প্রথম ‘সেঞ্চুরি’র অপেক্ষায়
বাল্যবন্ধু বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে তাঁর হাস্যোজ্জ্বল ছবি টাঙানো রয়েছে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের দেয়ালে। ক্রিকেটজীবনের শুরুর দিকের ছবি। সেই শচীন টেন্ডুলকার আজ এই মাঠেই সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করে ফেললে নতুন একটা ছবি দ্রুত ওখানে উঠে যেতে পারে। বিশ্বকাপের ডামাডোলে ক্রিকেটপিপাসুদের ব্যাকুলতা এখন এটা নিয়েও।
চেন্নাইয়ের রাস্তাঘাটে এমনিতে বিশ্বকাপের কোনো ব্যানার-ট্যানার দেখা ডুমুরের ফুলের মতো ব্যাপার। কাল ঢাকায় যখন সাকিবদের ছবি পোড়ানো চলছে, চেন্নাই তখন অনেকটা নীরব-নিথর। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে লাগে স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় দশ-বারো টিভি ভ্যানের সাজসাজ রব দেখে। পড়ন্ত বিকেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক টিভি রিপোর্টারের ‘লাইভ’ চোখ কাড়ল। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আপাত ‘গুরুত্বহীন’ লড়াইয়ে মূল আলোটা রাখলেন তিনি টেন্ডুলকারের আরেকটি সম্ভাব্য মাইলফলকের ওপর।
ঔপনিবেশিক আমলের অনেক নিদর্শন এখনো পাওয়া যায় চেন্নাইয়ে। ভিক্টোরিয়া পাবলিক হল তারই একটি। স্টেডিয়ামের কাছেই মেরিনা সৈকত। কক্সবাজারের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সৈকতের শহরে কাল দুপুরের পর থেকেই আবহটা বদলে গেছে। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়ে কোনো উত্তেজনা নেই। যা ছিল, সবই ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। অঙ্কের হিসাবের যাবতীয় জল্পনা ছুড়ে ফেলে নির্ভার দুই দল। শেষ আটে ওঠার আনুষ্ঠানিকতা শেষ!
মিরপুরে সাকিবরা অলআউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিপকের প্রেসবক্সে কেউ একজন ঘোষণা দিলেন, ‘বাংলাদেশ অলআউট সেভেনটি এইট’। সঙ্গে সঙ্গে হাততালিও পড়ল অনেক! বাংলাদেশের পরাজয় ভারতীয়রা চাইছিল কি না কে জানে, তবে গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হাতে বিদায়ের জ্বালা বোধহয় এবার লাল-সবুজের বিদায়ে জুড়াল ভারত! তার চেয়েও বেশি বোধহয় সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচে পড়ে ভারতের শেষ আটে যাওয়া ঝুলে থাকল না বলে।
টিভিতে খেলা যখন চলছিল, বাংলাদেশের ৫-৬টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই চ্যানেল বদল। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে চোখ চলে গেল আগ্রহীদের।
দুপুরে এখানকার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ ডিগ্রি। তবে ঠিক এই সময়টায় একটু আগে-পরে দুই দলের সংবাদ সম্মেলন হলো ‘উত্তাপহীন’। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংবাদ সম্মেলনে উত্তাপ থাকার কথাও নয়। তবে ধোনির থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন বরাবর দুই দলের অধিনায়ক যা বলেন, সেটিই বলে গেলেন ধোনি-স্যামি। নিজ নিজ দলের ‘সমস্যা’কেন্দ্রিক প্রশ্নোত্তরই বেশি হলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়া দুই দলের এখন সেমিফাইনালের ছক কাটতেই সময় যাচ্ছে বেশি। ২৪ মার্চ আহমেদাবাদে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, ভারত ঘরের মাঠেই নামবে শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে। সেই ম্যাচের প্রস্তুতিও আসলে চলছে এখানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়ে কে অত ভাবে! স্থানীয় দুই মাঝারি সারির ভেন্যু কর্মকর্তার কথোপকথন কানে এল, ‘আহমেদাবাদের টিকিট কেটেছ? দেখো আবার, সেখানে বেজায় ভিড়। বিমানে সিট পাবে তো?’
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনে একটা বিপ্লব চলছে এখন। কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের ফ্লাইট কাল ‘ফুল’। কলকাতার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ভিড়ে গিজগিজ। স্রোতের মতো মানুষ ঢুকছে-বেরোচ্ছে। এক শ কোটির মানুষের দেশ উদ্গ্রীব হয়ে আছে বিশ্বকাপ ঘরে আসছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণে কাল ধোনি তাঁর সংবাদ সম্মেলনে বলে গেলেন, ‘ভারতকে তার ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ উদ্বোধনী ম্যাচে ভালো করলেও এরপর ধস, পাওয়ার প্লে ভালোভাবে কাজে লাগাতে না পারা নিয়ে হতাশা জানালেন। অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এখনো না খেলানোয় অনেক জল ঘোলা হওয়া নিয়ে তাঁর কথা, ‘ম্যাচের আগে একাদশ ঠিক হবে।’ তবে হাঁটুর ইনজুরির কারণে বীরেন্দর শেবাগের না খেলারও সম্ভাবনা আছে।
চন্দরপলকে আজও বাইরে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফল আমাদের হাতে নেই। ভারতকে হারিয়েই আমরা শেষ আটে যেতে চাই।’
ভারতকে হারানোর দরকার হয়নি স্যামিদের। তবে ‘বি’ গ্রুপের স্থান নির্ধারণে গুরুত্ব আছে, আরও গুরুত্ব টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির উপলক্ষে। তা হলেই ম্যাচটি ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বে!
