হেডিংলি ফিরবে প্রেমাদাসায়
২৯ থেকে শুরু। ৩০, ৩১ হয়ে ৩২-এ একটু ধাক্কা। প্রকৃতি থামাল জয়রথ। তবে অপরাজেয় যাত্রা নয়। ৩৩ হয়ে এখন সেটা ৩৪। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি ম্যাচের আগে-পরে চলছে এই আলোচনা—কত হচ্ছে, কত হলো। কে থামাবে, কোথায় গিয়ে থামবে। আজকের ম্যাচের আগে এই আলোচনার পালে যেন একটু বাড়তি হাওয়া, পরিসংখ্যান-ইতিহাস ধরে টানাটানিটা একটু বেশিই হলো। প্রতিপক্ষ যে পাকিস্তান, বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ পরাজয় যাদের কাছে!
অস্ট্রেলিয়ার এই দলে ‘বিশ্বকাপে হার’ নামক জিনিসটার সঙ্গে পরিচয় আছে কেবল একজনেরই। সেই একজনের আবার আছে গর্বের এক রেকর্ডও। ১৯৯৯ সালের ২৩ মে, হেডিংলিতে পাকিস্তানের কাছে ১০ রানে হারা ম্যাচে ৪৭ রান করেছিলেন রিকি পন্টিং। এরপর অস্ট্রেলিয়ার যে টানা ৩৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা, এর ২৭টিতেই অধিনায়ক পন্টিং। বিশ্বকাপে অধিনায়ক পন্টিংয়ের তাই পরাজয় বলে কিছু নেই!
অভিজ্ঞতাটা যে মোটেও পেতে চান না, কাল পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে আমাদের রেকর্ড নিয়ে আমরা গর্বিত। শুধু বিশ্বকাপ নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, যেখানেই আমরা খেলেছি, আমাদের রেকর্ড আমাকে গর্বিত করে। আগামীকাল আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ। আগে কী হয়েছে, তা নিয়ে আমরা খুব বেশি আলোচনা করি না। তবে রেকর্ড ধরে রাখার তাগিদটা তো থাকবেই।’
’৯৯ বিশ্বকাপের পাকিস্তান স্কোয়াডের দুজন আছেন এই দলে। একজন মাঠে থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলেন, আরেকজন ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছিলেন। আজ জায়গা বদল হচ্ছে সেই দুজনের। নাটকীয় কিছু না ঘটলে শোয়েব আখতার থাকবেন ড্রেসিংরুমে, শহীদ আফ্রিদি করবেন টস!
ওই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে দুদল মুখোমুখি হয়েছে দুবার। সেবারই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কীভাবে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল, এটা মোটামুটি সবারই জানা। আরেকবার পরের বিশ্বকাপে দুদলের প্রথম ম্যাচে। ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ দিয়েই আবার বিশ্বকাপ অধিনায়কত্বে অভিষেক পন্টিংয়ের। ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। তবে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস নামের এক ‘খুনে তরুণ’ নিজেকে চেনানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন ওই দিনটিকেই। ১২৯ বলে অপরাজিত ১৪৩ করে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রেকর্ডই আজ তাদের এগিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট, এগিয়ে রাখছে এই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সও। আগের মতো অপ্রতিরোধ্য মনে না হলেও অস্ট্রেলিয়া ঠিকই ধারাবাহিক। আর পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে বরাবরের মতোই জোয়ার-ভাটা। তবে পাকিস্তানের পক্ষে আছে ঘরের মাটির পরিচিত কন্ডিশন। ঘরের মাটি শুনে অবাক হচ্ছেন তো? শ্রীলঙ্কা তো তাদের ঘরের মাটিই, গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই তারা খেলল এখানে, যে সৌভাগ্য হয়নি শ্রীলঙ্কারও! এই প্রেমাদাসাতেই পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, এটা মনে করিয়ে দিলেন স্বয়ং পন্টিংই। আফ্রিদিও মোটামুটি হুমকি দিয়ে রেখেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পথ তাদের জানা! দুই অধিনায়কের কথার লড়াই যেন ম্যাচের আগের বারুদ। যেটা খুব বেশি দেখা যায়নি ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচগুলোতে। পন্টিংই বললেন, ‘আমাদের গ্রুপের খেলাগুলো কেমন যেন হলো বিরক্তিকর..ওই গ্রুপে প্রায় সবই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ।’
তবে যতই বলুন, আজ অন্তত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ নয়, পন্টিং নিশ্চয়ই সহজে জিততে চাইবেন। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের তো আর প্রত্যাশায় থাকতে বাধা নেই!
