পবিত্র কোরআনের আলো-কোরআন পাঠের সময় মনোযোগ দিয়ে শোনা ও নীরব থাকা কর্তব্য
২০৩. ওয়াইযা- লাম্ তা'তিহিম বিআ-ইয়াতিন ক্বা-লূ লাওলা জ্তাবাইতাহা-; ক্বুল ইন্নামা- আত্তাবিউ' মা- ইঊহা- ইলাইয়্যা মির্ রাব্বী; হা-যা- বাসা-য়িরু মির্ রাবি্বকুম ওয়াহুদাওঁ ওয়ারাহ্মাতু লি্লক্বাওমিইঁ ইউ'মিনূন। ২০৪. ওয়ায়িযা- ক্বুরিআ ল্ক্বুরআ-নু ফাছ্তামিঊ' লাহূ ওয়াআনসিতূ লাআ'ল্লাকুম তুরহামূন। ২০৫. ওয়ায্কুর্ রাব্বাকা ফী নাফছিকা তাদ্বার্রুআ'ওঁ ওয়াখীফাতাওঁ ওয়াদূনা ল্জাহ্রি মিনা ল্ক্বাওলি বিলগুদুওয়্যি ওয়ালআ-সা-লি ওয়ালা- তাকুম্
মিনাল গা-ফিলীন। ২০৬. ইন্না ল্লাযীনা ই'নদা রাবি্বকা লা-ইয়াছ্তাক্বিরূনা আ'ন ই'বা-দাতিহী ওয়াইউছাবি্বহূনাহূ ওয়ালাহূ ইয়াছ্জুদূন। [সুরা : আল-আ'রাফ, আয়াত : ২০৩-২০৬] অনুবাদ : ২০৩. (হে নবী) আপনি যখন তাদের সামনে তাদের মনের মতো আয়াত বা মুজিজা এনে হাজির না করেন তখন তারা বলে বেড়ায় আপনি আপনার মনের মতো মুজিজা না নিয়ে এলেই পারতেন। আপনি বলে দিন, আমার প্রভু ওহির মাধ্যমে আমাকে যা আদেশ করেন আমি কেবল তা-ই অনুসরণ করি। আর এই কোরআন তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে দেখিয়ে দেওয়া পথনির্দেশ। আর যারা ইমান আনে তাদের জন্য এটা হেদায়াত ও রহমত।
২০৪. যখন (তোমাদের সামনে) কোরআন পাঠ করা হয় তখন মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত হয়।
২০৫. আর (হে মুমেন) তুমি তোমার প্রভুকে সকাল-সন্ধ্যায় বিনয় ও ভয়ের সঙ্গে স্মরণ করো, মনে মনেও করো এবং অনুচ্চ উচ্চারণেও করো। তুমি কখনো দায়িত্বহীন বা উদাসীনদের দলভুক্ত হইও না।
২০৬. যারা তোমার প্রভুর সানি্নধ্যে আছে তারা তার আনুগত্য থেকে অহংকারে মুখ ফেরায় না। তারা তাসবিহ পাঠ করে এবং তারই সম্মুখে সিজদাবনত হয়।
ব্যাখ্যা : ২০৩ নম্বর আয়াতে রাসুল মুহাম্মদ (সা:)-এর মুজিজার প্রসঙ্গ উপস্থাপন করা হয়েছে। কাফিররা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাসুলের কাছে মুজিজা হাজির করার দাবি জানাত। মুজিজা দেখতে চাওয়ার মানে এই ছিল না যে, এতে তাদের হিদায়াতের পথে আসার সম্ভাবনা ছিল। তারা রাসুলের বিরুদ্ধে কূটচাল হিসেবেই এই কৌশল ব্যবহার করতো। অথচ রাসুলের কাছে প্রেরিত সবচেয়ে বড় মুজিজা হচ্ছে কোরআন। কোরআনের অবিস্মরণীয় মুজিজার বিষয়টা তারা বুঝতে চাইত না বা এটা তারা পছন্দ করত না। এ বিষয়টি উল্লেখ করেই এখানে এর জবাব দেওয়া হয়েছে। রাসুলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তিনি যেন তাদের এ কথা স্পষ্ট করে বলেন যে আল্লাহর কাছ থেকে ওহির মাধ্যমে পাওয়া বাণী ও নির্দেশ পেঁৗছে দেওয়াই তাঁর কর্তব্য এবং তিনি সেটাই অনুসরণ করছেন। কাফিরদের আবদার রক্ষা বা তাদের খামখেয়ালিপনার পেছনে ছোটা তাঁর কাজ নয়। কোরআন মজিদ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুজিজা। এতে রয়েছে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান ও পথনির্দেশ। আর এই জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে একজন নিরক্ষর ব্যক্তির কাছে, যিনি লেখাপড়ার মাধ্যমে বা মানুষের কাছ থেকে এ জ্ঞান অর্জন করেননি। এর চেয়ে বড় মুজিজা আর কী হতে পারে? এরপর আর কোন মুজিজা দরকার হেদায়াত পাওয়ার জন্য।
২০৪ নম্বর আয়াতের শানেনুজুল এরকম : জনৈক আনসার যুবক রাসুলের পেছনে নামাজ পড়ার সময় রাসুলের সশব্দ কোরআন পাঠের সঙ্গে সঙ্গে সেও সশব্দে উচ্চারণ করত। বিষয়টা নিয়ে কারো কারো মধ্যে দোদুল্যমানতাও সৃষ্টি করে। এ সম্পর্কেই এ আয়াতটি নাজিল হয়। এ আয়াতে বলা হয়েছে, কোরআন পাঠ করা হলে তা পূর্ণ মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। নামাজের বেলায় তো অবশ্যই। অন্য সময়ও যারা সামনে থাকে তাদের শোনা উচিত। অবশ্যই তেলাওয়াতকারীর উচিত যেখানে মানুষ নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সেখানে উচ্চ স্বরে না পড়া। এরূপ ক্ষেত্রে লোকে তেলাওয়াতে মনোযোগ না দিলে এর গুনাহ তেলাওয়াতকারীর ওপর বর্তাবে। ২০৬ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে ইশারা করা হয়েছে, মানুষকে যে আল্লাহর জিকিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা শুধুই মানুষের কল্যাণের জন্য, আল্লাহর নিজের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রথমত আল্লাহ তায়ালা মানুষের ইবাদত বা জিকির থেকে বেনিয়াজ, দ্বিতীয়ত তার এক বড় মাখলুক ফেরেশতারা সর্বদা তাঁর জিকির ও হুকুম তামিলে মশগুল। এই আয়াতটি একটি সিজদার আয়াত। যে ব্যক্তি এই আয়াতের মূল পাঠ তেলাওয়াত করবে তার জন্য
