ভোট কেনার বিষয়ে কিছুই জানি না: মনমোহন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ২০০৮ সালে আস্থা ভোটের সময় ঘুষ দিয়ে ভোট কেনার যে অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ভারতীয় পার্লামেন্টের দুই কক্ষ রাজ্যসভা ও লোকসভায় ভাষণে তিনি একথা বলেন। এর আগে মনমোহনের পদত্যাগের দাবিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিরোধী দল হট্টগোল শুরু করলে অধিবেশন গতকালের জন্য মুলতবি করা হয়।
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্য হিন্দু পত্রিকা জানায়, আস্থা ভোটে জিততে ক্ষমতাসীন জোট আইনপ্রণেতাদের পেছনে ৫০ থেকে ৬০ কোটি রুপি খরচ করেছিল। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কংগ্রেস পার্টির এক কর্মকর্তা এক মার্কিন কূটনীতিককে এ কথা জানিয়েছেন।
উইকিলিকসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসের ওই কর্মকর্তা দুই সিন্দুকভর্তি রুপি দেখিয়ে মার্কিন কূটনীতিককে জানান, একটি আঞ্চলিক দলের চার সাংসদের সমর্থন পেতে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কোটি করে রুপি দেওয়া হয়েছে।
পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ভাষণে মনমোহন বলেন, উইকিলিকসের বরাত দিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা আসলে অনুমাননির্ভর এবং যাচাই-বাছাই ছাড়াই। কংগ্রেস বা সরকারের কেউ এ ধরনের কোনো অনৈতিক কাজ করেনি।
বিরোধীদের সমালোচনা করে মনমোহন বলেন, তারা আবার সেই পুরোনো অভিযোগ তুলছে, যা নিয়ে লোকসভায় বিতর্ক হয়ে গেছে এবং দেশের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে সাময়িকীর এক অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি খুবই স্পষ্ট করে বলছি, ভোট কেনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভোট কেনার জন্য আমি কাউকে বলিনি এবং এ ধরনের কোনো লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানিও না।’
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মনমোহন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, তা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমার যদি কিছু বলার থাকে তাহলে প্রথমে তা সেখানেই বলব।’
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি করার পর সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কমিউনিস্টরা। এরপর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে অল্পের জন্য পার পেয়ে যায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ)।
আস্থা ভোটের পর প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজিপি) অভিযোগ করেছিল, কংগ্রেস টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে। ইউকিলিকসের এই প্রতিবেদন বিজিপির সেই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করল।
উইকিলিকসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসের ওই কর্মকর্তা দুই সিন্দুকভর্তি রুপি দেখিয়ে মার্কিন কূটনীতিককে জানান, একটি আঞ্চলিক দলের চার সাংসদের সমর্থন পেতে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কোটি করে রুপি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উইকিলিকসের এই খবরে মনমোহন সরকারের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতে একের পর এক বড় বড় দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে সরকার দুরবস্থার মধ্যে আছে।
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্য হিন্দু পত্রিকা জানায়, আস্থা ভোটে জিততে ক্ষমতাসীন জোট আইনপ্রণেতাদের পেছনে ৫০ থেকে ৬০ কোটি রুপি খরচ করেছিল। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কংগ্রেস পার্টির এক কর্মকর্তা এক মার্কিন কূটনীতিককে এ কথা জানিয়েছেন।
উইকিলিকসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসের ওই কর্মকর্তা দুই সিন্দুকভর্তি রুপি দেখিয়ে মার্কিন কূটনীতিককে জানান, একটি আঞ্চলিক দলের চার সাংসদের সমর্থন পেতে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কোটি করে রুপি দেওয়া হয়েছে।
পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে ভাষণে মনমোহন বলেন, উইকিলিকসের বরাত দিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা আসলে অনুমাননির্ভর এবং যাচাই-বাছাই ছাড়াই। কংগ্রেস বা সরকারের কেউ এ ধরনের কোনো অনৈতিক কাজ করেনি।
বিরোধীদের সমালোচনা করে মনমোহন বলেন, তারা আবার সেই পুরোনো অভিযোগ তুলছে, যা নিয়ে লোকসভায় বিতর্ক হয়ে গেছে এবং দেশের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এর আগে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে সাময়িকীর এক অনুষ্ঠানে মনমোহন সিং বলেন, ‘আমি খুবই স্পষ্ট করে বলছি, ভোট কেনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভোট কেনার জন্য আমি কাউকে বলিনি এবং এ ধরনের কোনো লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানিও না।’
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া তথ্যের যথার্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে মনমোহন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি, তা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমার যদি কিছু বলার থাকে তাহলে প্রথমে তা সেখানেই বলব।’
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি করার পর সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কমিউনিস্টরা। এরপর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে অল্পের জন্য পার পেয়ে যায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চা (ইউপিএ)।
আস্থা ভোটের পর প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজিপি) অভিযোগ করেছিল, কংগ্রেস টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে। ইউকিলিকসের এই প্রতিবেদন বিজিপির সেই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী করল।
উইকিলিকসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কংগ্রেসের ওই কর্মকর্তা দুই সিন্দুকভর্তি রুপি দেখিয়ে মার্কিন কূটনীতিককে জানান, একটি আঞ্চলিক দলের চার সাংসদের সমর্থন পেতে তাঁদের প্রত্যেককে ১০ কোটি করে রুপি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উইকিলিকসের এই খবরে মনমোহন সরকারের স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনিতে একের পর এক বড় বড় দুর্নীতির কেলেঙ্কারিতে সরকার দুরবস্থার মধ্যে আছে।
No comments