেছিল মহাজোট সরকার। বিস্তর অঙ্গীকার নিয়ে ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও নির্বাচিত সব সদস্য। দেশবাসী আশা করেছিল অনির্বাচিত সরকারের বলয়মুক্ত দেশ আবার সত্যিকার গণতন্ত্রের পথ ধরে এগুবে। সেই প্রত্যাশা গোটা বছরেও পূর্ণ হয়নি। আসন বণ্টনের প্রশ্নে বিরোধী দলের দাবি নাকচ হওয়ায় সংসদে ফিরে যাননি তারা।
মহাজোট সরকারের ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মাথায় ঘটে আরেক মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনা। পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টারে নৃশংসভাবে নিহত হলেন সেনাবাহিনীর অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। এটা কি বিদ্রোহ, না ষড়যন্ত্র—তার সুরাহা হয়নি বিগত বছরে। বলতেই হবে, মহাজোট সরকারের যাত্রার শুরুতেই শিক্ষাঙ্গনে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠন চরম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। রক্তপাতের ঘটনা ঘটে ক্যাম্পাসে। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই পটভূমিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করণের অভিযোগ ঘনীভূত হতে থাকে। পাশাপাশি জবরদখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাকার কর্মকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেশবাসীকে শঙ্কিত করে তোলে। যার জের বছরের শেষ পর্যন্ত কম-বেশি জিইয়ে থাকে। না, ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করা যায়নি; বন উজাড়, নদী দখল বন্ধ হয়নি। সরকার মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার যে অঙ্গীকার করেছিল, তাও শেষ পর্যন্ত পূরণ করতে পারেনি। মুক্তবাজার অর্থনীতি মানে তো সিন্ডিকেটের কবলে বাজারকে ছেড়ে দেয়া নয়। সরকার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে পারেনি, টিসিবিকে সক্রিয় রেখে পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারেনি। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হাঁপিয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও সরকারের সাফল্য নেই। বছরের শেষদিকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে এনে আদৌ কোনো লাভ হয়নি। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে তৈরি করতেও সরকার বিন্দুমাত্র সফল হয়নি। এদিকে বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির খাতটির উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে রিক্ত-নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফেরত এসেছে হাজার হাজার শ্রমিক। রফতানি খাতের অন্যান্য দিকও বিশেষত কাঁচাপাট রফতানি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত সমালোচনার বিষয় হয়ে আছে। রফতানিনির্ভর গার্মেন্ট শিল্পে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা প্রতিকূল অবস্থা বিদ্যমান ছিল। দফায় দফায় উদ্যোগ নিলেও শ্রমিক অসন্তোষ রয়েই গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে। বস্তুত, বার বার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাশিত সফলতার নজির স্থাপন করতে পারেননি। দেশে জঙ্গিবাদী তত্পরতা কমে গেলেও হামলা-মামলা কমেনি। ক্রসফায়ার কি আইনসিদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবও স্পষ্ট করে দেয়নি সরকার। বছরের শেষদিকে এসে সরকার সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর বিভিন্ন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দৈনিক আমার দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, প্রহৃত হয়েছেন। সমালোচনার প্রশ্নে সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক ও অন্যদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। সম্পাদকসহ অন্যদের জামিন নিয়েও ঘটেছে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, সেটি হলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি অমীমাংসিতভাবে ঝুলে আছে। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকের হত্যার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য। এদিকে দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে সরকার নাম বদলের পূর্বতন ধারাকে অতিক্রম করতে পারেনি। সব মিলিয়ে এই সরকার ব্যর্থতার কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়েই নতুন বছরে পদার্পণ করেছে। সেখানে সাফল্য নেই বললেই চলে। তবে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি বলেই ব্যর্থতার হিসাব কষতে হবে সাফল্যের হিসাব কষার আগে।
বিগত বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিশ্ববাসীর বহুল প্রত্যাশিত বিষয়ে আশাভঙ্গের দৃষ্টান্ত অনেক। কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন ধনী দেশগুলোর হস্তক্ষেপে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি। ইরাক-আফগানিস্তান-ফিলিস্তিন-পাকিস্তান নানা তাণ্ডবে অস্থির। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে বিশ্বমন্দা। সুখের বিষয়, এই মন্দার আঁচ বাংলাদেশের গায়ে তেমন প্রকট হয়ে লাগেনি।
নতুন বছরে দেশবাসীর প্রত্যাশা গণতন্ত্র ও দারিদ্র্য বিমোচন। এজন্য সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বিরোধী দলকে সংসদে নেয়ার ব্যবস্থা করে সংসদকে প্রাণবন্ত করা। এক্ষেত্রে বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দায়িত্বও অপরিসীম। সবাই যদি গণতান্ত্রিক বিধিবিধান এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছিন্ন ধারা সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে সমাধানযোগ্য বিষয়টিও শেষ পর্যন্ত বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা এ ধরনের নতুন বছর প্রত্যাশা করি না।
ইংরেজি নববর্ষে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে আমরা পাঠক, হকার, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। স্বাগতম ২০১০।
