ইহুদি ভোটারদের শান্ত রাখতে উল্টো পথে ওবামা
সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবিতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের আবেদনের জোরালো বিরোধিতা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর পরই অভিযোগ উঠেছে, ক্ষুব্ধ ইহুদি ভোটারদের শান্ত করতেই ওবামা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনায় ছাড় দিচ্ছেন।
তবে নির্বাচনী তথ্য ও রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মার্কিন ইহুদিরা ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ককে একমাত্র নিয়ামক হিসেবে নেয় না। কাজেই ২০১২ সালের নির্বাচনেও তারা ডেমোক্র্যাটদের ছেড়ে যাবে বলে মনে হয় না।
তার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী নির্বাচন হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কাজেই মৃতপ্রায় শান্তি-প্রক্রিয়ার পেছনে ওবামা তাঁর ক্ষয় হতে থাকা রাজনৈতিক সম্পদ বেশি ব্যয় করুন—এটা চাইবেন না ভোট হারানোর সম্ভাবনায় চিন্তিত ওবামার নির্বাচনী সহযোগীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ওবামার বৈঠক ব্যর্থ হওয়া ও ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধের বিষয়ে চাপ দেওয়ায় মার্কিন ইহুদি ভোটারদের সঙ্গে ওবামার সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
ডেমোক্র্যাটদের জন্য ইহুদিদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওবামা ইহুদিদের ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন এবং তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তাঁর প্রতি ইহুদিদের সমর্থনের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। তবে গ্যালপের সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর নাগাদ এই হার নেমে এসেছে মাত্র ৫৪ শতাংশে। ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি নিউইয়র্ক। কিন্তু সেখানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে রিপাবলিকানরা। সমালোচকেরা ভোটের আগে অভিযোগ তোলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলকে অবমূল্যায়ন করছেন। এ জন্য রক্ষণশীলরা সেখানে ইহুদিদের ভোট পেয়েছে।
নিউইয়র্কে নির্বাচনের পর রিপাবলিকানদের একটি ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনে এক ইহুদি ভোটারকে বলতে দেখা যায়, ‘ইসরায়েলকে বাসের নিচে ফেলে দেওয়ার চিন্তাও করবেন না।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক নিবন্ধে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান সেনর বলেন, এই প্রজন্মের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় ওবামার আমলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু একপেশে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ওবামা ইহুদি ভোট হারাচ্ছেন।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পথিকৃৎ ম্যাট ড্রুজ এটাকে ‘ইহুদিদের প্রতিশোধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতারা জোর দিয়ে বলছেন, রক্ষণশীল ইহুদি ভোটারদের বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ওবামার বিরুদ্ধে ইহুদি ভোটারদের ক্ষোভ আরও উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের একজন টেক্সাসের গভর্নর রিক পেরি বলেছেন, ওবামা ফিলিস্তিনিদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন।
কাজেই ফিলিস্তিনের দাবিতে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়ে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ওবামা যখন বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়—তখন কিছু বিশ্লেষক তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে অন্য কিছুর আভাস পাচ্ছেন।
২০০৮ সালে ভোটারদের ওপর জরিপ থেকে জানা গেছে, সারা দেশের মোট ভোটারের মাত্র ২ শতাংশ ইহুদি ভোটার। কিন্তু তার পরও ফ্লোরিডা এবং পেনসিলভানিয়ার মতো অঙ্গরাজ্যে এই ভোটাররাই নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এ জন্য ইহুদি ভোটারদের ক্ষোভ ওবামার সহযোগীদের কাছে চিন্তার বিষয়।
তবে নির্বাচনী তথ্য ও রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মার্কিন ইহুদিরা ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ককে একমাত্র নিয়ামক হিসেবে নেয় না। কাজেই ২০১২ সালের নির্বাচনেও তারা ডেমোক্র্যাটদের ছেড়ে যাবে বলে মনে হয় না।
তার পরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী নির্বাচন হবে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কাজেই মৃতপ্রায় শান্তি-প্রক্রিয়ার পেছনে ওবামা তাঁর ক্ষয় হতে থাকা রাজনৈতিক সম্পদ বেশি ব্যয় করুন—এটা চাইবেন না ভোট হারানোর সম্ভাবনায় চিন্তিত ওবামার নির্বাচনী সহযোগীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে ওবামার বৈঠক ব্যর্থ হওয়া ও ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধের বিষয়ে চাপ দেওয়ায় মার্কিন ইহুদি ভোটারদের সঙ্গে ওবামার সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে।
ডেমোক্র্যাটদের জন্য ইহুদিদের ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওবামা ইহুদিদের ৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন এবং তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তাঁর প্রতি ইহুদিদের সমর্থনের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। তবে গ্যালপের সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, চলতি সেপ্টেম্বর নাগাদ এই হার নেমে এসেছে মাত্র ৫৪ শতাংশে। ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি নিউইয়র্ক। কিন্তু সেখানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছে রিপাবলিকানরা। সমালোচকেরা ভোটের আগে অভিযোগ তোলেন, প্রেসিডেন্ট ওবামা ইসরায়েলকে অবমূল্যায়ন করছেন। এ জন্য রক্ষণশীলরা সেখানে ইহুদিদের ভোট পেয়েছে।
নিউইয়র্কে নির্বাচনের পর রিপাবলিকানদের একটি ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনে এক ইহুদি ভোটারকে বলতে দেখা যায়, ‘ইসরায়েলকে বাসের নিচে ফেলে দেওয়ার চিন্তাও করবেন না।’
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক নিবন্ধে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান সেনর বলেন, এই প্রজন্মের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় ওবামার আমলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কিছু একপেশে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ওবামা ইহুদি ভোট হারাচ্ছেন।
অনলাইন সংবাদমাধ্যমের পথিকৃৎ ম্যাট ড্রুজ এটাকে ‘ইহুদিদের প্রতিশোধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতারা জোর দিয়ে বলছেন, রক্ষণশীল ইহুদি ভোটারদের বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ওবামার বিরুদ্ধে ইহুদি ভোটারদের ক্ষোভ আরও উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের একজন টেক্সাসের গভর্নর রিক পেরি বলেছেন, ওবামা ফিলিস্তিনিদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন।
কাজেই ফিলিস্তিনের দাবিতে ভেটো দেওয়ার হুমকি দিয়ে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ওবামা যখন বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন কখনো ছিন্ন হওয়ার নয়—তখন কিছু বিশ্লেষক তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে অন্য কিছুর আভাস পাচ্ছেন।
২০০৮ সালে ভোটারদের ওপর জরিপ থেকে জানা গেছে, সারা দেশের মোট ভোটারের মাত্র ২ শতাংশ ইহুদি ভোটার। কিন্তু তার পরও ফ্লোরিডা এবং পেনসিলভানিয়ার মতো অঙ্গরাজ্যে এই ভোটাররাই নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এ জন্য ইহুদি ভোটারদের ক্ষোভ ওবামার সহযোগীদের কাছে চিন্তার বিষয়।
No comments