অজেয় অস্ট্রেলিয়াকে থামাল পাকিস্তান
শহীদ আফ্রিদি কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন, কে জানে। হয়তো গ্রুপ শীর্ষে থাকাকেই। অন্যরা তো বটেই, বিশ্বকাপের আগে স্বয়ং পাকিস্তান অধিনায়কও নিজের দলকে ফেবারিট বলার ‘দুঃসাহস’ পাননি। বলেছিলেন, ‘বিপজ্জনক।’ সেই দলটিই অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কাকে টপকে শীর্ষে!
তবে বাকি ক্রিকেট-বিশ্বের কাছে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার হার। বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া হারে—একটা প্রজন্ম এটা কেবল শুনেই এসেছে, নিজেদের চোখে দেখা হলো তো কালই প্রথম! একসময়ের অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া ক্ষয়িঞ্চু গত কিছুদিন ধরেই। তার পরও একটা ভাবনা প্রায় সবার মনেই ছিল, বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া অন্য রকম। পাকিস্তানের সৌজন্যে কাল বাকি দলগুলোও জানল, বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়াকে হারানো যায়!
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বশেষ হারিয়েছিল পাকিস্তানই, তবে সেটা ৩৪ ম্যাচ আর ১২ বছর আগে। কাল কাজটা আরও কঠিন মনে হলো অস্ট্রেলিয়া টস জয়ের পর। গত কিছুদিনের ইতিহাস বলছে প্রেমাদাসায় টস জয় মানেই ম্যাচ অর্ধেক পকেটে পুরে ফেলা। সর্বশেষ ১৬টি দিবারাত্রি ম্যাচে ১৪টিতেই জিতেছে প্রথমে ব্যাট করা দল। কিন্তু পাকিস্তান যে কাল ইতিহাস বদলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছিল! উমর গুলের সঙ্গে রেহমানকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। উইকেট না পেলেও প্রথম ৪ ওভারে এই দুজন রান দিয়েছিলেন মাত্র ১০। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতেই গুলের ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলে বোল্ড ফর্মে থাকা ওয়াটসন। রানের গতি বাড়াতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটিতে নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন রিকি পন্টিং ও ব্র্যাড হাডিন। কিন্তু হঠাৎই মোহাম্মদ হাফিজের স্পিন দুর্বোধ্য মনে হতে থাকল অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে। কয়েকবার আউট হতে হতেও বেঁচে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আউট হলেন পন্টিং। ওয়াহাবের বলে কামরানকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন হাডিন। বল হাতে নিয়েই রাজ্জাকের জোড়া আঘাত। আর শেষে আবার গুল। নিউজিল্যান্ডকে শেষ ৪ ওভারে ৯২ রান দেওয়া দলটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের গুটিয়ে দিল ১৭৬ রানে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর প্রথম বিশ্বকাপে দুই শর নিচে রান করল অস্ট্রেলিয়া!
১৯ বছরের ইতিহাস বদলে দেওয়ার পর ১২ বছরের ইতিহাস বদলে দেওয়াটাকেও কঠিন মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিশ্বকাপে প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখতে হবে, এটা যেন মানতেই পারছিলেন না ব্রেট লি। গতিময় সুইং বোলিংয়ে প্রথম স্পেলে আউট করলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও কামরান আকমলকে। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস এই ম্যাচেও প্রতিফলিত হলো আসাদ শফিকের ব্যাটে। ইউনুস খানকে নিয়ে এই তরুণ দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সহজ জয়ের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে লি টানা দুই বলে ফেরালেন ইউনুস ও মিসবাহ-উল-হককে। টানা দ্বিতীয় ফিফটির দোরগোড়ায় গিয়ে শফিকের বিদায় আর আফ্রিদির স্বভাবসুলভ মস্তিষ্ক বিস্ফোরণ কাজটাকে আরও কঠিন করে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত কঠিন কাজটা সহজেই হয়েছে উমর আকমল-রাজ্জাকের ব্যাটে। বিশ্বকাপ দেখল প্রায় ভুলে যাওয়া দৃশ্য—মাথা নিচু করে অস্ট্রেলিয়ানদের মাঠ ছাড়া!
