হাক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নয়: পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ওয়াশিংটনের চাপ বাড়ার পরও হাক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা গতকাল সোমবার এ কথা জানান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি গত রোববার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সহযোগিতা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করছে, বৈঠকে তা নাকচ করা হয়। সেনা কর্মকর্তারা অঙ্গীকার করেন, যেকোনো ধরনের আন্তসীমান্ত হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
কাবুলে সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসসহ অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য হাক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনটি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অবস্থান নিয়ে আফগানিস্তানে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। এ জন্য ওয়াজিরিস্তানে সেনা অভিযান চালানোর জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা গতকাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ও দাবি প্রতিহত করতে রোববারের বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা একমত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছি, এ বিষয়ে পাকিস্তান ইতিমধ্যে যা করেছে, তার থেকে বেশি কিছু করতে পারবে না।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হাক্কানির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে। কেননা, ওই অঞ্চলের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছে হাক্কানি গ্রুপ। এ ছাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী।
দুই সপ্তাহ আগে কাবুলে মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটো সদর দপ্তরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ জন্য হাক্কানিকে দায়ী করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য ও ফোনালাপের সূত্র ধরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আইএসআইয়ের সঙ্গে জড়িতে লোকজনের সঙ্গে হামলাকারীদের যোগাযোগ ছিল।
এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্ক নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রকেও নিতে হবে। কেননা, আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময় সিআইএ এই নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে। তারাই এদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি গত রোববার সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়।
পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই হাক্কানি নেটওয়ার্ককে সহযোগিতা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করছে, বৈঠকে তা নাকচ করা হয়। সেনা কর্মকর্তারা অঙ্গীকার করেন, যেকোনো ধরনের আন্তসীমান্ত হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
কাবুলে সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসসহ অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য হাক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। সংগঠনটি পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অবস্থান নিয়ে আফগানিস্তানে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন। এ জন্য ওয়াজিরিস্তানে সেনা অভিযান চালানোর জন্য ইসলামাবাদকে চাপ দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
এক সেনা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা গতকাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ও দাবি প্রতিহত করতে রোববারের বৈঠকে সেনা কর্মকর্তারা একমত হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছি, এ বিষয়ে পাকিস্তান ইতিমধ্যে যা করেছে, তার থেকে বেশি কিছু করতে পারবে না।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হাক্কানির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে। কেননা, ওই অঞ্চলের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছে হাক্কানি গ্রুপ। এ ছাড়া প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের অবস্থান বেশ শক্তিশালী।
দুই সপ্তাহ আগে কাবুলে মার্কিন দূতাবাস ও ন্যাটো সদর দপ্তরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ জন্য হাক্কানিকে দায়ী করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্য ও ফোনালাপের সূত্র ধরে তাঁরা জানতে পেরেছেন, আইএসআইয়ের সঙ্গে জড়িতে লোকজনের সঙ্গে হামলাকারীদের যোগাযোগ ছিল।
এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্ক নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রকেও নিতে হবে। কেননা, আফগানিস্তানে সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময় সিআইএ এই নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে। তারাই এদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
No comments