আখাউড়ায় সীমান্ত-পিলার ঘেঁষে রাস্তা ও দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ by দুুলাল ঘোষ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সেনারবাদী গ্রামের সীমান্ত পিলার ঘেঁষে এখন ‘রিটেইনিং ওয়াল’ (মাটি ধরে রাখার দেয়াল) নির্মাণ করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফ। এর আগে বিএসএফ ওই এলাকার সীমান্ত পিলার ঘেঁষে মাটি ফেলে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, সীমান্ত পিলারের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো রাস্তা বা স্থাপনা নির্মাণের নিয়ম না থাকলেও বিএসএফ তা নির্মাণ করছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১২ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে বিএসএফ উপজেলার সেনারবাদী এলাকার ২৩০৫/এস থেকে ২৪০১/এস পর্যন্ত সীমান্ত পিলার ঘেঁষে এক হাজার ৬০ মিটার রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। বিজিবি বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই অবস্থা চলে অনেক দিন। তবে থেমে থেমে বিএসএফ ওই এলাকায় মাটি ফেলে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট উঁচু করে রাস্তা বানায়। এই কাজ করতে গিয়ে বিএসএফ কয়েকটি সীমান্ত পিলারও ঢেকে ফেলে।
তবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের একাধিক পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ অবৈধভাবে তৈরি করা ওই রাস্তা ব্যবহার করবে না বলে মত দেয়। তবে গত শনিবার থেকে ইট, বালু ও সিমেন্টবোঝাই ভারতীয় ট্রাক্টর এই রাস্তা ধরেই সীমান্তের ২০২৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় আসছে। ওই রাস্তাকে রক্ষা করতে বিএসএফ যে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করছে, তারই সরঞ্জাম বহন করছে ওই ট্রাক্টরগুলো।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পিলার থেকে ১৬ ফুট দূরে যেখানে পুকুর ও জলাশয় আছে, সেখানে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করতে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত আছে। তবে ওই রিটেইনিং ওয়াল মাটির উচ্চতা পর্যন্ত হতে হবে। অবৈধভাবে নির্মাণ করা রাস্তাটি বিএসএফ ব্যবহার করবে না। এই ওয়াল থেকে ১৩ ফুট দূরে সিঙ্গেল লেয়ার (এক স্তর) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে। এই নির্মাণ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন হলেও দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের সিদ্ধান্তের কারণে এ বিষয়ে বিজিবির কিছু করার নেই।
গত রোববার ও সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএসএফ সীমান্তের শূন্য রেখায় ট্রাক্টর আনছে। সেখানে অনেক বড় বড় গর্ত করে অনেক নিচ থেকে পাকা রিটেইনিং ওয়ালের ভিত তৈরি করছে। ওয়াল নির্মাণের জন্য যেসব সরঞ্জাম আনা হয়েছে, তার কিছু কিছু বাংলাদেশ অংশেও রাখা আছে। বিএসএফ সমতল জমির যে স্থানে মাটি ফেলে দুই থেকে তিন ফুট উঁচু করেছে, ওই রাস্তার মাটির সমান করে ওয়াল নির্মাণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
তবে বিজিবিকে বিএসএফ জানায়, বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ওয়ালটি কোনো কাজে আসবে না। তাই তারা মাটির উচ্চতার চার থেকে পাঁচ ফুট উঁচু করতে চাইছে। কিন্তু বিজিবি এর প্রতিবাদ জানায়। পরে এ বিষয়ে আখাউড়ায় স্থলবন্দর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফ মাটির উচ্চতার বেশি ওই ওয়াল নির্মাণ করবে না বলে সম্মত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার মতো এই রিটেইনিং ওয়ালও তারা একসময় উঁচু করবে। তখন এই ওয়ালই হবে প্রতিরক্ষা ব্যূহ। এখানে ভারতীয় সৈনিকেরা নিরাপদে অবস্থান নিতে পারবে। এমনটি হলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা দুই থেকে আড়াই শ গজ দূরেও নিরাপদ থাকতে পারবে না।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর ব্যাটালিয়ন এই এলাকার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিএসএফ সেনারবাদীতে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে। এখন বিএসএফ রাস্তার উচ্চতার বেশি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করতে চাইছে। কিন্তু আমরা তাদের সেটা করতে দেব না।’
তবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের একাধিক পতাকা বৈঠকের পর বিএসএফ অবৈধভাবে তৈরি করা ওই রাস্তা ব্যবহার করবে না বলে মত দেয়। তবে গত শনিবার থেকে ইট, বালু ও সিমেন্টবোঝাই ভারতীয় ট্রাক্টর এই রাস্তা ধরেই সীমান্তের ২০২৪ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় আসছে। ওই রাস্তাকে রক্ষা করতে বিএসএফ যে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করছে, তারই সরঞ্জাম বহন করছে ওই ট্রাক্টরগুলো।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত পিলার থেকে ১৬ ফুট দূরে যেখানে পুকুর ও জলাশয় আছে, সেখানে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করতে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত আছে। তবে ওই রিটেইনিং ওয়াল মাটির উচ্চতা পর্যন্ত হতে হবে। অবৈধভাবে নির্মাণ করা রাস্তাটি বিএসএফ ব্যবহার করবে না। এই ওয়াল থেকে ১৩ ফুট দূরে সিঙ্গেল লেয়ার (এক স্তর) কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করবে। এই নির্মাণ আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনের লঙ্ঘন হলেও দুই দেশের শীর্ষপর্যায়ের সিদ্ধান্তের কারণে এ বিষয়ে বিজিবির কিছু করার নেই।
গত রোববার ও সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএসএফ সীমান্তের শূন্য রেখায় ট্রাক্টর আনছে। সেখানে অনেক বড় বড় গর্ত করে অনেক নিচ থেকে পাকা রিটেইনিং ওয়ালের ভিত তৈরি করছে। ওয়াল নির্মাণের জন্য যেসব সরঞ্জাম আনা হয়েছে, তার কিছু কিছু বাংলাদেশ অংশেও রাখা আছে। বিএসএফ সমতল জমির যে স্থানে মাটি ফেলে দুই থেকে তিন ফুট উঁচু করেছে, ওই রাস্তার মাটির সমান করে ওয়াল নির্মাণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
তবে বিজিবিকে বিএসএফ জানায়, বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ওয়ালটি কোনো কাজে আসবে না। তাই তারা মাটির উচ্চতার চার থেকে পাঁচ ফুট উঁচু করতে চাইছে। কিন্তু বিজিবি এর প্রতিবাদ জানায়। পরে এ বিষয়ে আখাউড়ায় স্থলবন্দর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিএসএফ মাটির উচ্চতার বেশি ওই ওয়াল নির্মাণ করবে না বলে সম্মত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তার মতো এই রিটেইনিং ওয়ালও তারা একসময় উঁচু করবে। তখন এই ওয়ালই হবে প্রতিরক্ষা ব্যূহ। এখানে ভারতীয় সৈনিকেরা নিরাপদে অবস্থান নিতে পারবে। এমনটি হলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা দুই থেকে আড়াই শ গজ দূরেও নিরাপদ থাকতে পারবে না।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁর ব্যাটালিয়ন এই এলাকার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বিএসএফ সেনারবাদীতে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করে। এখন বিএসএফ রাস্তার উচ্চতার বেশি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করতে চাইছে। কিন্তু আমরা তাদের সেটা করতে দেব না।’
No comments