ক-য়ে ক্রিকেট, ক-য়ে কষ্ট
শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্তের হাড়হাভাতে জীবনটাই সত্যি! প্রত্যাশার পান্তাভাতে যেখানে স্বপ্নের ঘি থাকে যৎসামান্য, সেখানে বাস্তবতায় নুন-শুকনো মরিচেরই আধিক্য। আগামী দিনের জন্য জমিয়ে রাখা চালটাও বাড়ন্ত। অস্তাচলে ঢলে পড়া সূর্যটা যখন উৎসবের শেষ আলোটুকুও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছে, বিষাদ-নগর মিরপুরে তখন এই উপলব্ধিটাই এসে হাজির—আচমকা!
জাদুকরের অলৌকিক হ্যাট থেকে কোনো ‘মিরাকল’ বের হয়ে আসার আশায় শেষ পর্যন্ত গ্যালারির আসনে লেপ্টে ছিলেন যে হাজার খানেক দর্শক, ভারী হয়ে আসা পা নিয়ে ধীরগতিতে তাঁরা ফিরছিলেন ঘরে। সিনবাদের ভূত হয়ে তাঁদের কাঁধে চেপে বসেছে রাজ্যের হতাশা। কারও কারও চোখে সর্বস্ব লুট হয়ে যাওয়ার বিহ্বলতা। কারও কারও চোখে জল। কেউ বা ভাষাহীন।
বিষণ্নতা মানুষকে কবি বানিয়ে দেয়। মন খারাপের কাব্যই তখন ফোয়ারা হয়ে ছোটে—পেশাদারি সাংবাদিকদের কলমে; যুক্তির ধার না-ধারা সমর্থকদের চোখের জলে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনটাকেও বড় মেঘলা লাগে। চৈত্রের বিরহী বিকেল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িতই শুধু হয়। ‘এক শ বনের বাতাস এসে একটা গাছে হুলুস্থুল’ বাধিয়ে দেয়। উদ্দেশ্যহীন ঘুরপাক খায় ঝরাপাতার দল। কিন্তু ‘যে টেলিফোন আসার কথা, সচরাচর আসে না’। আনন্দ শব্দটার এত কাছাকাছি যে ‘বিষাদ’-এর বাস; জানা হয়ে যায় নতুন করে।
পুরো বিশ্বকাপই আসলে বাংলাদেশের জন্য ছিল মধ্যবিত্তের সেই নিস্তরঙ্গ জীবনে হঠাৎ হঠাৎ ঢিলের আন্দোলন। কখনো সেই ঢিল পড়েছে প্রগাঢ় আনন্দ হয়ে; কখনো বিষণ্নতা। কখনো প্রতীকের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে—আক্ষরিক অর্থেও। পতন আর উত্থান, উত্থান আর পতন। মিরপুর আটান্নর বিভীষিকা উপহার দিয়েছে, চট্টগ্রাম আবার আশার গ্রামাঞ্চল দিয়ে ঘিরে ফেলেছে হতাশার শহর। কিন্তু আবারও সেই মিরপুরে ফিরে আসা। ফিরে আসা আটান্ন। একটু বর্ধিত হয়ে, গোটা কুড়ি রান বাড়িয়ে—আটাত্তর হয়ে। কিন্তু ততক্ষণে যে স্বপ্নটার এলিজি লেখা শেষ!
৪ তারিখের সঙ্গে ১৯ মার্চের মিল তাই থাকলই। এদিনও ঝড়ে পড়া উটপাখির মতো বালুর ঢিবিতে মুখ লুকাল দর্শক। গ্যালারি ম্যাচের মাঝপথ গড়িয়ে একটু এগোতে না এগোতেই ফাঁকা। ম্যাচ শেষে বাইরে ছোট্ট জটলায় উঠল স্লোগান। পার্থক্যও আছে। সেই স্লোগানটা যে এবার একেবারেই তেজহীন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আসলে শেষ। আয়োজক হিসেবে আরও দুটো ম্যাচ আছে বটে, তবু যেন এই দেশে বিশ্বকাপ ‘শেষ না হইয়াও শেষ’!
এদিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবও যন্ত্রণাদগ্ধ। শ দুয়েক সাংবাদিকের সামনে একা বসে থাকা অধিনায়ককে দেখাল পৃথিবীর নিঃসঙ্গতম মানুষ। এদিন সাকিবের জড়িয়ে যাওয়া কণ্ঠে অস্ফুট উচ্চারণ—‘স্যরি!’ চার দিন পর নিজের ২৪তম জন্মদিন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বিষণ্ন জন্মদিন নির্ঘাত। আজ তামিমের দিনটাই বা কেমন কাটবে? সাকিব তাও ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সময় পাচ্ছেন। তামিমের জন্মদিন যে আজই!