সিজদা ওয়াজিব।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
২০৪. যখন (তোমাদের সামনে) কোরআন পাঠ করা হয় তখন মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং নীরব থাকবে, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত হয়।
২০৫. আর (হে মুমেন) তুমি তোমার প্রভুকে সকাল-সন্ধ্যায় বিনয় ও ভয়ের সঙ্গে স্মরণ করো, মনে মনেও করো এবং অনুচ্চ উচ্চারণেও করো। তুমি কখনো দায়িত্বহীন বা উদাসীনদের দলভুক্ত হইও না।
২০৬. যারা তোমার প্রভুর সানি্নধ্যে আছে তারা তার আনুগত্য থেকে অহংকারে মুখ ফেরায় না। তারা তাসবিহ পাঠ করে এবং তারই সম্মুখে সিজদাবনত হয়।
ব্যাখ্যা : ২০৩ নম্বর আয়াতে রাসুল মুহাম্মদ (সা:)-এর মুজিজার প্রসঙ্গ উপস্থাপন করা হয়েছে। কাফিররা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাসুলের কাছে মুজিজা হাজির করার দাবি জানাত। মুজিজা দেখতে চাওয়ার মানে এই ছিল না যে, এতে তাদের হিদায়াতের পথে আসার সম্ভাবনা ছিল। তারা রাসুলের বিরুদ্ধে কূটচাল হিসেবেই এই কৌশল ব্যবহার করতো। অথচ রাসুলের কাছে প্রেরিত সবচেয়ে বড় মুজিজা হচ্ছে কোরআন। কোরআনের অবিস্মরণীয় মুজিজার বিষয়টা তারা বুঝতে চাইত না বা এটা তারা পছন্দ করত না। এ বিষয়টি উল্লেখ করেই এখানে এর জবাব দেওয়া হয়েছে। রাসুলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তিনি যেন তাদের এ কথা স্পষ্ট করে বলেন যে আল্লাহর কাছ থেকে ওহির মাধ্যমে পাওয়া বাণী ও নির্দেশ পেঁৗছে দেওয়াই তাঁর কর্তব্য এবং তিনি সেটাই অনুসরণ করছেন। কাফিরদের আবদার রক্ষা বা তাদের খামখেয়ালিপনার পেছনে ছোটা তাঁর কাজ নয়। কোরআন মজিদ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুজিজা। এতে রয়েছে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জ্ঞান ও পথনির্দেশ। আর এই জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে একজন নিরক্ষর ব্যক্তির কাছে, যিনি লেখাপড়ার মাধ্যমে বা মানুষের কাছ থেকে এ জ্ঞান অর্জন করেননি। এর চেয়ে বড় মুজিজা আর কী হতে পারে? এরপর আর কোন মুজিজা দরকার হেদায়াত পাওয়ার জন্য।
২০৪ নম্বর আয়াতের শানেনুজুল এরকম : জনৈক আনসার যুবক রাসুলের পেছনে নামাজ পড়ার সময় রাসুলের সশব্দ কোরআন পাঠের সঙ্গে সঙ্গে সেও সশব্দে উচ্চারণ করত। বিষয়টা নিয়ে কারো কারো মধ্যে দোদুল্যমানতাও সৃষ্টি করে। এ সম্পর্কেই এ আয়াতটি নাজিল হয়। এ আয়াতে বলা হয়েছে, কোরআন পাঠ করা হলে তা পূর্ণ মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। নামাজের বেলায় তো অবশ্যই। অন্য সময়ও যারা সামনে থাকে তাদের শোনা উচিত। অবশ্যই তেলাওয়াতকারীর উচিত যেখানে মানুষ নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সেখানে উচ্চ স্বরে না পড়া। এরূপ ক্ষেত্রে লোকে তেলাওয়াতে মনোযোগ না দিলে এর গুনাহ তেলাওয়াতকারীর ওপর বর্তাবে। ২০৬ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে ইশারা করা হয়েছে, মানুষকে যে আল্লাহর জিকিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা শুধুই মানুষের কল্যাণের জন্য, আল্লাহর নিজের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রথমত আল্লাহ তায়ালা মানুষের ইবাদত বা জিকির থেকে বেনিয়াজ, দ্বিতীয়ত তার এক বড় মাখলুক ফেরেশতারা সর্বদা তাঁর জিকির ও হুকুম তামিলে মশগুল। এই আয়াতটি একটি সিজদার আয়াত। যে ব্যক্তি এই আয়াতের মূল পাঠ তেলাওয়াত করবে তার জন্য
সিজদা ওয়াজিব।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments