‘নাগাসাকির সঙ্গে তুলনা চলে না’
জাপানের নাগাসাকি শহরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন আণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়, তখন কাজুকো ইয়ামাসিতার বয়স ছিল পাঁচ বছর। বোমায় সেকেন্ডের মধ্যেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় নাগাসাকি। নিহত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই ভয়াবহতার মধ্যেও প্রাণে বেঁচে যান তখনকার পাঁচ বছরের শিশু ইয়ামাসিতা। তবে তেজস্ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁকে অসুস্থ জীবনের ঘানি টানতে হচ্ছে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডসহ নানা রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। আর এখন ৭১ বছর বয়সে এসে আক্রান্ত হয়েছেন ক্যানসারে।
জাপানে গত ১১ মার্চ ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ কারণে সৃষ্ট ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামি ও পরে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনা জাপানের জনগণের মনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। আণবিক বোমা হামলার পর বেঁচে থাকা মানুষের মনে দুঃসহ সেই স্মৃতি আরও ভালোভাবে জেগে উঠেছে। তবে তাঁরা ফুকুশিমার বিপর্যয়কে ওই সময়ের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ। তাঁদেরই একজন ইয়ামাসিতা। জাপানের রাজধানী টোকিওতে মেয়ের বাড়িতে থাকেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের তেজস্ক্রিয়ার সঙ্গে বর্তমান পারমাণবিক বিপর্যয়ের কারণে ছড়িয়ে পড়া বিপর্যয়ের তুলনাও করছিলেন ইয়ামাসিতা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেককেই খুব উদ্বিগ্ন হতে দেখেছি আমি। কিন্তু আমার তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তবে, খুব বেশি পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়লে তা গুরুতর হতে পারে।’
ইয়ামাসিতা আরও বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণ ঘটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ছিলাম। কর্তৃপক্ষ ওই কেন্দ্রের আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নেয়। আমি সত্যি বলছি, এর পরও আমার মনে তেমন ভীতি সঞ্চার হয়নি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগাসাকিতে আণবিক বোমা নিক্ষেপের কথা স্মরণ করে ইয়ামাসিতা বলেন, ‘আমি কিছু দেখতে পাইনি। প্রথমে ভয়াবহ এক শব্দ পেলাম। যেন কাঁচসহ বিভিন্ন বস্তু ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। কয়েক মিনিট পরে দেখি সবকিছু অন্য রকম হয়ে গেছে। আমার চারদিকে পৃথিবী যেন লাল হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন ফুকুশিমার পারমাণবিক বিপর্যয়কে অনেকেই ওই সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু নাগাসাকির সঙ্গে ফুকুশিমার বিপর্যয়ের তুলনা চলে না।
জাপানে গত ১১ মার্চ ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ কারণে সৃষ্ট ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামি ও পরে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনা জাপানের জনগণের মনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। আণবিক বোমা হামলার পর বেঁচে থাকা মানুষের মনে দুঃসহ সেই স্মৃতি আরও ভালোভাবে জেগে উঠেছে। তবে তাঁরা ফুকুশিমার বিপর্যয়কে ওই সময়ের সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ। তাঁদেরই একজন ইয়ামাসিতা। জাপানের রাজধানী টোকিওতে মেয়ের বাড়িতে থাকেন তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের তেজস্ক্রিয়ার সঙ্গে বর্তমান পারমাণবিক বিপর্যয়ের কারণে ছড়িয়ে পড়া বিপর্যয়ের তুলনাও করছিলেন ইয়ামাসিতা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেককেই খুব উদ্বিগ্ন হতে দেখেছি আমি। কিন্তু আমার তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তবে, খুব বেশি পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়লে তা গুরুতর হতে পারে।’
ইয়ামাসিতা আরও বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণ ঘটা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে ছিলাম। কর্তৃপক্ষ ওই কেন্দ্রের আশপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নেয়। আমি সত্যি বলছি, এর পরও আমার মনে তেমন ভীতি সঞ্চার হয়নি।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাগাসাকিতে আণবিক বোমা নিক্ষেপের কথা স্মরণ করে ইয়ামাসিতা বলেন, ‘আমি কিছু দেখতে পাইনি। প্রথমে ভয়াবহ এক শব্দ পেলাম। যেন কাঁচসহ বিভিন্ন বস্তু ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। কয়েক মিনিট পরে দেখি সবকিছু অন্য রকম হয়ে গেছে। আমার চারদিকে পৃথিবী যেন লাল হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এখন ফুকুশিমার পারমাণবিক বিপর্যয়কে অনেকেই ওই সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু নাগাসাকির সঙ্গে ফুকুশিমার বিপর্যয়ের তুলনা চলে না।
No comments