সাত বছর পর মায়ের কোলে
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগর থেকে আসা সুনামির আঘাত শিশুটিকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। স্বজনদের হারিয়ে সে হয়ে গিয়েছিল পথের শিশু। পেটের দায়ে গৃহকর্মীর কাজও করতে হয়েছে। সাত বছর পর গত বুধবার আবার সে ফিরে পেয়েছে আপনজনকে। গতকাল শুক্রবার মেরি ইউরান্দা (১৪) নামের শিশুটির পরিবার সূত্রে এ ঘটনা জানা যায়। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ঘটনাটি ঘটে। মেরির বাবা তারমিয়াস জানান, হারিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ের
বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। বুধবার মা-বাবার কাছে ফিরে সে তার জীবনের করুণ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে। মেরি জানায়, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাস্তায় রাস্তায় কাটছিল তার জীবন। একপর্যায়ে এক মহিলা তাকে বাড়ি নিয়ে ঘরের কাজ করতে বাধ্য করে। সম্প্রতি সুযোগবুঝে একজন ট্যাক্সিচালককে সে তার গ্রাম ও স্বজনের কথা জানায়। এই চালকই মেরিকে বুধবার তার নিজ ঠিকানায় পৌঁছে দেন। মেয়েটির দাদা গ্রামের একজন খ্যাতিমান ধর্মীয় নেতা।
মেয়েটির মা ইউসনিদার (৩৫) বলেন, ‘পেটের জন্মদাগ ও মুখমণ্ডলে একটি তিল ও কাটা চিহ্ন দেখে আমরা ওকে চিনতে পারি। হারানো মেয়েকে ফিরে পেয়ে আমি কী যে খুশি হয়েছি, তা বলে বোঝাতে পারব না।’
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরীয় সুনামির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্যে আচেহ উপকূলের দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই এই প্রলয়ংকরী দুর্যোগের শিকার হয়। সুনামির আঘাতে তিন সন্তানের মধ্যে ইউসনিদারের দুই মেয়ে নিখোঁজ হয়। বড় মেয়েটিকে আজও খুঁজে পাননি। এএফপি।
মেয়েটির মা ইউসনিদার (৩৫) বলেন, ‘পেটের জন্মদাগ ও মুখমণ্ডলে একটি তিল ও কাটা চিহ্ন দেখে আমরা ওকে চিনতে পারি। হারানো মেয়েকে ফিরে পেয়ে আমি কী যে খুশি হয়েছি, তা বলে বোঝাতে পারব না।’
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরীয় সুনামির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্যে আচেহ উপকূলের দুই লাখ ২০ হাজার মানুষের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশই এই প্রলয়ংকরী দুর্যোগের শিকার হয়। সুনামির আঘাতে তিন সন্তানের মধ্যে ইউসনিদারের দুই মেয়ে নিখোঁজ হয়। বড় মেয়েটিকে আজও খুঁজে পাননি। এএফপি।
No comments