৪৭ ম্যাচ পর দুই শর নিচে
স্টিভেন স্মিথের বয়স তখন চার। তিনি দেখেননি নিশ্চিত করেই বলা যায়। সে সময় মাইকেল ক্লার্ক ১০-১১ বছরের, শেন ওয়াটসনরা হয়তো দেখেছেন, তবে মনে আছে কি না কে জানে! রিকি পন্টিং, মাইক হাসিদের মনে থাকলেও থাকতে পারে। তবে সরাসরি এই অভিজ্ঞতাটা প্রথম দলের সবার জন্যই। বিশ্বকাপে দুই শর নিচে অলআউট!
কালকের আগে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুই শর নিচে অলআউট হয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপে। মজার ব্যাপার হলো, সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল এই পাকিস্তানই। ১১ মার্চ, পার্থে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছিল ওই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট অ্যালান বোর্ডারের দল। সেবার অবশ্য প্রথমে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান। ওয়াকার উইকেটকে তখন মনে করা হতো বিশ্বের দ্রুততম উইকেট। কিন্তু পাকিস্তান উইকেট বিলিয়েছিল স্টিভ ওয়াহ ও টম মুডির ‘জেন্টল’ মিডিয়াম পেসে। ৫০ ওভারে ২২০। পাকিস্তানের হয়ে জ্বলে উঠলেন মূল পেসাররাই। আকিব জাভেদ তিনটি, ওয়াসিম আকরাম ও ইমরান খান দুটি করে। সঙ্গে লেগ স্পিনে মুশতাক আহমেদের ৩ উইকেট, অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৭২ রানে।
পার্থের সেই ম্যাচ আর প্রেমাদাসার কালকের ম্যাচের মাঝে বিশ্বকাপে ৪৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহালিতে ২০৭ রানই ছিল এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ইনিংস। ১৯৯২ বিশ্বকাপের কেউ তো নেই-ই, ১৯৯৬ বিশ্বকাপ খেলাদের মাঝেই এই দলে আছেন কেবল রিকি পন্টিং। দলের সবার জন্যই তাই দুই শর কমে আউট হওয়ার তিক্ত স্বাদ এই প্রথম।
ওয়াকার ওই উইকেটের একেবারে উল্টো প্রেমাদাসার উইকেট। মন্থর উইকেট, বল পিচ করে ব্যাটে আসছিল দেরিতে। তবে মূল সর্বনাশ এবারও করল সেই পেসাররাই। শেন ওয়াটসনকে বোল্ড করে শুরুটা করে দিলেন মূল স্ট্রাইক বোলার উমর গুল। সর্বোচ্চ স্কোরার ব্র্যাড হাডিনকে ফেরালেন ওয়াহাব রিয়াজ। বল হাতে পেয়েই মাইকেল ক্লার্ককে ফেরালেন আবদুল রাজ্জাক। তুলে নিলেন মিচেল জনসনকেও। দ্বিতীয় স্পেলে আরও ২ উইকেট নিয়ে লেজটা ছেঁটে দিলেন গুল। পার্থে ছিল ৭টি, প্রেমাদাসার মন্থর উইকেটেও ৬ উইকেট পেসারদের।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে পূর্ণ ওভারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার এটি ষষ্ঠ সর্বনিম্ন ইনিংস। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পার্থের ওই ১৭২ রানের আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ১৭১ রানে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৯৭৯ বিশ্বকাপে পুরো ৬০ ওভার খেলে করেছিল ৯ উইকেটে ১৫৯। বর্তমান প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ করেছিলেন ১০৮ বলে ৪৭, সেই সময়ের তরুণ প্রতিভা বোর্ডার ৭৪ বলে ৩৪। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দুটি স্কোরই ১৯৮৩ বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে ১২৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫১।
সব মিলিয়ে ১০ বিশ্বকাপে দুই শর নিচে স্কোর আছে মাত্র আটটি। তবে পন্টিংদের জন্য অশনিসংকেত, এর একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া!
কালকের আগে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুই শর নিচে অলআউট হয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপে। মজার ব্যাপার হলো, সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল এই পাকিস্তানই। ১১ মার্চ, পার্থে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১৭২ রানে অলআউট হয়েছিল ওই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট অ্যালান বোর্ডারের দল। সেবার অবশ্য প্রথমে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান। ওয়াকার উইকেটকে তখন মনে করা হতো বিশ্বের দ্রুততম উইকেট। কিন্তু পাকিস্তান উইকেট বিলিয়েছিল স্টিভ ওয়াহ ও টম মুডির ‘জেন্টল’ মিডিয়াম পেসে। ৫০ ওভারে ২২০। পাকিস্তানের হয়ে জ্বলে উঠলেন মূল পেসাররাই। আকিব জাভেদ তিনটি, ওয়াসিম আকরাম ও ইমরান খান দুটি করে। সঙ্গে লেগ স্পিনে মুশতাক আহমেদের ৩ উইকেট, অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৭২ রানে।
পার্থের সেই ম্যাচ আর প্রেমাদাসার কালকের ম্যাচের মাঝে বিশ্বকাপে ৪৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহালিতে ২০৭ রানই ছিল এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ইনিংস। ১৯৯২ বিশ্বকাপের কেউ তো নেই-ই, ১৯৯৬ বিশ্বকাপ খেলাদের মাঝেই এই দলে আছেন কেবল রিকি পন্টিং। দলের সবার জন্যই তাই দুই শর কমে আউট হওয়ার তিক্ত স্বাদ এই প্রথম।
ওয়াকার ওই উইকেটের একেবারে উল্টো প্রেমাদাসার উইকেট। মন্থর উইকেট, বল পিচ করে ব্যাটে আসছিল দেরিতে। তবে মূল সর্বনাশ এবারও করল সেই পেসাররাই। শেন ওয়াটসনকে বোল্ড করে শুরুটা করে দিলেন মূল স্ট্রাইক বোলার উমর গুল। সর্বোচ্চ স্কোরার ব্র্যাড হাডিনকে ফেরালেন ওয়াহাব রিয়াজ। বল হাতে পেয়েই মাইকেল ক্লার্ককে ফেরালেন আবদুল রাজ্জাক। তুলে নিলেন মিচেল জনসনকেও। দ্বিতীয় স্পেলে আরও ২ উইকেট নিয়ে লেজটা ছেঁটে দিলেন গুল। পার্থে ছিল ৭টি, প্রেমাদাসার মন্থর উইকেটেও ৬ উইকেট পেসারদের।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে পূর্ণ ওভারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার এটি ষষ্ঠ সর্বনিম্ন ইনিংস। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পার্থের ওই ১৭২ রানের আগের ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গুটিয়ে গিয়েছিল ১৭১ রানে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১৯৭৯ বিশ্বকাপে পুরো ৬০ ওভার খেলে করেছিল ৯ উইকেটে ১৫৯। বর্তমান প্রধান নির্বাচক অ্যান্ড্রু হিলডিচ করেছিলেন ১০৮ বলে ৪৭, সেই সময়ের তরুণ প্রতিভা বোর্ডার ৭৪ বলে ৩৪। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন দুটি স্কোরই ১৯৮৩ বিশ্বকাপে, ভারতের বিপক্ষে ১২৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫১।
সব মিলিয়ে ১০ বিশ্বকাপে দুই শর নিচে স্কোর আছে মাত্র আটটি। তবে পন্টিংদের জন্য অশনিসংকেত, এর একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া!
No comments