পদ্মা সেতু দুর্নীতিঃ প্রেসনোট
‘সম্প্রতি
পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচুর
লেখালেখি ও আলোচনা চলছে। একে রাজনৈতিক ইস্যু করার প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা
যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সকল বিভ্রান্তি নিরসনে সরকার প্রকৃত পরিস্থিতি দেশবাসীর
কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছে।
পদ্মা
সেতু নিয়ে প্রথম সমস্যা দেখা দেয় মূল সেতু নির্মাণের দরপত্র ও প্রাকযোগ্য
ঠিকাদারদের নির্বাচিত করার তালিকা নিয়ে। প্রাকযোগ্যতা মূল্যায়ন কমিটির
নেতৃত্বে আছেন অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং সদস্যরা হলেন
ড. শফিউলস্নাহ, ড. আইনুন নিশাত, বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
ড. দাউদ। এরা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। মূল্যায়ন কমিটির নিকট
কারিগরিভাবে অযোগ্য বিবেচিত হওয়া একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অধিকতর
যাচাই-বাছাই নিয়ে তিন মাস সময় নষ্ট করার পর গত জুলাই মাসে বিশ্বব্যাংক
পাঁচটি দরদাতাকে প্রাকযোগ্য (প্রিকোয়ালিফাই) করে। উক্ত প্রতিষ্ঠান শেষ
পর্যন্ত অনুমোদিত তালিকায় আসেনি।
আর
একটি দরপত্র ছিল- সেতু নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য পরামর্শক নিয়োগ। এ
ব্যাপারে বিশ্ব ব্যাংক তদন্ত করে দেখে যে, একটি কানাডীয় কোম্পানি নীতি
বহির্ভূত কাজ করেছে। বিষয়টি কানাডা সরকার তদন্ত করছে। বিশ্বব্যাংককে তখনই
জানিয়ে দেয়া হয় যে, যেহেতু কানাডার তদন্তে কতদিন লাগবে তা বলা যাচ্ছে না,
সেহেতু ঐ প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে অবশিষ্টদের মধ্য থেকে পরামর্শক
নিযুক্তির দরপত্র চূড়ান্ত করা যায়।
এই সময়ে হঠাৎ করে, সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক থেকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস ইসাবেল এম গুয়েরেয়েরো (Ms Isabel M Guerreoro) ঢাকায় আসেন এবং সে সময়ে তার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের আলোচনা হয়। তিনি তখন জানালেন যে, তাদের কাছে মূল সেতু নির্মাণের প্রাকযোগ্য ঠিকাদার নির্বাচন নিয়েও কিছু অভিযোগ আছে এবং সেগুলো তারা খতিয়ে দেখছে। এই অভিযোগ সম্পর্কে তারা কিছুদিনের মধ্যে সরকারকে অবহিত করবে এবং এর মধ্যে সেতুর বিষয়ে যেসব কাজকর্ম চলছে সেগুলো সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে।
২২ সেপ্টেমবর যখন ব্যাংক ফান্ডের বার্ষিক সভা উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী ওয়াশিংটনে যান, তখন বিশ্বব্যাংক লিখিতভাবে অভিযোগ করে যে তারা মনে করে মূল সেতুর প্রাকযোগ্য ঠিকাদার তালিকা বিবেচনার সময় দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে এবং সেজন্য তারা সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করে। বিশ্বব্যাংক আরও জানায় যে, তাদের অনুসন্ধানে তারা যেসব তথ্য পেয়েছে, সেগুলো সরকার যদি তদন্ত করতে মনস্থ করে, তাহলে সরকার নিযুক্ত তদন্ত সংস্থার কাছে তারা তা দিতে পারবে।
অর্থমন্ত্রীর ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পর শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা শেষে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, কথিত দুর্নীতি তদন্তে দুদককে নিযুক্ত করা হবে এবং বিশ্বব্যাংককে তাদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংককে জানিয়ে দেয়া হয় যে, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাকযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময়ই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকে এবং পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো অসত্য এবং ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। বিশ্বব্যাংককে আরও জানানো হয় যে, পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যেসব কার্যক্রম শুরু ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে- সেসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সরকার গৃহীত ব্যবস্থা অনুযায়ী ভবিষ্যতেও দুর্নীতির কোনো সুযোগ থাকবে না এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিশ্বব্যাংককে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাংককে আরো জানানো হয় যে, বাস্তবায়িত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, সততা ও দ্রুততার রেকর্ড বিবেচনা করে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
মূল সেতুর নির্মাণ কাজের ঠিকাদারদের প্রাকযোগ্যতা মূল্যায়ন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ সরকারের কাছে দিয়েছে ইতোমধ্যেই সে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার আশা করে যে, দুদকের তদন্তে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে এবং তার ফলাফল অচিরেই পাওয়া যাবে। অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলেই শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর তদারকির কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য দরপত্র কার্যক্রমও আপাতত স্থগিত। সে জন্যে সরকারের প্রস্তাব হচ্ছে যে, কানাডীয় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগের কাজটি এগিয়ে নেয়া হোক।
নদীশাসন প্রি-কোয়ালিফিকেশন- এর জন্যে কাজের দরপত্র মূল্যায়নের যে প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংককে অনুমোদনের লক্ষ্যে দেয়া হয়েছে সেখানেও কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকার বিশ্বব্যাংকের এই পদক্ষেপকে যথাযথ বলে মনে করে না। এ ব্যাপারেও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মাওয়া দিকের এপ্রোচ রোডের দরপত্রের ব্যাপারেও কার্যক্রম সত্ত্বর চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) সাহায্যপ্রাপ্ত জাজিরা দিকের এপ্রোচ রোডের দরপত্র মূল্যায়ন চূড়ান্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইডিবি’র সম্মতি সাপেক্ষে তা চূড়ামত্ম করা হবে এবং কার্যাদেশ অতিসত্ত্বর প্রদান করা হবে।