জাতীয় জীবনে একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটের সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে। একটি তাত্পর্যপূর্ণ উত্তরণের সোপানে পা রেখেছিল গোটা জাতি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করে বিরাজনীতিকরণের যে প্রয়াস চালিয়েছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তার স্থানে বছরের প্রথম মাসে ক্ষমতায় বসেছিল মহাজোট সরকার। বিস্তর অঙ্গীকার নিয়ে ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও নির্বাচিত সব সদস্য। দেশবাসী আশা করেছিল অনির্বাচিত সরকারের বলয়মুক্ত দেশ আবার সত্যিকার গণতন্ত্রের পথ ধরে এগুবে। সেই প্রত্যাশা গোটা বছরেও পূর্ণ হয়নি। আসন বণ্টনের প্রশ্নে বিরোধী দলের দাবি নাকচ হওয়ায় সংসদে ফিরে যাননি তারা।
মহাজোট সরকারের ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মাথায় ঘটে আরেক মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনা। পিলখানায় বিডিআর হেডকোয়ার্টারে নৃশংসভাবে নিহত হলেন সেনাবাহিনীর অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। এটা কি বিদ্রোহ, না ষড়যন্ত্র—তার সুরাহা হয়নি বিগত বছরে। বলতেই হবে, মহাজোট সরকারের যাত্রার শুরুতেই শিক্ষাঙ্গনে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠন চরম অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। রক্তপাতের ঘটনা ঘটে ক্যাম্পাসে। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এই পটভূমিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয়করণের অভিযোগ ঘনীভূত হতে থাকে। পাশাপাশি জবরদখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাকার কর্মকাণ্ডে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেশবাসীকে শঙ্কিত করে তোলে। যার জের বছরের শেষ পর্যন্ত কম-বেশি জিইয়ে থাকে। না, ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করা যায়নি; বন উজাড়, নদী দখল বন্ধ হয়নি। সরকার মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার যে অঙ্গীকার করেছিল, তাও শেষ পর্যন্ত পূরণ করতে পারেনি। মুক্তবাজার অর্থনীতি মানে তো সিন্ডিকেটের কবলে বাজারকে ছেড়ে দেয়া নয়। সরকার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে পারেনি, টিসিবিকে সক্রিয় রেখে পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারেনি। তাছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে হাঁপিয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও সরকারের সাফল্য নেই। বছরের শেষদিকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে এনে আদৌ কোনো লাভ হয়নি। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে তৈরি করতেও সরকার বিন্দুমাত্র সফল হয়নি। এদিকে বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির খাতটির উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই আছে। বিভিন্ন দেশ থেকে রিক্ত-নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফেরত এসেছে হাজার হাজার শ্রমিক। রফতানি খাতের অন্যান্য দিকও বিশেষত কাঁচাপাট রফতানি নিষিদ্ধ থাকার বিষয়টি এখন পর্যন্ত সমালোচনার বিষয় হয়ে আছে। রফতানিনির্ভর গার্মেন্ট শিল্পে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা প্রতিকূল অবস্থা বিদ্যমান ছিল। দফায় দফায় উদ্যোগ নিলেও শ্রমিক অসন্তোষ রয়েই গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে শ্রমিক প্রাণ দিয়েছে। বস্তুত, বার বার কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাশিত সফলতার নজির স্থাপন করতে পারেননি। দেশে জঙ্গিবাদী তত্পরতা কমে গেলেও হামলা-মামলা কমেনি। ক্রসফায়ার কি আইনসিদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবও স্পষ্ট করে দেয়নি সরকার। বছরের শেষদিকে এসে সরকার সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর বিভিন্ন হয়রানিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। দৈনিক আমার দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, প্রহৃত হয়েছেন। সমালোচনার প্রশ্নে সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক ও অন্যদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৩টি মামলা হয়েছে। সম্পাদকসহ অন্যদের জামিন নিয়েও ঘটেছে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আরও একটি বিষয় উল্লেখ করতে হয়, সেটি হলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি অমীমাংসিতভাবে ঝুলে আছে। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকের হত্যার ঘটনাও উল্লেখযোগ্য। এদিকে দিনবদলের অঙ্গীকার নিয়ে সরকার নাম বদলের পূর্বতন ধারাকে অতিক্রম করতে পারেনি। সব মিলিয়ে এই সরকার ব্যর্থতার কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরিয়েই নতুন বছরে পদার্পণ করেছে। সেখানে সাফল্য নেই বললেই চলে। তবে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি বলেই ব্যর্থতার হিসাব কষতে হবে সাফল্যের হিসাব কষার আগে।
বিগত বছরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিশ্ববাসীর বহুল প্রত্যাশিত বিষয়ে আশাভঙ্গের দৃষ্টান্ত অনেক। কোপেনহেগেনে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন ধনী দেশগুলোর হস্তক্ষেপে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেনি। ইরাক-আফগানিস্তান-ফিলিস্তিন-পাকিস্তান নানা তাণ্ডবে অস্থির। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে বিশ্বমন্দা। সুখের বিষয়, এই মন্দার আঁচ বাংলাদেশের গায়ে তেমন প্রকট হয়ে লাগেনি।
নতুন বছরে দেশবাসীর প্রত্যাশা গণতন্ত্র ও দারিদ্র্য বিমোচন। এজন্য সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বিরোধী দলকে সংসদে নেয়ার ব্যবস্থা করে সংসদকে প্রাণবন্ত করা। এক্ষেত্রে বিরোধী দলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দায়িত্বও অপরিসীম। সবাই যদি গণতান্ত্রিক বিধিবিধান এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছিন্ন ধারা সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে সমাধানযোগ্য বিষয়টিও শেষ পর্যন্ত বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। আমরা এ ধরনের নতুন বছর প্রত্যাশা করি না।
ইংরেজি নববর্ষে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে আমরা পাঠক, হকার, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। স্বাগতম ২০১০।
No comments