প্রথমার্ধে শিল্পঋণ বিতরণ ও আদায় দুই-ই বেড়েছে
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেয়াদি শিল্পঋণ হিসাবে ১৬ হাজার ৯২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আর গত অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিতরণ করা শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা আরও বেড়ে হয়েছে নয় হাজার ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে, চার হাজার ৫৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এবং বাকি এক হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে।
শিল্পঋণ বিতরণের এই জোরাল প্রবৃদ্ধি অবশ্য একাধিক কারণে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানটি হলো, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের চাহিদা বাড়া, যার প্রতিফলন ঘটেছে আমদানি-ব্যয় ও রপ্তানি-আয় উভয়ই বাড়ার মধ্য দিয়ে।
আরেকটি হলো শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থ বিভিন্নভাবে শেয়ারবাজারে ধাবিত হওয়া। মূলত গত ২০০৯-১০ অর্থবছরেই শিল্পঋণের বিরাট উল্লম্ফন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তোলে। এরপর একাধিক অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয়, বিরাট অঙ্কের শিল্পঋণ আসলে শেয়ারবাজারে খাটান হয়েছে।
শুধু শেয়ারবাজারেই নয়, জমি ও বাড়ি কেনার জন্যও শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক ও গ্রাহকের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে।
এরই পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে তাদের প্রদত্ত ঋণ নির্ধারিত খাতে যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয় এবং যেসব ঋণের ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটেছে, তা সমন্বয়ের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বকেয়া মেয়াদি শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে আদায় করা ঋণের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৫৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বকেয়া শিল্পঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৪৫ শতাংশ।
এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আদায় করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে আদায় করা হয়েছে ছয় হাজার ৫৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে বকেয়া ঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ।
প্রথমার্ধে আদায় করা শিল্পঋণের মধ্যে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া আদায় হয়েছে আট হাজার ৯৮৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি শিল্প থেকে আদায় করা ঋণের পরিমাণ দুই হাজার ৫৪৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৯১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এসেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধ শেষে অর্থাৎ ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে বকেয়া শিল্পঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর একই সময়ে এসে শিল্পঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৩৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ডিসেম্বর শেষে বকেয়া ঋণ শিল্পঋণের মোট স্থিতির সাড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণের মোট পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। একই সময়ে আদায় করা বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৯৮২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেয়াদি শিল্পঋণ হিসাবে ১৬ হাজার ৯২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
আর গত অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণ করা মেয়াদি শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৬১৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিতরণ করা শিল্পঋণের পরিমাণ ছিল সাত হাজার ৪৭৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা আরও বেড়ে হয়েছে নয় হাজার ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে, চার হাজার ৫৪৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এবং বাকি এক হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে।
শিল্পঋণ বিতরণের এই জোরাল প্রবৃদ্ধি অবশ্য একাধিক কারণে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধানটি হলো, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের চাহিদা বাড়া, যার প্রতিফলন ঘটেছে আমদানি-ব্যয় ও রপ্তানি-আয় উভয়ই বাড়ার মধ্য দিয়ে।
আরেকটি হলো শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থ বিভিন্নভাবে শেয়ারবাজারে ধাবিত হওয়া। মূলত গত ২০০৯-১০ অর্থবছরেই শিল্পঋণের বিরাট উল্লম্ফন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তোলে। এরপর একাধিক অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণে প্রতীয়মান হয়, বিরাট অঙ্কের শিল্পঋণ আসলে শেয়ারবাজারে খাটান হয়েছে।
শুধু শেয়ারবাজারেই নয়, জমি ও বাড়ি কেনার জন্যও শিল্পঋণের নামে নেওয়া অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক ও গ্রাহকের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে।
এরই পরিপ্রক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে তাদের প্রদত্ত ঋণ নির্ধারিত খাতে যথাযথভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয় এবং যেসব ঋণের ক্ষেত্রে বিচ্যুতি ঘটেছে, তা সমন্বয়ের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বকেয়া মেয়াদি শিল্পঋণ আদায়ের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে আদায় করা ঋণের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৫৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বকেয়া শিল্পঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৪৫ শতাংশ।
এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আদায় করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর দ্বিতীয় প্রান্তিকে আদায় করা হয়েছে ছয় হাজার ৫৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে বকেয়া ঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ।
প্রথমার্ধে আদায় করা শিল্পঋণের মধ্যে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া আদায় হয়েছে আট হাজার ৯৮৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া মাঝারি শিল্প থেকে আদায় করা ঋণের পরিমাণ দুই হাজার ৫৪৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৯১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা এসেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথমার্ধ শেষে অর্থাৎ ২০১০ সালের ডিসেম্বর শেষে বকেয়া শিল্পঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর একই সময়ে এসে শিল্পঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৩৮৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ডিসেম্বর শেষে বকেয়া ঋণ শিল্পঋণের মোট স্থিতির সাড়ে ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণের মোট পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। একই সময়ে আদায় করা বকেয়া ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৯৮২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
No comments