চেন্নাইয়ের রাস্তাঘাটে এমনিতে বিশ্বকাপের কোনো ব্যানার-ট্যানার দেখা ডুমুরের ফুলের মতো ব্যাপার। কাল ঢাকায় যখন সাকিবদের ছবি পোড়ানো চলছে, চেন্নাই তখন অনেকটা নীরব-নিথর। বিশ্বকাপের উত্তাপ গায়ে লাগে স্টেডিয়ামের বাইরের রাস্তায় দশ-বারো টিভি ভ্যানের সাজসাজ রব দেখে। পড়ন্ত বিকেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এক টিভি রিপোর্টারের ‘লাইভ’ চোখ কাড়ল। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আপাত ‘গুরুত্বহীন’ লড়াইয়ে মূল আলোটা রাখলেন তিনি টেন্ডুলকারের আরেকটি সম্ভাব্য মাইলফলকের ওপর।
ঔপনিবেশিক আমলের অনেক নিদর্শন এখনো পাওয়া যায় চেন্নাইয়ে। ভিক্টোরিয়া পাবলিক হল তারই একটি। স্টেডিয়ামের কাছেই মেরিনা সৈকত। কক্সবাজারের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সৈকতের শহরে কাল দুপুরের পর থেকেই আবহটা বদলে গেছে। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়ে কোনো উত্তেজনা নেই। যা ছিল, সবই ধুয়েমুছে সাফ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। অঙ্কের হিসাবের যাবতীয় জল্পনা ছুড়ে ফেলে নির্ভার দুই দল। শেষ আটে ওঠার আনুষ্ঠানিকতা শেষ!
মিরপুরে সাকিবরা অলআউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিপকের প্রেসবক্সে কেউ একজন ঘোষণা দিলেন, ‘বাংলাদেশ অলআউট সেভেনটি এইট’। সঙ্গে সঙ্গে হাততালিও পড়ল অনেক! বাংলাদেশের পরাজয় ভারতীয়রা চাইছিল কি না কে জানে, তবে গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হাতে বিদায়ের জ্বালা বোধহয় এবার লাল-সবুজের বিদায়ে জুড়াল ভারত! তার চেয়েও বেশি বোধহয় সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচে পড়ে ভারতের শেষ আটে যাওয়া ঝুলে থাকল না বলে।
টিভিতে খেলা যখন চলছিল, বাংলাদেশের ৫-৬টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরই চ্যানেল বদল। পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে চোখ চলে গেল আগ্রহীদের।
দুপুরে এখানকার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৩১ ডিগ্রি। তবে ঠিক এই সময়টায় একটু আগে-পরে দুই দলের সংবাদ সম্মেলন হলো ‘উত্তাপহীন’। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংবাদ সম্মেলনে উত্তাপ থাকার কথাও নয়। তবে ধোনির থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন বরাবর দুই দলের অধিনায়ক যা বলেন, সেটিই বলে গেলেন ধোনি-স্যামি। নিজ নিজ দলের ‘সমস্যা’কেন্দ্রিক প্রশ্নোত্তরই বেশি হলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়া দুই দলের এখন সেমিফাইনালের ছক কাটতেই সময় যাচ্ছে বেশি। ২৪ মার্চ আহমেদাবাদে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, ভারত ঘরের মাঠেই নামবে শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে। সেই ম্যাচের প্রস্তুতিও আসলে চলছে এখানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ নিয়ে কে অত ভাবে! স্থানীয় দুই মাঝারি সারির ভেন্যু কর্মকর্তার কথোপকথন কানে এল, ‘আহমেদাবাদের টিকিট কেটেছ? দেখো আবার, সেখানে বেজায় ভিড়। বিমানে সিট পাবে তো?’
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনে একটা বিপ্লব চলছে এখন। কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের ফ্লাইট কাল ‘ফুল’। কলকাতার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ভিড়ে গিজগিজ। স্রোতের মতো মানুষ ঢুকছে-বেরোচ্ছে। এক শ কোটির মানুষের দেশ উদ্গ্রীব হয়ে আছে বিশ্বকাপ ঘরে আসছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণে কাল ধোনি তাঁর সংবাদ সম্মেলনে বলে গেলেন, ‘ভারতকে তার ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ উদ্বোধনী ম্যাচে ভালো করলেও এরপর ধস, পাওয়ার প্লে ভালোভাবে কাজে লাগাতে না পারা নিয়ে হতাশা জানালেন। অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে এখনো না খেলানোয় অনেক জল ঘোলা হওয়া নিয়ে তাঁর কথা, ‘ম্যাচের আগে একাদশ ঠিক হবে।’ তবে হাঁটুর ইনজুরির কারণে বীরেন্দর শেবাগের না খেলারও সম্ভাবনা আছে।
চন্দরপলকে আজও বাইরে রাখার ইঙ্গিত দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফল আমাদের হাতে নেই। ভারতকে হারিয়েই আমরা শেষ আটে যেতে চাই।’
ভারতকে হারানোর দরকার হয়নি স্যামিদের। তবে ‘বি’ গ্রুপের স্থান নির্ধারণে গুরুত্ব আছে, আরও গুরুত্ব টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরির সেঞ্চুরির উপলক্ষে। তা হলেই ম্যাচটি ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বে!
No comments