তবে বাকি ক্রিকেট-বিশ্বের কাছে অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার হার। বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া হারে—একটা প্রজন্ম এটা কেবল শুনেই এসেছে, নিজেদের চোখে দেখা হলো তো কালই প্রথম! একসময়ের অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া ক্ষয়িঞ্চু গত কিছুদিন ধরেই। তার পরও একটা ভাবনা প্রায় সবার মনেই ছিল, বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া অন্য রকম। পাকিস্তানের সৌজন্যে কাল বাকি দলগুলোও জানল, বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়াকে হারানো যায়!
বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বশেষ হারিয়েছিল পাকিস্তানই, তবে সেটা ৩৪ ম্যাচ আর ১২ বছর আগে। কাল কাজটা আরও কঠিন মনে হলো অস্ট্রেলিয়া টস জয়ের পর। গত কিছুদিনের ইতিহাস বলছে প্রেমাদাসায় টস জয় মানেই ম্যাচ অর্ধেক পকেটে পুরে ফেলা। সর্বশেষ ১৬টি দিবারাত্রি ম্যাচে ১৪টিতেই জিতেছে প্রথমে ব্যাট করা দল। কিন্তু পাকিস্তান যে কাল ইতিহাস বদলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েই নেমেছিল! উমর গুলের সঙ্গে রেহমানকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। উইকেট না পেলেও প্রথম ৪ ওভারে এই দুজন রান দিয়েছিলেন মাত্র ১০। রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতেই গুলের ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলে বোল্ড ফর্মে থাকা ওয়াটসন। রানের গতি বাড়াতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটিতে নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন রিকি পন্টিং ও ব্র্যাড হাডিন। কিন্তু হঠাৎই মোহাম্মদ হাফিজের স্পিন দুর্বোধ্য মনে হতে থাকল অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে। কয়েকবার আউট হতে হতেও বেঁচে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আউট হলেন পন্টিং। ওয়াহাবের বলে কামরানকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন হাডিন। বল হাতে নিয়েই রাজ্জাকের জোড়া আঘাত। আর শেষে আবার গুল। নিউজিল্যান্ডকে শেষ ৪ ওভারে ৯২ রান দেওয়া দলটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের গুটিয়ে দিল ১৭৬ রানে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর প্রথম বিশ্বকাপে দুই শর নিচে রান করল অস্ট্রেলিয়া!
১৯ বছরের ইতিহাস বদলে দেওয়ার পর ১২ বছরের ইতিহাস বদলে দেওয়াটাকেও কঠিন মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিশ্বকাপে প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখতে হবে, এটা যেন মানতেই পারছিলেন না ব্রেট লি। গতিময় সুইং বোলিংয়ে প্রথম স্পেলে আউট করলেন মোহাম্মদ হাফিজ ও কামরান আকমলকে। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাস এই ম্যাচেও প্রতিফলিত হলো আসাদ শফিকের ব্যাটে। ইউনুস খানকে নিয়ে এই তরুণ দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সহজ জয়ের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে লি টানা দুই বলে ফেরালেন ইউনুস ও মিসবাহ-উল-হককে। টানা দ্বিতীয় ফিফটির দোরগোড়ায় গিয়ে শফিকের বিদায় আর আফ্রিদির স্বভাবসুলভ মস্তিষ্ক বিস্ফোরণ কাজটাকে আরও কঠিন করে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত কঠিন কাজটা সহজেই হয়েছে উমর আকমল-রাজ্জাকের ব্যাটে। বিশ্বকাপ দেখল প্রায় ভুলে যাওয়া দৃশ্য—মাথা নিচু করে অস্ট্রেলিয়ানদের মাঠ ছাড়া!
No comments