‘শোয়েব ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে’
নাটকীয় কিছু না ঘটলে আজ খেলার সম্ভাবনা নেই শোয়েব আখতারের। তবু শহীদ আফ্রিদির সংবাদ সম্মেলনের প্রায় পুরোটা জুড়ে থাকলেন শোয়েব। এই সংবাদ সম্মেলন যেন পরদিন ম্যাচ বলে নয়, শোয়েবের অবসরের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য। মাত্রই আগের দিন অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন গতিতারকা, এটা অবশ্যই একটা কারণ। শোয়েবের অবসর যে তুলে দিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্নও!
বিশ্বকাপের মাঝখানে অবসরের ঘোষণা দেওয়া ঠিক হলো কি না, দলের মনোযোগ নড়ে গেল কি না, আক্ষেপ নিয়ে সরে দাঁড়ালেন কি না—এসব তো আছেই। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে জোর গুজব, আছে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি ক্ষোভও। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে রস টেলরের সহজ ক্যাচ দুটি ছাড়ার পর শোয়েব নাকি কামরান আকমলকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালি দিয়েছিলেন। শেষের ওভারগুলোয় সেই টেলরের হাতেই তুলাধোনা হয়ে দলে জায়গা হারাতে হয়েছে শোয়েবকে। অথচ কামরান ঠিকই টিকে গেছেন, আর ওই গালির জন্য শোয়েবকে দিতে হয়েছে জরিমানা। এসব নিয়ে নাকি ক্ষোভ ছিল শোয়েবের।
আফ্রিদি অবশ্য স্বভাবসুলভ রসিকতায় এটা উড়িয়ে দিলেন, ‘শোয়েব-কামরানের মাঝে তেমন কিছু হয়নি, সিরিয়াস কিছু তো নয়ই। আমি আপনাদের কোনো ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি না...! আর সে তো কখনো বলেনি কোনো ব্যাপার নিয়ে আপসেট। বরং সব সময়ই বলেছে উপভোগ করছে।’
তবে কারণ যা-ই হোক, আফ্রিদি নিশ্চিত অবসর নিয়ে ঠিক কাজটাই করেছেন শোয়েব, ‘শোয়েব ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এটা ওর নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের ভালোর জন্যই নিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেটে ওর অবদান অনেক, একাই অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। খুব ভালো একটা উদাহরণও সৃষ্টি করল। সাধারণত পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার শেষ হয় নির্বাচকদের হাতে। কিন্তু শোয়েব নিজেই নিজের ক্যারিয়ার শেষ করতে পারল। নিজের ফিটনেস, ফর্ম—সব বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিশ্বকাপের মাঝে অবসরের ঘোষণাটা ঠিক হলো কি না, এটা নিয়ে অবশ্য একটু দ্বিধান্বিত লাগল পাকিস্তান অধিনায়ককে, ‘আমার মনে হয়, টাইমিং খারাপ হয়নি। হ্যাঁ, বিশ্বকাপ শেষেও সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু ও হয়তো মাঠ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছে এবং এতে দোষের কিছু নেই। দলে এর কোনো বাজে প্রভাব পড়েনি এবং পড়বে না।’
‘শোয়েব’ থাকলেন রিকি পন্টিংয়ের সংবাদ সম্মেলনেও। ব্যাট-বলের মতো মাঠে দুজনের মুখের লড়াই অনেকবার হয়েছে। কিন্তু বিদায়বেলায় শোয়েবের জন্য পন্টিংয়ের ছিল প্রশংসা আর অভিনন্দন, ‘সব সময়ই বলেছি, আমি যাদের খেলেছি তাদের মধ্যে শোয়েবই দ্রুততম। ওয়াকায় ওর সঙ্গে আমার দ্বৈরথ এখনো ইন্টারনেটে অনেকেই দেখে, আরেক পাশ থেকে সেদিন জাস্টিন ল্যাঙ্গার আমাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করছিল। ক্যারিয়ারজুড়ে নানা চোট হয়তো তাকে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে দেয়নি, কিন্তু ও অবশ্যই অসাধারণ এক বোলার। অসাধারণ এক ক্যারিয়ারের জন্য ওকে অভিনন্দন।’