অস্ট্রেলিয়ার এই দলে ‘বিশ্বকাপে হার’ নামক জিনিসটার সঙ্গে পরিচয় আছে কেবল একজনেরই। সেই একজনের আবার আছে গর্বের এক রেকর্ডও। ১৯৯৯ সালের ২৩ মে, হেডিংলিতে পাকিস্তানের কাছে ১০ রানে হারা ম্যাচে ৪৭ রান করেছিলেন রিকি পন্টিং। এরপর অস্ট্রেলিয়ার যে টানা ৩৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা, এর ২৭টিতেই অধিনায়ক পন্টিং। বিশ্বকাপে অধিনায়ক পন্টিংয়ের তাই পরাজয় বলে কিছু নেই!
অভিজ্ঞতাটা যে মোটেও পেতে চান না, কাল পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে আমাদের রেকর্ড নিয়ে আমরা গর্বিত। শুধু বিশ্বকাপ নয়, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, যেখানেই আমরা খেলেছি, আমাদের রেকর্ড আমাকে গর্বিত করে। আগামীকাল আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ। আগে কী হয়েছে, তা নিয়ে আমরা খুব বেশি আলোচনা করি না। তবে রেকর্ড ধরে রাখার তাগিদটা তো থাকবেই।’
’৯৯ বিশ্বকাপের পাকিস্তান স্কোয়াডের দুজন আছেন এই দলে। একজন মাঠে থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলেন, আরেকজন ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছিলেন। আজ জায়গা বদল হচ্ছে সেই দুজনের। নাটকীয় কিছু না ঘটলে শোয়েব আখতার থাকবেন ড্রেসিংরুমে, শহীদ আফ্রিদি করবেন টস!
ওই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে দুদল মুখোমুখি হয়েছে দুবার। সেবারই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কীভাবে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছিল, এটা মোটামুটি সবারই জানা। আরেকবার পরের বিশ্বকাপে দুদলের প্রথম ম্যাচে। ২০০৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ দিয়েই আবার বিশ্বকাপ অধিনায়কত্বে অভিষেক পন্টিংয়ের। ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। তবে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস নামের এক ‘খুনে তরুণ’ নিজেকে চেনানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন ওই দিনটিকেই। ১২৯ বলে অপরাজিত ১৪৩ করে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রেকর্ডই আজ তাদের এগিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট, এগিয়ে রাখছে এই বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সও। আগের মতো অপ্রতিরোধ্য মনে না হলেও অস্ট্রেলিয়া ঠিকই ধারাবাহিক। আর পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে বরাবরের মতোই জোয়ার-ভাটা। তবে পাকিস্তানের পক্ষে আছে ঘরের মাটির পরিচিত কন্ডিশন। ঘরের মাটি শুনে অবাক হচ্ছেন তো? শ্রীলঙ্কা তো তাদের ঘরের মাটিই, গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচই তারা খেলল এখানে, যে সৌভাগ্য হয়নি শ্রীলঙ্কারও! এই প্রেমাদাসাতেই পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, এটা মনে করিয়ে দিলেন স্বয়ং পন্টিংই। আফ্রিদিও মোটামুটি হুমকি দিয়ে রেখেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পথ তাদের জানা! দুই অধিনায়কের কথার লড়াই যেন ম্যাচের আগের বারুদ। যেটা খুব বেশি দেখা যায়নি ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচগুলোতে। পন্টিংই বললেন, ‘আমাদের গ্রুপের খেলাগুলো কেমন যেন হলো বিরক্তিকর..ওই গ্রুপে প্রায় সবই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ।’
তবে যতই বলুন, আজ অন্তত শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ নয়, পন্টিং নিশ্চয়ই সহজে জিততে চাইবেন। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের তো আর প্রত্যাশায় থাকতে বাধা নেই!
No comments