খেলা শেষের অনেক পরে, বিকেলের মরে যাওয়া আলোয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিষণ্ন ঘাস পেল পানির ফোয়ারার অতিজরুরি স্পর্শ। সাকিব-তামিমরা এই স্পর্শ কবে পাবেন?
জাদুকরের অলৌকিক হ্যাট থেকে কোনো ‘মিরাকল’ বের হয়ে আসার আশায় শেষ পর্যন্ত গ্যালারির আসনে লেপ্টে ছিলেন যে হাজার খানেক দর্শক, ভারী হয়ে আসা পা নিয়ে ধীরগতিতে তাঁরা ফিরছিলেন ঘরে। সিনবাদের ভূত হয়ে তাঁদের কাঁধে চেপে বসেছে রাজ্যের হতাশা। কারও কারও চোখে সর্বস্ব লুট হয়ে যাওয়ার বিহ্বলতা। কারও কারও চোখে জল। কেউ বা ভাষাহীন।
বিষণ্নতা মানুষকে কবি বানিয়ে দেয়। মন খারাপের কাব্যই তখন ফোয়ারা হয়ে ছোটে—পেশাদারি সাংবাদিকদের কলমে; যুক্তির ধার না-ধারা সমর্থকদের চোখের জলে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনটাকেও বড় মেঘলা লাগে। চৈত্রের বিরহী বিকেল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িতই শুধু হয়। ‘এক শ বনের বাতাস এসে একটা গাছে হুলুস্থুল’ বাধিয়ে দেয়। উদ্দেশ্যহীন ঘুরপাক খায় ঝরাপাতার দল। কিন্তু ‘যে টেলিফোন আসার কথা, সচরাচর আসে না’। আনন্দ শব্দটার এত কাছাকাছি যে ‘বিষাদ’-এর বাস; জানা হয়ে যায় নতুন করে।
পুরো বিশ্বকাপই আসলে বাংলাদেশের জন্য ছিল মধ্যবিত্তের সেই নিস্তরঙ্গ জীবনে হঠাৎ হঠাৎ ঢিলের আন্দোলন। কখনো সেই ঢিল পড়েছে প্রগাঢ় আনন্দ হয়ে; কখনো বিষণ্নতা। কখনো প্রতীকের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে—আক্ষরিক অর্থেও। পতন আর উত্থান, উত্থান আর পতন। মিরপুর আটান্নর বিভীষিকা উপহার দিয়েছে, চট্টগ্রাম আবার আশার গ্রামাঞ্চল দিয়ে ঘিরে ফেলেছে হতাশার শহর। কিন্তু আবারও সেই মিরপুরে ফিরে আসা। ফিরে আসা আটান্ন। একটু বর্ধিত হয়ে, গোটা কুড়ি রান বাড়িয়ে—আটাত্তর হয়ে। কিন্তু ততক্ষণে যে স্বপ্নটার এলিজি লেখা শেষ!
৪ তারিখের সঙ্গে ১৯ মার্চের মিল তাই থাকলই। এদিনও ঝড়ে পড়া উটপাখির মতো বালুর ঢিবিতে মুখ লুকাল দর্শক। গ্যালারি ম্যাচের মাঝপথ গড়িয়ে একটু এগোতে না এগোতেই ফাঁকা। ম্যাচ শেষে বাইরে ছোট্ট জটলায় উঠল স্লোগান। পার্থক্যও আছে। সেই স্লোগানটা যে এবার একেবারেই তেজহীন। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আসলে শেষ। আয়োজক হিসেবে আরও দুটো ম্যাচ আছে বটে, তবু যেন এই দেশে বিশ্বকাপ ‘শেষ না হইয়াও শেষ’!
এদিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবও যন্ত্রণাদগ্ধ। শ দুয়েক সাংবাদিকের সামনে একা বসে থাকা অধিনায়ককে দেখাল পৃথিবীর নিঃসঙ্গতম মানুষ। এদিন সাকিবের জড়িয়ে যাওয়া কণ্ঠে অস্ফুট উচ্চারণ—‘স্যরি!’ চার দিন পর নিজের ২৪তম জন্মদিন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে বিষণ্ন জন্মদিন নির্ঘাত। আজ তামিমের দিনটাই বা কেমন কাটবে? সাকিব তাও ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সময় পাচ্ছেন। তামিমের জন্মদিন যে আজই!
খেলা শেষের অনেক পরে, বিকেলের মরে যাওয়া আলোয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিষণ্ন ঘাস পেল পানির ফোয়ারার অতিজরুরি স্পর্শ। সাকিব-তামিমরা এই স্পর্শ কবে পাবেন?
No comments