অন্য যে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যেমন- জমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম তা অব্যাহত আছে ও থাকবে। এ বিষয়ে অর্থায়ন বর্তমান চুক্তি অনুযায়ীই বহাল আছে।
অর্থমন্ত্রী (বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের গভর্নর) মনে করেন যে, বিষয়টি অতি সত্ত্বর নিষ্পত্তি হবে এবং পদ্মা সেতুর বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাবে।
আমাদের অবকাঠামো খাতে ঘাটতি ব্যাপক এবং সেটা দূর করা আমাদের কর্তব্য। এ জন্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অতিসত্ত্বর একটি ‘অবকাঠামো তহবিল’ গঠনের বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।
এই সময়ে হঠাৎ করে, সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাংক থেকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস ইসাবেল এম গুয়েরেয়েরো (Ms Isabel M Guerreoro) ঢাকায় আসেন এবং সে সময়ে তার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের আলোচনা হয়। তিনি তখন জানালেন যে, তাদের কাছে মূল সেতু নির্মাণের প্রাকযোগ্য ঠিকাদার নির্বাচন নিয়েও কিছু অভিযোগ আছে এবং সেগুলো তারা খতিয়ে দেখছে। এই অভিযোগ সম্পর্কে তারা কিছুদিনের মধ্যে সরকারকে অবহিত করবে এবং এর মধ্যে সেতুর বিষয়ে যেসব কাজকর্ম চলছে সেগুলো সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে।
২২ সেপ্টেমবর যখন ব্যাংক ফান্ডের বার্ষিক সভা উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী ওয়াশিংটনে যান, তখন বিশ্বব্যাংক লিখিতভাবে অভিযোগ করে যে তারা মনে করে মূল সেতুর প্রাকযোগ্য ঠিকাদার তালিকা বিবেচনার সময় দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে এবং সেজন্য তারা সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করে। বিশ্বব্যাংক আরও জানায় যে, তাদের অনুসন্ধানে তারা যেসব তথ্য পেয়েছে, সেগুলো সরকার যদি তদন্ত করতে মনস্থ করে, তাহলে সরকার নিযুক্ত তদন্ত সংস্থার কাছে তারা তা দিতে পারবে।
অর্থমন্ত্রীর ঢাকা প্রত্যাবর্তনের পর শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনা শেষে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে, কথিত দুর্নীতি তদন্তে দুদককে নিযুক্ত করা হবে এবং বিশ্বব্যাংককে তাদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংককে জানিয়ে দেয়া হয় যে, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাকযোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময়ই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থাকে এবং পরবর্তীতে অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো অসত্য এবং ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়। বিশ্বব্যাংককে আরও জানানো হয় যে, পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যেসব কার্যক্রম শুরু ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে- সেসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সরকার গৃহীত ব্যবস্থা অনুযায়ী ভবিষ্যতেও দুর্নীতির কোনো সুযোগ থাকবে না এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বিশ্বব্যাংককে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। বিশ্বব্যাংককে আরো জানানো হয় যে, বাস্তবায়িত কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, সততা ও দ্রুততার রেকর্ড বিবেচনা করে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে স্থগিত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
মূল সেতুর নির্মাণ কাজের ঠিকাদারদের প্রাকযোগ্যতা মূল্যায়ন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ সরকারের কাছে দিয়েছে ইতোমধ্যেই সে অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরকার আশা করে যে, দুদকের তদন্তে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে এবং তার ফলাফল অচিরেই পাওয়া যাবে। অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলেই শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর তদারকির কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য দরপত্র কার্যক্রমও আপাতত স্থগিত। সে জন্যে সরকারের প্রস্তাব হচ্ছে যে, কানাডীয় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে ঠিকাদার নিয়োগের কাজটি এগিয়ে নেয়া হোক।
নদীশাসন প্রি-কোয়ালিফিকেশন- এর জন্যে কাজের দরপত্র মূল্যায়নের যে প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংককে অনুমোদনের লক্ষ্যে দেয়া হয়েছে সেখানেও কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকার বিশ্বব্যাংকের এই পদক্ষেপকে যথাযথ বলে মনে করে না। এ ব্যাপারেও স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।
মাওয়া দিকের এপ্রোচ রোডের দরপত্রের ব্যাপারেও কার্যক্রম সত্ত্বর চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) সাহায্যপ্রাপ্ত জাজিরা দিকের এপ্রোচ রোডের দরপত্র মূল্যায়ন চূড়ান্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আইডিবি’র সম্মতি সাপেক্ষে তা চূড়ামত্ম করা হবে এবং কার্যাদেশ অতিসত্ত্বর প্রদান করা হবে।
অন্য যে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যেমন- জমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম তা অব্যাহত আছে ও থাকবে। এ বিষয়ে অর্থায়ন বর্তমান চুক্তি অনুযায়ীই বহাল আছে।
অর্থমন্ত্রী (বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাংকের গভর্নর) মনে করেন যে, বিষয়টি অতি সত্ত্বর নিষ্পত্তি হবে এবং পদ্মা সেতুর বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা যাবে।
আমাদের অবকাঠামো খাতে ঘাটতি ব্যাপক এবং সেটা দূর করা আমাদের কর্তব্য। এ জন্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অতিসত্ত্বর একটি ‘অবকাঠামো তহবিল’ গঠনের বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।
No comments