তবে যে কথাটি শুনলে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন শোয়েব, সেটাই পরিষ্কার করলেন না আফ্রিদি। শোয়েবকে কি নামানো হবে সামনের কোনো ম্যাচে, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হবে তাঁর? ‘দলে অনেক প্রতিযোগিতা...দেখা যাক...প্রয়োজন পড়লে...’ আফ্রিদির কথায় খুব বেশি আশার আলো নেই শোয়েবের জন্য।
বিশ্বকাপের মাঝখানে অবসরের ঘোষণা দেওয়া ঠিক হলো কি না, দলের মনোযোগ নড়ে গেল কি না, আক্ষেপ নিয়ে সরে দাঁড়ালেন কি না—এসব তো আছেই। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে জোর গুজব, আছে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি ক্ষোভও। নিউজিল্যান্ড ম্যাচে রস টেলরের সহজ ক্যাচ দুটি ছাড়ার পর শোয়েব নাকি কামরান আকমলকে ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালি দিয়েছিলেন। শেষের ওভারগুলোয় সেই টেলরের হাতেই তুলাধোনা হয়ে দলে জায়গা হারাতে হয়েছে শোয়েবকে। অথচ কামরান ঠিকই টিকে গেছেন, আর ওই গালির জন্য শোয়েবকে দিতে হয়েছে জরিমানা। এসব নিয়ে নাকি ক্ষোভ ছিল শোয়েবের।
আফ্রিদি অবশ্য স্বভাবসুলভ রসিকতায় এটা উড়িয়ে দিলেন, ‘শোয়েব-কামরানের মাঝে তেমন কিছু হয়নি, সিরিয়াস কিছু তো নয়ই। আমি আপনাদের কোনো ব্রেকিং নিউজ দিচ্ছি না...! আর সে তো কখনো বলেনি কোনো ব্যাপার নিয়ে আপসেট। বরং সব সময়ই বলেছে উপভোগ করছে।’
তবে কারণ যা-ই হোক, আফ্রিদি নিশ্চিত অবসর নিয়ে ঠিক কাজটাই করেছেন শোয়েব, ‘শোয়েব ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এটা ওর নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের ভালোর জন্যই নিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেটে ওর অবদান অনেক, একাই অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। খুব ভালো একটা উদাহরণও সৃষ্টি করল। সাধারণত পাকিস্তানে ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার শেষ হয় নির্বাচকদের হাতে। কিন্তু শোয়েব নিজেই নিজের ক্যারিয়ার শেষ করতে পারল। নিজের ফিটনেস, ফর্ম—সব বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ বিশ্বকাপের মাঝে অবসরের ঘোষণাটা ঠিক হলো কি না, এটা নিয়ে অবশ্য একটু দ্বিধান্বিত লাগল পাকিস্তান অধিনায়ককে, ‘আমার মনে হয়, টাইমিং খারাপ হয়নি। হ্যাঁ, বিশ্বকাপ শেষেও সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু ও হয়তো মাঠ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছে এবং এতে দোষের কিছু নেই। দলে এর কোনো বাজে প্রভাব পড়েনি এবং পড়বে না।’
‘শোয়েব’ থাকলেন রিকি পন্টিংয়ের সংবাদ সম্মেলনেও। ব্যাট-বলের মতো মাঠে দুজনের মুখের লড়াই অনেকবার হয়েছে। কিন্তু বিদায়বেলায় শোয়েবের জন্য পন্টিংয়ের ছিল প্রশংসা আর অভিনন্দন, ‘সব সময়ই বলেছি, আমি যাদের খেলেছি তাদের মধ্যে শোয়েবই দ্রুততম। ওয়াকায় ওর সঙ্গে আমার দ্বৈরথ এখনো ইন্টারনেটে অনেকেই দেখে, আরেক পাশ থেকে সেদিন জাস্টিন ল্যাঙ্গার আমাকে নিয়ে খুব হাসাহাসি করছিল। ক্যারিয়ারজুড়ে নানা চোট হয়তো তাকে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে দেয়নি, কিন্তু ও অবশ্যই অসাধারণ এক বোলার। অসাধারণ এক ক্যারিয়ারের জন্য ওকে অভিনন্দন।’
তবে যে কথাটি শুনলে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন শোয়েব, সেটাই পরিষ্কার করলেন না আফ্রিদি। শোয়েবকে কি নামানো হবে সামনের কোনো ম্যাচে, মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হবে তাঁর? ‘দলে অনেক প্রতিযোগিতা...দেখা যাক...প্রয়োজন পড়লে...’ আফ্রিদির কথায় খুব বেশি আশার আলো নেই শোয়েবের জন্য।
No comments